a
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় তিনি এ নমুনা দেন।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শে করোনার নমুনা নেওয়া হয়। বিকাল ৩টার দিকে ল্যাবএইডের টেকনোলজিস্ট মো. সবুজ তার বাসায় প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুনও বাসায় যান। এ সময় তার উপস্থিতিতে খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। যদিও তাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ আবারও শুরু হয়েছে। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নির্বাচনি এলাকা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন।
আজ বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ ছাড়া কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. আইয়ুব মিয়াও উপস্থিত রয়েছেন।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এই পর্বে মৌলিক সংস্কারের ২০টির মতো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে ৯টি বিষয়ে। ঐকমত্য হয়েছে মাত্র দুটি বিষয়ে। আর কিছু ক্ষেত্রে আংশিক ঐকমত্য হয়েছে। তবে কোনো বিষয় এখনো আলোচনার টেবিল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
যেসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, বিরোধী দল থেকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা, ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোট, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল (এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ কত সময় প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন) এবং সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি। এর মধ্যে এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’ গঠনের নতুন প্রস্তাব আনা হয়।
এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ৭০ অনুচ্ছেদ ও বিরোধী দলগুলোকে আসনের অনুপাতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। পাশাপাশি এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন—এমন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি একমত হলেও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএনপি বলেছে, সংবিধানে এনসিসি বা এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের বিধান রাখা হবে না। এই শর্ত পূরণ হলে তারা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকালের বিষয়টি মেনে নেবে।
এ ছাড়া নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি, জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রক্রিয়া, স্থানীয় সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব, উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল গঠন ইত্যাদি বিষয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি।
এর আগে গত ২৯ জুনের বৈঠকের শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে (১৬ জুলাই) সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটি কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের এখন খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।’
সূত্র: ইউএনবি।