a
ফাইল ছবি
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ বিকেলে শপথ নেবেন। রাজধানীর বঙ্গভবনে বিকায় ৪টায় ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বৃহস্পতিবার রাতে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বয়সি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রায় দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে থাকবে।
তিনি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। উল্লেখ্য, তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকীও আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাসের পর আইনে ডিগ্রি অর্জন করে আইন পেশায় যোগ দেন।
১৯৮১ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন।
সংগৃহীত ছবি
মহামরি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ তৃতীয় দিন চলছে। এ লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা।
আজ শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের গ্রেপ্তার ও জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানোসহ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
এর আগের দুই দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে র্যাবের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার ১৮২ জনকে জরিমানায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং শুক্রবারের অভিযানে ২১৩ জনের জরিমানায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা আদায় করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। এসময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান। চলমান কঠোর লকডাউন চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ‘বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?’ শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়- তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
বিএনপির নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।’
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না। এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়- তা আপনাদের সবাইকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।’
নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে। মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বাসস