a
ফাইল ছবি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শনিবার দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়ে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে যার অবস্থান থেকে যতটুকু জায়গা পান অন্তত গাছ লাগান। তিনটা করে গাছ লাগাতে পারলে সব থেকে ভালো হয়। আর সেটা যদি না পারেন অন্তত একটা গাছ লাগালেও লাগাবেন। তো আমরা চাই যে একটা ফলদ, একটা বনজ আর একটা ভেষজ এই ধরনের গাছ লাগান।
তিনি বলেন, পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই দেশ আমাদের। আজকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সবুজ বাংলাকে আরো সবুজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সবুজায়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
শনিবার সকালে গণভবনে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান-২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাছ আমাদের জীবনে অনেক উপকার দেয়। সেজন্য সকলকেই আমি আহ্বান জানাব যে পরিবেশ রক্ষায় এবং আপনার নিজের আর্থিক সচ্ছলতার ক্ষেত্রে, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সবদিক থেকেই যেটা সব থেকে উপযোগী সেটা হচ্ছে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন করা।
তিনি বলেন, শুধু গাছ লাগালে হবে না, গাছটা যাতে টিকে থাকে তার জন্য সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। গাছ ফল দেবে অথবা কাঠ দেবে অথবা আপনাদের ওষুধ দেবে। এর দ্বারা সবাই নানাভাবে উপকৃত হবেন। কাজেই আসুন আমরা সকলে মিলে ব্যাপকভাবে এই দেশে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরো সোনার সবুজ বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি।
ফাইল ছবি
মহাকাশযানে ছিলেন মহাকাশে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের শুটিং করতে যাওয়া রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিত্স্কি। অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছেন বলে জানা যায়।
হঠাৎ কেঁপে উঠে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন রাশিয়ার মহাকাশযান ‘সয়ুজ এমএস-১৮’-র ধাক্কায়। নিজের কক্ষপথ থেকে মহাকাশ স্টেশন ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরে যেতে বাধ্য হলো রুশ মহাকাশযানের ধাক্কায়।
সেই মহাকাশযানে ছিলেন মহাকাশে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের শুটিং করতে যাওয়া রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিত্স্কি। তবে অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছেন।
গত জুলাইয়ে আরেকটি রুশ মহাকাশযানের অবতরণের সময় এমনভাবেই থরথরিয়ে কেঁপে উঠেছিল মহাকাশ স্টেশন। তারপর মহাকাশ স্টেশনের রুশ অংশে আগুন লেগে ধোঁয়া বেরিয়ে আসার ঘটনাও ঘটেছিল গেল সেপ্টেম্বরে।
আমেরিকার হিউস্টনেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, এবারের ঘটনাটি ঘটেছে ভারতীয় সময়ে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে।
চলচ্চিত্রের শুটিং হয়ে যাওয়ার পর অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালককে নিয়ে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিতে তৈরি হচ্ছিল রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-১৮।
রবিবারই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ওই রুশ মহাকাশযানের। রুশ মহাকাশযানটি নামানো হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়ার যে গবেষণাগারটি রয়েছে, সেই ‘নাওকা মডিউল’-এ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্যে রুশ মহাকাশযানটির থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো পরীক্ষা করে দেখছিলেন রুশ মাহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা। তখন থ্রাস্টার ইঞ্জিন চালু করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বন্ধ করা যায়নি মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাদের সজোর ধাক্কায় থরথরিয়ে কেঁপে ওঠে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেই ধাক্কা নিজের কক্ষপথ থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরিয়েও দেয় মহাকাশ স্টেশনকে।
তারপর ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় রুশ মহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা বন্ধ করতে সক্ষম হন মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাতে মহাকাশ স্টেশনের কাপুনিও বন্ধ হয়ে যায়।