a
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য দেন। হয়তো তার কোনো এজেন্ডা আছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য তিনি এমন বক্তব্য দেন।’
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সোনারগাঁও হোটেলে ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসন শীর্ষক কর্মশালা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদারের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, উনি তো সব সময় এরকম বলেন। একেকটা সময় একেকটা শব্দ চয়ন করেন। এই কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রচারমূলক। নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়া কথা।
সিইসি আরও বলেন, ‘ভোটযুদ্ধ আছে, ভোট নেই! তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোথা থেকে আসে? টেলিভিশনে দেখেছেন, সারিবদ্ধভাবে নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কি ভোটার নন? সুতরাং ওনার কথার কোনো সংগতি নেই।’
এর আগে গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ যেন ইউপি নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। ইউপি নির্বাচনে এখন উৎসবের বাদ্যের বদলে বিষাদের করুণ সুর বাজছে। নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি: লুৎফর রহমান নয়ন
প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল আদালতে একটি মামলাও করেছেন তার প্রেমিকা।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। পিবিআইকে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণীতে জানা জানা যায়, গুরুদয়াল কলেজ ক্যাম্পাসে লুৎফর রহমান নয়নের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত বছরের ২০ অক্টোবর ওই তরুণীকে শহরের গাইটাল এলাকায় জুয়েল রানা নামে তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায নয়ন। সেখানে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় নয়ন। তবে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি নয়নকে জানায় তার প্রেমিকা। শুনে নয়ন বলে, গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে তাকে ১ সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে।
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নয়ন মেয়েটিকে ট্যাবলেট খাইয়ে গর্ভপাত করায়। এরপর থেকে বিয়ের মেয়েটি বিয়ের কথা বললে এড়িয়ে যায় নয়ন।