a
ফাইল ছবি
গত ৯ই আগস্ট, ২০২১ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট (আই.এম.এল)-র চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে উক্ত ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল আড্ডার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দিবসটি ভার্চুয়ালি উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জুম অ্যাপের মাধ্যমে রাত ৯ টায় মিটিং শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক এবং সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোন্তাসির হাসান, সাবেক পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার, সহযোগী অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নিয়াজ আলমগীর, প্রভাষক রাবিতা রহমান এবং নতুন যুক্ত হওয়া তিনজন প্রভাষক যথাক্রমে সুরাইয়া আক্তার সুমনা, অর্পিতা হক ও বেঞ্জির এলাহী মুন্নি এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। ক্ষনিকের জন্য আই.এম.এল এর সাবেক অধ্যাপক ও জবির বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ যুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, "আই.এম.এল একটি আবেগের জায়গা। ৬০৫ নং রুম আমার অনেক স্মৃতি বিজড়িত একটি জায়গা।" তিনি ইন্সটিটিউটের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করেছেন। শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী সকলের প্রিয়মুখ তিনি। আই.এম.এল এর যাত্রা এবং বিভিন্ন সময় কীভাবে ইন্সটিটিউটের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন সে বিষয়ে স্মৃতিচারন করেন তিনি।
ভার্চুয়াল আড্ডায় আরো যুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অর্থ হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী নাসির উদ্দিন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিজেদের তৈরি গান, কবিতা এবং আই.এম.এল নিয়ে আবেগ-অনুভূতি ব্যক্ত করে অনেকেই। ক্ষনিকের জন্য সকলে ফিরে গিয়েছিল করোনা পূর্বকালীন আমেজে। দীর্ঘদিন পর একত্রিত হতে পেরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উভয়ই আনন্দিত।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ৯ই আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট (আই.এম.এল) যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছর মেয়াদী ইংরেজি ভাষা বিষয়ের উপর বি.এ সম্মান চালু হয়। এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচ চলমান আছে। এছাড়া আরবি, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার উপর ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স চালু আছে। বর্তমানে ইন্সটিটিউটে মোট আটজন শিক্ষক এবং বি.এ সম্মান এ ১১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর ৯ই আগস্ট শিক্ষার্থীরা আই.এম.এল ডে পালন করে যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনন্য। ইন্সটিটিউটটি নতুন হলেও এখানকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ফাইল ছবি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিবেকবান নাগরিক সমাজ।
আগামী বুধবার সকাল ১০টায় ‘বিবেকবান নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার ‘বিবেকবান নাগরিক সমাজ’-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানসহ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
আয়োজকরা জানান, ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, শ্রমজীবীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে লংমার্চ সফল করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলছে। দীর্ঘ অনশনে অনেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কেউ অনশন ভাঙেননি। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট কেউ শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এগিয়ে আসেননি। তাদের দাবি পূরণে আশ্বাসও দেখা যায়নি।
এভাবে টানা অনশনে ছাত্র-ছাত্রীরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা জীবন বিপন্ন করে অনশন কর্মসূচি পালন করছে, আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের মধ্যে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আগামী বুধবার ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিবেশ পরিষদের সাবেক সদস্য এম এ হাশেম রাজু ২য় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। ৩০ জুন আইএইচআরসি ডেনমার্ক হেড অফিস হইতে জারিকৃত রেফারেন্স নং-আইএনটি৮৩৯/আইএইচআরসি৮৯৪৫বি এর মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
নিয়োগ রেফারেন্সে বলা হয়, মানবাধিকারের প্রতি আপনার অসাধারণ নিষ্ঠা, অঙ্গীকার এবং মানবতার জন্য অসামান্য সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ, আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আপনার পুনর্নিয়োগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পেরে আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি। আপনার জীবন এবং কর্মকাণ্ড সেই মূল্যবোধের প্রতিফলন যা আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাহস, আত্ম-সেবা এবং সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সত্যকে ধারণ করি। বাংলাদেশে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জনাব পিটার ডি হাস এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে হুমকি প্রদানকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আপনার নির্ভীক আইনি পদক্ষেপ ন্যায়বিচার এবং সততার প্রতি আপনার অটল অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। বিষয়টি এখন বাংলাদেশের মাননীয় আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যা নীরবতার চেয়ে আইনানুগ প্রতিরোধে আপনার বিশ্বাসের প্রমাণ।
এমন এক সময়ে যখন বিশ্বকে শান্তির জন্য সত্যিকারের কণ্ঠস্বরের প্রয়োজন, আপনার নেতৃত্ব কেবল সময়োপযোগীই নয় বরং গভীরভাবে অর্থবহও। আপনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, অন্যরা যখন নীরব ছিল তখন আপনি আপনার আওয়াজ তুলেছেন এবং যেখানে অন্ধকার আছে সেখানে আপনি আলো হয়ে আছেন। আমরা নিশ্চিত যে আপনার উপস্থিতি বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তির অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য আইএইচআরসি’র লক্ষ্যকে আরও জোরদার করবে। এই পুনর্নিয়োগ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিক যে আপনার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী দেখা, মূল্যবান এবং সম্মানিত। আপনি কেবল পদবিতে নেতা নন, বরং ন্যায়বিচার, শান্তি এবং মানবতার মশালবাহক।
এই পুনর্নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং জারির তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য বৈধ থাকবে, আপনার অব্যাহত অবদান এবং কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে।আমরা আপনার নেতৃত্বে আস্থা রাখি এবং আশা ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে আইএইচআরসি’র সাথে আপনার অব্যাহত যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিয়োগ পাওয়ায় এম এ হাশেম রাজু কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আইএইচআরসি’র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, আইএইচআরসি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের অ্যাম্বাসেডর প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. জিনুবধি ভিক্ষু, সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, প্রফেসর ড. এম এ গফুর, বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী, আইএইচআরসি’ নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, পরিচালক বিপ্লব পার্থ, প্রফেসর মো. ইকবাল হোসেন, প্রফেসর ড. আক্তার হোসেন, আইনজ্ঞ মো. আব্দুল মমিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, গোলাম সরোয়ার খান, এ্যাড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সোনিয়া সরোয়ার খান, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী, এ্যাড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।