a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ বাংলাদেশে বিশ্বমানের শিক্ষার তীব্র অভাব। যার ফলে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছেনা এবং বেকারত্বের আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে লাখ লাখ স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও গ্রন্থগত বিদ্যার সার্টিফিকেট।
এমন করুণ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে সমান গতিতে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তরুণ কলামিস্ট ও সমাজকর্মী মুহম্মদ সজীব প্রধান এর হাত ধরে ২০২০ সালে এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেট ( ইসিপি) এর সূচনা হলেও চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাক শিক্ষার্থী নিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীসহ দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা ও স্মার্ট ক্যারিয়ার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংগঠনটির অগ্রগতি অবাক করার মতো। শিক্ষা ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য গতকাল ১৭ মে রাত সাড়ে নয়টায় একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব হিডেন ট্যালেন্টস এর সভাপতি সাব্বির খান সায়েম। বিশেষ অতিথি স্বরবর্ণ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হাসিবুল হাসান শান্ত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাঈমা ফেরদৌস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিল হোসেন এবং জাফর আলী সহ আরো অনেকে। ভার্চুয়াল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেটের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ সজীব প্রধান এবং পুরো সভায় নান্দনিক উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক ও সংগঠক সিফাত রাকা।
সভায় অতিথিরা সোনার বাংলাদেশ গড়ায় বিশ্বমানের শিক্ষা এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বের করে সুন্দর ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অতিথিরা এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার প্লানেটের অনন্য উদ্যেগের প্রশংসা করেন এবং তারা আশা করেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সংগঠনটি নিরন্তর কাজ করে যাবে।
উক্ত মিটিংয়ে সাব্বির খান সায়েম আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব অর্পণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার রিতার ওপর। সানন্দে দায়িত্ব গ্রহনের পর রিতা বলেন, “দায়িত্ব বড়ই ভয়ংকর রকমের সুন্দর আকাঙ্খিত বস্তু। আজ থেকে আমি আপনাদের সেবক। দেশ ও দশের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে দূর্দান্ত কিছু করাই আমার অঙ্গীকার। আমার এ যাত্রায় আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।” ইসিপি এর অন্যান্য সদস্যরাও সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ায় অবদান রাখতে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন আবির নামের একজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
আটককৃত শিক্ষার্থীর মোবাইল ঘেটে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মোবাইল এর মেসেঞ্জার ঘেটে বিভিন্ন তথ্য পায় প্রক্টর অফিস।
ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেয়া প্রবেশপত্রে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায় সেজান মাহফুজ (রোল ৩০৯৯৭৬) বাবা মোঃ আবদুল বারী, মাতা: মোসাম্মদ মাহফুজা বেগম।
শনিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি পরীক্ষা দায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র ছবির সাথে আটককৃত শিক্ষার্থীর চেহারা মিল না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে আবিরকে আটক করে।
প্রক্টর অফিসে জেরা করার মাঝে একটি ফোন কল আসলে সবার উপস্থিতি জোরপূর্বক কথা বলতে হয় তাকে মোবাইলফোনে লাউড স্পিকারে শোনা যায় আরেক ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। বড় কোন চক্রের সাথে জড়িত আছে এই শিক্ষার্থী বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এসময় আবিরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্ড উদ্ধার করা হয়। ব্যাংক কার্ডে ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যা গত দুইদিনে অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করা হয়েছে।পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির একটি বড় চক্রের অংশ হিসেবে সে কাজ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজনের প্রক্সি দিয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,আমাদের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে, এটা সে স্বীকার ও করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি । সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম
বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আজ সোমবার ১৭ মে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।মিস ইসলামকে আটকে রাখার পর রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানার পুলিশের কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরানো এবং মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কিছু অসৎ উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে প্রথম আলো পত্রিকার ব্যবস্থানা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ বলেছেন, "আক্রোশ থেকে" রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
"সম্প্রতি রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ, টিকা নিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন, যে প্রতিবেদনগুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা হচ্ছিল। সেই আক্রোশ থেকে তাকে সচিবালয়ে ৫ ঘন্টার বেশি আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে," মন্তব্য করেন সাজ্জাদ শরীফ।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের পিএস সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন সচিবালয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তার কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ রোজিনা ইসলাম বিনা অনুমতিতে তার ব্যাগে ঢুকানোর চেষ্টা করেন এবং মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার সময় তাকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে উপস্থিতি হন। ্এরপর, রোজিনা ইসলাম কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।