a
সংগৃহীত ছবি
আগামীকাল রোববার থেকে ফের শারীরিক উপস্থিতিতে শুরু হচ্ছে বিচারকাজ। দ্বিতীয়দফা লকডাউনে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল অধস্তন আদালতে স্বাভাবিক বিচারকাজ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অনুমোদনক্রমে শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
তবে করোনার বিস্তার রোধে যেসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের বিধিনিষেধ চলছে সেখানে ভার্চুয়ালি জামিন ও জরুরি বিষয়ে শুনানি করা যাবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে গত ১৭ জুন হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করে সব ধরনের মামলার বিচারকাজ শুরুর ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রোববার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে ওই বেঞ্চগুলোতে বিচারকাজ শুরু হবে। এছাড়া গত ১ জুন থেকে সপ্তাহের সব কার্যদিবসে ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগে বিচারকাজ শুরু হয়।
এরপর দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ৪ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তিতে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি উচ্চ ও অধস্তন আদালতে শুধুমাত্র জামিনসহ জরুরি বিষয়ে শুনানি গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। যার ফলে স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ হয়ে মামলার জট বাড়ার পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানিও চরমে পৌঁছে।
ফাইল ছবি
রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির সদর দপ্তরের এডিসি সানজিদা আফরিন।
শনিবার তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তাদের বক্তব্য লিখিত রেকর্ড করেছেন। এর আগেও তদন্ত কমিটি তাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন।
ডিএমপির তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে। এছাড়াও আরও যারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রয়েছে তাদেরও বক্তব্য নেওয়া হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি সবার বক্তব্য নেবেন। অনেক তথ্য উপাত্তের বিষয় রয়েছে। তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে।
৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় আটকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে ১০ সেপ্টেম্বর দুবার বদলি করা হয়।
প্রথমে তাকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হারুন অর রশীদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
এর একদিন পর তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের স্বামীর নাম ওয়েবসাইটের নথিতে দেয়া আছে নিখিল জৈন। আর লোকসভার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লেখা নুসরাত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন মাসে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে।
এর আগে বুধবার দুপুরে অভিনেত্রী নুসরাত জাহান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’’
এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পরে দেখা যায়, নুসরাত নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন বলে দাবি করলেও সরকারি নথিতে তিনি বিবাহিত এবং স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
সম্প্রতি জানা যায়, মা হতে চলেছেন নুসরাত। অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী তা নিয়ে গত ৫ দিন ধরে বিতর্ক তুঙ্গে। শুধু তাই নয়, নিখিলের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে না কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চার দিক থেকে। এমনকি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও নুসরাতের নীরবতা নিয়ে কথা বলেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তসলিমা নাসরিন লিখেছিলেন, ‘…এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরাতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু’পক্ষেরই অস্বস্তি।’ এর পরেই নুসরাত জানিয়েছেন, তিনি আদৌ নিখিলকে বিয়েই করেননি।
যদিও এর আগে খুব কম অতিথি নিয়েই তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল নুসরাত ও নিখিলের। সেই প্রসঙ্গ টেনে নুসরাত জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই অনুষ্ঠান অবৈধ। উপরন্তু হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত। যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়। বুধবার এমনই যুক্তি প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। তার দাবিনানুযায়ী, যে বিয়ে আইনতসিদ্ধ নয়, তার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু সংসদকে বিবাহিত হিসেবে পরিচয় জানিয়েছেন কেন? এবার উঠবে সেই প্রশ্ন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী সংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটে পরিচয় দেওয়া হয়। তবে গত লোকসভা ভোটের আগে লোকসভা নির্বাচনকে যে হলফনামা দিয়েছিলে নুসরাত তাতে অবিবাহিতই দাবি করেছিলেন নিজেকে। কারণ, তার বিয়ের যে তারিখ লোকসভার ওয়েবসাইটে রয়েছে তা নির্বাচনের পরের। সূত্র: আনন্দবাজার