a
ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ
সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রকাশিত খবরে জানতে পারলাম উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। জানিনা খবরের সত্যতা কতটুকু। যদি সত্য হয় তবে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই ধরনের কাজ আবারও হতে পারে তাই আগামী কিছুদিন আমাদের সবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুক ব্যবহার যখন করতেই হয়, তখন এখানে নিরাপদ থাকতেই হবে। না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা তো বটেই, মারাত্মক বিপদেও পড়তে পারেন। নিচের বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকলে এ ধরনের অযাচিত ঝামেলা এড়িয়ে চলা সম্ভবঃ
১। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড:
ফেসবুক একাউন্টের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড এমন হবে যা সাধারনভাবে কেউ ধারণা করতে পারবে না। পাসওয়ার্ড বড় এবং কঠিন হতে হবে। শুধু বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার একাউন্ট নিরাপদ হবে না। কারণ হ্যাকাররা ‘ডিকশনারি অ্যাটাক' নামে একটি কৌশল অবলম্বন করে যেখানে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা যায় এমন সব শব্দই ব্যবহার করা হয়। তাই পাসওয়ার্ডে সবসময় ছোটবড় অক্ষর, সংখ্যা, বিশেষ চিহ্ন যেমন #@%&*!$ ইত্যাদি ব্যবহার করা ভাল।
যে ভুলগুলো বেশিরভাগ মানুষ করে থাকে তা হলঃ নিজের নাম, বান্ধবী/বন্ধু/স্বামী/স্ত্রীর নাম, নিজের ডাকনাম, সাথে কমন ১২৩৪৫, ফোন নম্বর, বিভাগের নাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, জন্মতারিখ, বিয়ে বার্ষিকী, পরীক্ষার বছর ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত বা বন্ধুদের কেউ আপনার পাসওয়ার্ড পেতে চাইলে প্রথমেই এগুলো দিয়ে চেষ্টা করবে।
ভিন্ন ভিন্ন সাইটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ভাল৷ যেমন ফেসবুক, ইয়াহু মেইল, জিমেইল, টুইটার ও গুগল অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা৷ সবগুলোতে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার যে কোনো একটি অ্যাকাউন্টে হ্যাক হলে সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্যগুলোতেও ঢুকতে পারবে।
২। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন:
আপনাকে অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন চালু রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড পেয়েও যায় তারপরও সহজে লগইন করতে পারবে না। লগইন করার সময় আপনার ফোনে একটি কোড আসবে। এই কোড না থাকার কারণে অন্য কেউ লগইন করতে পারবে না। সিকিউরিটি এন্ড লগইন সেকশনে গিয়ে আপনার মোবাইল নম্বরটি যোগ করে দিতে পারেন। এরপর থেকে প্রতিবার ফেসবুকে লগইনের সময় বিনামূল্যে একটি এসএমএস আসবে এবং সেটি প্রবেশ করিয়ে লগইন করতে হবে।
৩। ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন:
যদি কোন কারণে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয় তখন আপনার একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সহায়তায় আপনার আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। সিকিউরিটি এন্ড লগইন পেজে আপনি তিন থেকে পাঁচজন বন্ধুকে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট হিসেবে সেট করে রাখুন। আপনার একাউন্ট হ্যাক হলে তাঁরা আপনাকে ইউআরএল এর মাধ্যমে একটি রিকভারি কোড পাঠাতে পারবে।
৪। সন্দেহজনক লিংক:
কখনোই সন্দেহজনক কোন লিংকে ক্লিক করবেন না
অপরিচিত বা অপ্রয়োজনীয় লিংকে কখনও ক্লিক করবেন না। বিশেষ করে যাদের আপনি চিনেন না বা বিশ্বাস করেন না এমন কারো কাছ থেকে আসা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার একান্ত কাছের বন্ধু অথবা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে যদি এমন কোন লিংক, মেসেজ অথবা পোস্ট পান যা তাঁর স্বাভাবিক কার্যক্রমের সাথে মেলে না, সেক্ষেত্রে তা এড়িয়ে যান। সন্দেহজনক এটাচমেন্ট ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন।
৫। ফেসবুকের নামে পাসওয়ার্ড চাইলে:
মনে রাখবেন ফেসবুক কখনো মেইলে আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে না। এ ধরনের মেইল পেলে তা ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন।
৬। ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণে সতর্কতা:
এমন কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবেন না যাকে আপনি চেনেন না। হ্যাকাররা মিথ্যা পরিচয়ে আপনার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে। আর পরে আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে অথবা আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে অথবা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে।
৭। লগইন এ সতর্ক হোন:
স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে (যেমনঃ www.facebooc.com) সেখানে আপনার ফেসবুকের লগইন ইমেইল/ফোন নম্বর বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। মনে রাখবেন www.facebook.com ছাড়া অন্য কোন ইউআরএল ফেসবুক ব্যবহার করে না। সতরাং ফেসবুকের বাইরে অন্য কোন শব্দ থাকলে বা সন্দেহ হলে সঠিক ইউআরএল চেক করে নিন।
পাব্লিক প্লেসে বা সাইবার ক্যাফে বা অন্য কারো কম্পিউটারে ফেইসবুক ব্যবহারের সময় কখনো ‘কিপ মি লগড ইন' বা ‘সেভ পাসওয়ার্ড’-এ ক্লিক করেবন না৷ যদি কখনো লগইন করার পর লগআউট করতে ভুলে যান তাহলে অন্য কোন কম্পিউটার বা মোবাইলে পুনরায় লগইন করে সিকিউরিটি এন্ড লগইন সেটিংসয়ে সর্বশেষ লগইন হিস্টরি থকে ডিভাইস সনাক্ত করে লগআউট করে দিন।
৮। প্রাইভেসি সেটিংস এবং টুলস:
আপনার ফেসবুকের প্রাইভেসি আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফেসবুকে নিজেকে নিরাপদ রাখার এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। https://www.facebook.com/privacy মেনু থেকে আপনার পছন্দমত সেটিংস করে নিন। বিশেষ করে, How People Find and Contact You ট্যাব থেকে Email address, phone number অপশনগুলোকে Friends অথবা Only Me করে রাখুন। এছাড়া ‘সিকিউর ব্রাউজিং' অপশন, ‘লগইন নোটিফিকেশনস' অপশন চালু করে রাখা আর Who can see your future posts অপশন এ Friends করে রাখলে আপনি অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন।
