a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায় এবং চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য কথা বলছেন গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। এরই প্রেক্ষিতে লাগাতার মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রেসক্লাবের হলরুমে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি পাঠাচ্ছেন সুবিধা বঞ্চিত কর্মচারীরা।
গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চাকরি করলেও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কোন উদ্যোগ গ্রামীণ ব্যাংক প্রশাসন নিচ্ছে না। কর্মচারীরা তাদের দাবী জানাতে গত ৩১ জানুয়ারি '২০২৫ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সেই সংবাদ সম্মেলন করার কারনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রায় ১৫০ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবীতে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারী'২০২৫ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি পেশ করা হবে।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১০:৩০ রাজপথে মিছিল এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংক কর্মচারী মিন্টু রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, বক্তব্য রাখেন আশিক, আপেল, রহমতুল্লাহ জসীমউদ্দিন প্রমুখ। বক্তাগন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবীতে আন্দোলন এর ধারাবাহিকতায় আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি পেশ এর কর্মসূচি ঘোষনা করেন। একই সাথে দাবি আদায়ে রাজপথে থাকবেন বলে ঘোষণা করেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: গণ কর্মচারিদের বেতন বৈষম্য দূরীকরনের ৭ দফার ভিত্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেলের সুপারিশসহ গেজেট প্রদান ও ১লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বাস্তবায়নের এক দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, রোজ শনিবার, সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এর সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় -সরকারি উদ্যোগ মূখ্য সমন্বক জনাব ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে এই দাবি জানানো হয়।
উক্ত দাবি সমূহ আদায়ে কর্মসূচি ঘোষনার লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরি হলে এক সংবাদ সম্মেলন ও শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর স্মরণে দোয়া মোনাজাত” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব মোঃ লুৎফর রহমান, সালজার রহমান,এমএ হান্নান, সেলিম মিয়া, ইছাহাক কবির,রফিকুল আলম,আবু নাসের খান, জিয়াউল হক, জাকির হোসেন এ কেএম নুরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম,খায়ের আহমেদ মজুমদার,বেলাল হোসেন, মাহবুব হোসেন তালুকদার, হুমায়ুন কবির, আসাদুর রহমান, সাবেরা সুলতানা গিয়াস উদ্দিন,ফারুক মৃধা, জাহিদুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন,জিয়াউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক,মহিউদ্দিন খন্দকার, আসফাকুল আসেকীন, শাহজাহান সিরাজ, মনির হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সারোয়ার তালুকদার, সেলিম রেজা, খাদিজা খানম ছাড়াও প্রজাতন্ত্রের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়াত্তশাসিত, আধা স্বায়াত্তশাসিত, সেক্টর, কর্পোরেশনের কর্মচারিরা অংশ গ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পে স্কেলের আওতাভুক্ত লক্ষ লক্ষ কর্মচারিদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতিতে কর্মচারিদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দূর্দশার বিষয় নিয়ে ৭দফার ভিত্তিতে এক দফা দাবি আদায়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ ও ১লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বাস্তবায়নের আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা শহীদ ওসমান হাদীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন-ওসমান হাদী সব সময় বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অকুতোভয় ছিলেন । তিনি জীবন দিয়ে গেছেন কিন্তু তার স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হননি। আমরাও তার মতো বৈষম্যমুক্ত কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবো।দোয়া মোনাজাত শেষে দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষনা করার কথা থাকলেও শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর সম্মানে ও রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নেতৃবৃন্দ সর্ব সম্মতিক্রমে আজকে কর্মসূচি ঘোষনা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আগামী ২৬/১২/২০২৫ রোজ শুক্রবার পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ১লা জানুয়ারি হতে পে-স্কেল বাস্তবায়নের কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
ফাইল ছবি । সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ চতুর্থবারের মতো শপথ গ্রহণ করেছেন। শনিবার দেশটির সংসদে নতুন মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
সিরিয়ান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আগামী সাত বছর ক্ষমতায় থাকছেন দেশটির এ স্বৈরশাসক।
শপথ শেষে বাশার আল-আসাদ বলেন, অনেকেই সিরিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ঐক্যবন্ধ থেকে শত্রুদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটার উপস্থিত হয়েছিল দাবি করে বিষয়টির প্রশংসা করেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশটির রাজনীতিবিদ, আলেম, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, শিল্পী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাশার আসাদ ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে বাশারবিরোধীরা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মূলত সরকারনিয়ন্ত্রিত এলাকায়। বিদেশে সিরীয় কয়েকটি দূতাবাসেও ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে।
সিরিয়ার নির্বাসিত বিরোধী নেতারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে সিরিয়ার নির্বাচনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনের আগে দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ছাড়া এটি অবাধও নয়, সুষ্ঠুও নয়।
৫৫ বছর বয়সি বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ প্রায় ২৫ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন। তার পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাশার আল আসাদ।
সিরিয়াজুড়ে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ২০১৪ সালে দেশটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিরোধীরা ওই নির্বাচনও বর্জন করেছিল।