a
ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মরণোত্তর চক্ষুদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মরণোত্তর চক্ষুদানবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার মৃত্যুর পর চক্ষুদান করতে চাই। মৃত্যুর পর আমার চোখ যদি কারও কাজে আসে, তাহলে আমি খুশি হব।’
তিনি বলেন, ‘চক্ষুদানের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তি দৃষ্টি শক্তি পেলে মানুষ মরেও বেঁচে থাকতে পারে। এটা সোয়াবের কাজ, ভালো কাজ এবং পুণ্যের কাজ। আমার মৃত্যুর পর চোখ কারও কাজে লাগলে ভালো লাগবে। এ চক্ষুদানকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে পারলে অনেক মানুষের উপকার হবে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শহরের মানুষের মধ্যে অপেক্ষাকৃত মানবিকতা কম। সব কাজই নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ উদার। অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। তাই মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলন উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে ভালো সুফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে কর্নিয়া সংগ্রহ করা গেলে, অনেক মানুষ পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) হারুন-অর-রশিদ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বরেন চক্রবর্তী, আমিনুল ইসলাম লিটু প্রমুখ।
ফাইল ছবি : মাহবুব তালুকদার
মানবাধিকারের আলোচনা এখন সর্বত্রে। মানবাধিকার উৎসারিত হয় ভোটের অধিকার থেকে। আমাদের সংবিধানের স্পিরিটই হচ্ছে তাই। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষা করা এখনও সুদূরপরাহত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একমাত্র নির্ভেজাল গণতন্ত্রই মানবাধিকারের গ্যারান্টি দিতে পারে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ আইনানুগ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
২। নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করে আচরণবিধি লঙ্ঘন সুষ্ঠু নির্বাচনের গোড়া কর্তনের নামান্তর। কতিপয় সংসদ সদস্য সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। কেবল চিঠি দেওয়া ছাড়া তাদের সম্পর্কে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
আবার কেউ কেউ সেই চিঠি উপেক্ষা করেছেন। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ অনিবার্য ছিল। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার না করা হলে তাদের সম্পর্কে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাদেরকে সামান্য অর্থদন্ড প্রদান ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছাড়া আইনের কঠোর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
৩। সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ যেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। ইউপি নির্বাচনে এখন উৎসবের বাদ্যের বদলে বিষাদের করুণ সুর বাজছে। কিন্তু নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। নির্বাচনি সন্ত্রাস প্রতিহত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের প্রতিঘাত আরও জোরদার করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সন্ত্রাসের কারণ অনুসন্ধান করে তা থেকে অব্যাহতির উপায় উদ্ভাবন অপরিহার্য।
তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রথা উঠিয়ে না দিলে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন চাই।
৪। নির্বাচনের মৌলিক শর্ত ভোটের আগে ও পরে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা বিধান। আমরা যথাযথভাবে তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর দায় এড়াতে পারবে বলে মনে হয় না। পত্রিকা মতে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় যেমন টাঙ্গাইল (ডুবাইল), কুড়িগ্রাম (যাত্রাপুর), নেত্রকোণা (দূর্গাপুর), ফেনী (ছাগলনাইয়া), কুমিল্লার আদর্শ সদর (পাস্তুরি), সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর (জালালপুর), কিশোরগঞ্জ (ভৈরব), রাজশাহী (চারঘাট), হবিগঞ্জ (সদর), ঠাকুরগাঁও সদর (আখানগর), গোপালগঞ্জ (কোটালীপাড়া), গাইবান্ধা (জুমারবাড়ি), যশোর (কেশবপুর), সাভার (আশুলিয়া) ইত্যাদি স্থানে নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে গেছে।
যে কোনো মূল্যে ব্যালট পেপারের সুরক্ষা দিয়ে এই অবস্থার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। স্মরণযোগ্য যে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব রাতে ব্যালট পেপারের ঘটনাটি বিবিসি প্রকাশ করার পর নির্বাচন কমিশন দিনের ভোট রাতে করে বলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই। এটি কোনভাবেই কাম্য ছিল না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরের ডাকা শাহবাগের বিক্ষোভ কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত প্রোগ্রামটি স্থগিত করা হল।