সবশেষে বলব, ফেসবুকে কিছু শেয়ার করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, এটা ফাঁস হলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে কি না। মনে খানিকটা দ্বিধা থাকলেও সম্মতি দেবেন না।
লেখক: ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সংগৃহীত ছবি
মুত্তিযুুদ্ধের চেতনা, পেশাদ্বারিত্ব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে পর্যবেক্ষন করে ভবিষৎ সর্ম্পকে সম্মুখ ধারনা পোষণ করা বা উপলব্ধি করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত আজ ২১ জুন সাংবাদিক নির্যাতন দিবস অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এসব কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কদ্দুস অফ্রাদের সভাপতিত্বে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুু’র সঞ্চালনায় সাংবাদিক নির্যাতন দিবস পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবাহান চেৌধুরী ও সাবেক বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুুলসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিন এবং ওমর ফারুক ।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুুল মজিদ ও বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবুু সাঈদ (বিএসএস) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, শাহেদ চৌধুরীসহ ডিইউজের অন্যান্য নেতৃবৃৃন্দ।
এসময় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী রাজাকার বাহিনী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে বর্বর নির্যাতন ও হত্যাকান্ড চালিয়ে ছিল। সেই একইভাবে ১৯৯২ সালের ২১ জুন আজকের এই দিনে তৎকালীন সরকারের মদত পুুষ্ট পুুলিশ যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে আহত করেছিল তা একাত্তরের পূন:রাবৃত্তি যা স্বাধীন দেশ হিসেবে এটি কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুত্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার এবং সাংবাদিক বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন আশা করি তা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তাই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং পেশাদ্বারিত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।
অপর এক বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা শিক্ষিত মানুষের পেশা, আর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পেশাদারিত্বের সংগঠন। এই সংগঠনের যে নেতা হয়ে আসবে তাকে ইউনিয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে হবে। তার পাশাপাশি ইতিহাস সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে এবং পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিককে পেশাদার হতে হবে। আমরা যদি সক্রিয় হই তাহলে ইউনিয়নকে কেউ বিক্রি করতে পারবে না।
এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে ৫০ জন সাংবাদিককে আহত করা হয়েেছে এটি লজ্জাস্কর।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যে সময়ের ঘটনা তখন আমি তরুণ রিপোর্টার পার্লামেন্টে ছিলাম। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২১শে জুনের হামলার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্ধকারে সাংবাদিকদের দেখে নাই।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সাংবাদিকদের উপর হামলার যে তদন্ত হয়েছিল তা প্রকাশ করার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে স্বারকলিপি দেয়া হবে যাতে করে গণসম্মুখে এটি প্রকাশ করা হয়। আজকের এই সাংবাদিক নির্যাতন হামলা দিবসটি সারা দেশে পালিত হচ্ছে। আগামীতে দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে।
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান শহরগুলোর চারপাশে তীব্র যুদ্ধ চলছে। খবর বিবিসির
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে রাজধানী কিয়েভ পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার। এর পর তারা দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে। কিয়েভের মাইডান স্কয়ারের কাছে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং শহরের ত্রয়েশ্চিনা এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কিয়েভের ওপর গোলা হামলার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে, শহরের কেন্দ্র থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত শব্দ পেয়েছেন তারা। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, শহরের চিড়িয়াখানার কাছে এবং শুলিয়াভকা শহরের আশপাশে ৫০টিরও বেশি বিস্ফোরণ এবং ভারি মেশিনগানের গোলাগুলি হয়েছে।
ইউক্রেনীয় স্টেট স্পেশাল সার্ভিসের মতে, রাজধানীর ট্রয়েসচিনা এলাকার সিএইচ পি-৬ পাওয়ার স্টেশনের কাছে তীব্র লড়াই চলছে। এ হামলার মাধ্যমে পুরো শহরটিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
কিয়েভের পেরেমহি অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ভাসিলকিভের একটি বিমানঘাঁটির কাছে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ান প্যারাট্রুপাররা কিয়েভের ওপর হামলা চালানোর জন্য এই ঘাঁটি তাদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করছে, তারা কৃষ্ণসাগরের শহর মাইকোলাইভে থেকে রাশিয়ানদের সফলভাবে হটিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিয়েভ সেনাঘাঁটিতে হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী শনিবার একটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, কিয়েভের একটি সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ান সৈন্যরা আক্রমণের চেষ্টা করলে তারা এর বিরুদ্ধে তুমুল লড়াই শুরু করে। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস রুশ সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শান্তিকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া উচিত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর পরই তিনি মন্তব্য করেন, যেখানে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে এই খসড়া প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়ে যায়। সূত্র: যুগান্তর