a সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালো পেন্টাগন
ঢাকা মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩২, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালো পেন্টাগন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ০৩:৫২
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালো পেন্টাগন

ফাইল ছবি:জেনারেল আজিজ ও পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার


বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করলো মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদফতর ‘পেন্টাগন’।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, “পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। পুলিশ এবং র‌্যাবের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া বর্তমান সরকার যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে, আমি কী তা জানতে পারি?”

জবাবে পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, “হ্যাঁ- প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজকের ব্রিফিং কক্ষে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যেমন জানেন বা আপনি যে বিষয়টি উল্লেখ করলেন যে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি গত মে মাসে করা হয়েছিল। মূলত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে মজবুত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতিকে নিশ্চিত করেছে এবং পেন্টগন বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী যেকোনও কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এ কথা বলে শেষ করতে চাই- বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের একই স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব বজায় রয়েছে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সমুদ্রসীমা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে আমরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় রাখি।” সূত্র:  ইউএস ডিফেন্স

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

পশ্চিমা নাগরিকরা দ্রুত কাবুল ত্যাগ করছে তালেবান সময়সীমার মধ্যেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২১, ০৭:১৯
পশ্চিমা নাগরিকরা দ্রুত কাবুল ত্যাগ করছে তালেবান সময়সীমার মধ্যেই

সংগৃহীত ছবি

ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বলছে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের সব নাগরিক এবং তাদের সহযোগী বেশিরভাগ আফগানকে সরিয়ে নিতে পারবে।প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই দুটি দেশ এই ঘোষণা দিল।

ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ত বোন বলছেন, আফগানিস্তানে সে দেশের উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হওয়ার 'সম্ভাবনা প্রবল'। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের বেশিরভাগকেই ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেইন, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের পাঁচশোরও বেশি নাগরিকদের কাবুল থেকে বের করে আনার জন্য তারা চারটি বৃহদায়তন সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই এই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা প্রয়োজন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের ওপর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি রয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হলে আফগানিস্তানের নতুন শাসক অর্থাৎ তালেবানের কাছ থেকে ক্রমাগত সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কাবুল থেকে বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়ে খবর দিচ্ছেন, কাবুল বিমানবন্দরে মানুষজনকে দেশ ত্যাগে সহায়তা করছেন এমন লোকজন বলছেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে যাত্রীদের বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে কারা এটা করছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

তিনি জানান, বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর গেট পর্যন্ত পৌঁছুতে গত সপ্তাহে মানুষজনকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলছেন, কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রতি ঘণ্টাতেই যাত্রী-বোঝাই উদ্ধারকারী বিমানের ফ্লাইট আকাশে ডানা মেলছে।

তবে এখনকার আশঙ্কা হচ্ছে, যাদের রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের কাউকে কাউকে বাদ দিয়েই ফ্লাইটগুলোকে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশত্যাগে সাহায্য করারা লক্ষ্যে তারা ঝুঁকির মুখে থাকা আফগানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। তবে মাঠের পরিস্থিতি একেবারেই গোলযোগপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। সূত্র: বিবিসি বাংলা/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি


কর্ণেল আকরাম, লেখক ও কলামিস্ট: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৬
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি


নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক সঠিক কূটনৈতিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। তবে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক ছিল না, এবং এর পেছনে কিছু সুস্পষ্ট কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি ভিন্ন ধারায় বিকশিত হয়েছে, যা সাধারণ কূটনীতির রীতিনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  

স্বাধীনতার পর থেকে যে ধরণের সম্পর্ক এই দুই দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে, তা অনন্য। এটি সাধারণত ভারত সরকারের সাথে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। যেখানে সাধারণভাবে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা, সেখানে এই সম্পর্ক মূলত একটি দলের সাথে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। গত পাঁচ দশকে ভারত কখনোই প্রকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখায়নি। বরং, তারা সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে।  

বর্তমান সম্পর্কের শিকড় ইতিহাসে নিহিত। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো। আমরা, মুসলমানরা, গর্ব ও সফলতার সঙ্গে সাতশ বছরের বেশি সময় ধরে ভারত শাসন করেছি। আজকের ভারতীয় ঐতিহ্যের অনেকটাই মুসলিম শাসকদের অবদান। কিন্তু ভারতীয় নেতৃত্ব কখনো মুসলমানদের এই গৌরবময় ইতিহাস মেনে নিতে পারেনি। তারা মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং ভারতের সমাজ থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।  

ব্রিটিশ শাসনকে হিন্দু সম্প্রদায় শুধু শাসকের পরিবর্তন হিসেবে দেখেছে এবং শুরু থেকেই ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিল। তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। তবে মুসলিম লীগ ও তার নেতৃত্বের কারণে তারা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পারেনি।  

১৯৪৭ সালে ভারতের বিভক্তি নিয়ে তৎকালীন হিন্দু নেতৃত্ব, বিশেষত জওহরলাল নেহেরু, সন্তুষ্ট ছিলেন না। পাকিস্তানের জন্মের দিন থেকেই তারা এর বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন।  

১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ তাদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয়। তারা সময় নষ্ট না করে পাকিস্তানকে ভাঙার পরিকল্পনায় সফল হয়।  

আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং ভারত একটি ভালো বন্ধুর মুখোশে হাজির হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই তাদের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পায়, যা ছিল লুটেরার মতো।  

ভারত কখনোই প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি; তারা সবসময় বন্ধুত্বের ভান করে কূটনৈতিক সম্পর্ককে একতরফাভাবে পরিচালনা করেছে। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত কৌশলে বাংলাদেশকে ব্ল্যাকমেইল করেছে এবং বড় ভাইয়ের মতো প্রভাব বিস্তার করেছে।  

তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ভারত আমাদের চিরস্থায়ী প্রতিবেশী। আমাদের তাদের সঙ্গে ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, তবে সেটি হওয়া উচিত ভারসাম্যপূর্ণ এবং উভয়ের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মানজনক।  

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সঠিক পথে ফিরে এসেছি। নতুন সম্পর্কটি পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ভালো প্রতিবেশীর সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।  


প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী
সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল ও আইনের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক