a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন আবির নামের একজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
আটককৃত শিক্ষার্থীর মোবাইল ঘেটে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার মোবাইল এর মেসেঞ্জার ঘেটে বিভিন্ন তথ্য পায় প্রক্টর অফিস।
ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেয়া প্রবেশপত্রে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায় সেজান মাহফুজ (রোল ৩০৯৯৭৬) বাবা মোঃ আবদুল বারী, মাতা: মোসাম্মদ মাহফুজা বেগম।
শনিবার (১৩ আগস্ট) ভর্তি পরীক্ষা দায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র ছবির সাথে আটককৃত শিক্ষার্থীর চেহারা মিল না পাওয়ায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে আবিরকে আটক করে।
প্রক্টর অফিসে জেরা করার মাঝে একটি ফোন কল আসলে সবার উপস্থিতি জোরপূর্বক কথা বলতে হয় তাকে মোবাইলফোনে লাউড স্পিকারে শোনা যায় আরেক ভাইবা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। বড় কোন চক্রের সাথে জড়িত আছে এই শিক্ষার্থী বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এসময় আবিরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কার্ড উদ্ধার করা হয়। ব্যাংক কার্ডে ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যা গত দুইদিনে অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করা হয়েছে।পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির একটি বড় চক্রের অংশ হিসেবে সে কাজ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজনের প্রক্সি দিয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,আমাদের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে, এটা সে স্বীকার ও করেছে। এ জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে ৮টি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ১৫ হাজার ৭০৮ জন। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ৬৩ জন।
‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১২০। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৬০ নম্বর এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪০ নম্বর থাকবে। এমসিকিউ-এর জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত বা বর্ণনামূলকের জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ও পাঁচটি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয়। অনুষদগুলো হলো, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ।
অপরদিকে, ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে আছে, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রভৃতি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিচারপতি, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালত সংশ্নিষ্টরা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উচ্চ আদালতে প্রবেশ করতে পারেন, বিষয়টি মাথায় রেখে গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, রোববার থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান, পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্নিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের মারামারিতে এক আইনজীবীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বৈঠকের পর আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সব গেটে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: সমকাল