a
সংগৃহীত ছবি
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিখোঁজ ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রংপুর ডিবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা থেকে ফিরে বন্ধুর বাসায় ছিলেন ত্ব-হা ও সঙ্গীরা তার বন্ধুর নাম সিয়াম।
পুলিশ জানায়, তার বন্ধু বাসায় ছিলেন না। তার মা বাসায় ছিলেন। তারা একটি ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তারা ওই রাতেই ঢাকা থেকে ফিরেছে অন্য কোথাও অবস্থান করেনি।
পুলিশ দাবি করে ব্যক্তিগত কারণে তারা আত্মগোপনে ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কারণ সম্পর্কে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ জানায় এই মুহূর্তে তারা বলতে পারবেন না। সেটা ভেরিফাই করতে হবে। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করব। আসলে সব ব্যক্তিগত কারণ তো বলা যায় না।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আবু ত্ব-হাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর সন্ধান মিলেছে রংপুরের আলোচিত বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের। শুক্রবার দুপুরে তার শ্বশুরের বাসায় তাকে পাওয়া যায়।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বিকাল ৩টার দিকে তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪১তম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার। যেখানে চার লাখের বেশি স্বপ্নবাজ লড়েছেন এমন অগ্নি পরীক্ষায়। তাদের মাঝেই উঠে এসেছে অন্যরকম এক স্বপ্নবাজ যুবকের নাম যিনি কিনা পরীক্ষা কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়েছিলেন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাকে।
গত শুক্রবার(১৯ মার্চ)অনুষ্ঠিত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আলোচিত হয়েছেন খাইরুল হাসান শিবলু (২৯)। ইতোমধ্যে তার ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, লুঙ্গি-গেঞ্জি ও গামছা পরা এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার একটি কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার হাতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, খায়রুল ময়মনসিংহের নান্দাইলের আতকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ডিপ্লোমা শেষে বিএসসি, একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আইন বিষয়েও পড়েছেন দু’বছর। নানামুখী অবিজ্ঞতা সম্পন্ন শিবলু ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো এই শিবলুই করে বসেছেন সচরাচর এক নীতিবিরুদ্ধ কাজ। পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়েছেন লুঙ্গি, গেঞ্জি এবং গামছা পরেই। আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন অতি-আধুনিকতার চাপায় পিষ্ট সত্যিকার বাঙালি এখনও টিকে আছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের সামনে লুঙ্গি, টি-শার্ট ও গলায় গামছা পরে একটি ছবি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন ‘তৃতীয় ও শেষ বিসিএস পরীক্ষা। তাই আজ লুঙ্গি পরেই পরীক্ষা দিলাম।’এ সময় তার সাথে ছিলেন তার বোন ও ভগ্নিপতি।
এ বিষয়ে শিবলু বলেন, লুঙ্গি বাংলাদেশের মানুষের বহুল ব্যবহৃত এক আরামদায়ক পোশাক। বাঙালির ঐতিহ্য। এমন আরামদায়ক পোশাক সারাবিশ্বে আর দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা তা সন্দেহ। দেশে বাস করেন কিন্তু কখনো লুঙ্গি পরেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মনে হয় অসম্ভব। আর সেই লুঙ্গি নিয়েই আমি ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা দিলাম।
তিনি আরো জানান, বাংলার সোনার সন্তানরা বিদেশি সংস্কৃতিকে লালন করে না। বরং দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করে নিজেকে পরিচয় দিলাম একজন কৃষক বাবার সন্তান হিসেবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আমাকে প্রকৃত বাঙালি হিসেবে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়ার জন্য টি অ্যান্ড টি মহিলা কলেজ, মহাখালী কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের জন্য শুভকামনা নিরন্তর। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এড়িয়ে নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দিলাম। একজন বাঙালির ঐতিহ্য প্রকাশ করায় আমাকে নিয়ে ট্রল করছেন, আসলে ট্রলের পাত্র আমি নই, যারা আমাকে করার চেষ্টা করছেন, তারাই ট্রলের পাত্র। বহুরূপীতা প্রকাশ করছেন। তাদের বাইরে-ভেতরে আরেক। প্যান্ট পরে নিজেকে শিক্ষিত প্রকাশ করতে চাইছেন। নিজেকে আধুনিক প্রকাশ করতে চাচ্ছেন। তবে আমি কাউকে ছোট করছি না, এটি বলে।
উল্লেখ্য, তুমি সফল হলে তোমার লুঙ্গি পরা ছবিটাই হবে ইতিহাস। শুধু বাংলাদেশ বা ভারতের সীমানায় নয়, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, জর্ডান, সোমালিয়া বা কেনিয়ার মতো দেশেও জনপ্রিয় পোশাক লুঙ্গি। সোনার বাংলার সন্তান হয়ে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে ৪১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আলোচিত হয়েছেন খাইরুল হাসান শিবলু।
ছবি: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি....রাজিউন)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রাজধানীর বারিধারা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা, এরপর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ছাত্রজীবনে স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্নের পর ব্যারিস্টারি পড়তে যান লন্ডনে এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। সেখান থেকে ফিরে এসে ১৯৬৫ সালে তিনি হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৬৯ সালে বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ইত্তেফাক সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব তিনি পালন করেন। পরে ১৯৭৩ সালে ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন। সূত্র: ইত্তেফাক