a
ফাইল ছবি
পুরান ঢাকায় কলতাবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত রবিবার (২৭ জুন) পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাসায় ফিরে আসার সময় কবি নজরুল কলেজের পাশে ইউনিস্টন গলিতে প্রবেশ করলে নির্জন রাস্তার সুযোগে আমাকে আক্রমণ করে একটি ছেলে। এ সময় আমার চিৎকারে মহানগর মহিলা কলেজের দিকে দৌড়ে পালায় যুবক। আশপাশে মানুষ থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ(২৯ জুন) বেলা ১২ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ যৌথ মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলে লাঞ্চিত শিক্ষার্থীর বিচারের জন্য প্রক্টরকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সুত্রাপুর থানার এস আই হাফিজ বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয় নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী পরাগ হোসেন বলেন-"বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করা হয়েছে, কিন্তু সুত্রাপুর থানার এস আই হাফিজ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে এবং বিষয়টিকে একদমইই গুরুত্ব দেননি।এস আই হাফিজ বলেন ধর্ষন তো করা হয় নি! পরাগ আরো বলেন আমরা থানা থেকে তেমন কোন সাহায্য পাই নি।"
এছাড়াও মানববন্ধনে ঘটনাস্থলের থানা থেকে সিসি টিভির ফুটেজ দেরিতে নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল আসামিদের গ্রেফতারের অগ্রগতি সম্পর্কে মুঠোফোনে জানান, সন্দেহজনক ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তাদের সামনে হাজির করা হলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি। আজ আমি নিজে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিকালে থানায় যাব সেখানে একশত-এর ও বেশি কিশোর গ্যাং অপরাধচক্রে জড়িত ও অন্যান্য আসামিদের তালিকা দেখানো হবে তাদের মধ্যে কেউ আছে কি না তা চিহ্নিত করা হবে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগ্রহ করা হয়েছ্ব। পুলিশ আশাবাদী যেকোনো উপায়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সদা তৎপর আছি।
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কটূক্তি ও অবান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদে ও তাদের দৃষ্টানত মূলক শাস্তির দাবিতে ২৩ মে (সোমবার) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিজ্ঞান অনুষদ, ভিসি চত্বর, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে ভাষা শহীদ রফিক ভবনে এসে শেষ হয়। এ সময় জমায়েত হয়ে ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো ক্যাম্পাস।
উক্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। এসময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদলকে মাফ না চাওয়া পর্যন্ত জগন্নাথে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হল।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ থেকে ছাত্রদল অবাঞ্চিত। আপনারা ছাত্রদলের অছাত্রদের দেখা মাত্রই প্রতিহত করবেন।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বিজয় মাসের প্রথম দিনকে (১ ডিসেম্বর) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে মুক্তযোদ্ধা কল্যাণ ফাউন্ডেশন।
আলোচনা সভাটি বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বাসকপ ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। অত্র ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম মমতাজুল করিমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তযোদ্ধা বিচারপতি ড. আবু তারিক ও প্রধান আলোচক বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস.এম. জাকির হোসেন।
প্রধান আলোচক তার বক্তৃতা বলেন, আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বুকের তাজা রক্ত বিসর্জন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। এখন এদেশকে আমরা সকলে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবো। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এদেশের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে যেন কার্পণ্য না করি। তিনি বলেন, আমার দপ্তরে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাপ্তরিক কাজ থাকলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। আমি আশা করি, অন্যরাও তাদের সম্মান দিতে যেন কার্পন্য না করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ........., ........ বাঙ্গালি ও মুক্তসংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক ও হিউম্যান রাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভেলপমেন্ট-এর নির্বাহী সম্পাদক মোহা. খোরশেদ আলম প্রমুখ।