a
ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশে ধর্ম শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে, চরমোনাই পীরের এ বক্তব্য একেবারেই সঠিক নয়। ধর্ম শিক্ষাসহ দেশের নৈতিকতা শিক্ষা আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছে।’
আজ শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিশেষ মহল অন্য ইস্যু খুঁজে না পেয়ে সরকারবিরোধী অপপ্রচারে নেমেছ। এর অংশ হিসেবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এ মন্তব্য করছে। আগে থেকেই ধর্ম শিক্ষাসহ নৈতিক শিক্ষার কার্যক্রম অনেক বাড়িয়েছে সরকার। এ কার্যক্রম সামনে আরও বাড়ানো হবে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেন, ‘শিক্ষা যেকোনো জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার কথা নতুন শিক্ষাক্রমে বারবার উল্লেখ করা হলেও ইসলামী শিক্ষাকে সামষ্টিক মূল্যায়নে ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগে ঐচ্ছিক রেখে কৌশলে সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নীতি নৈতিকতাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রজন্ম হিসেবে গড়ে ওঠার দ্বার উন্মোচিত হবে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ফটো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিলে উল্লেখিত মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতুবি যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বৈঠকে ৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদে দল মনোনিত একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে শনিবার দল মনোনিত ৩০০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
৬৩ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মঠবাড়িয়ার মিরুখালীতে মো. আবু হানিফ খান, নেছারাবাদের সমুদয়কাঠীতে মো. হুমায়ুন কবির, বেতাগীতে মো. হুমায়ুন কবির, দশমিনার আলীপুরে মো. মিজানুর রহমান, কাঠালিয়ার আওরাবুনিয়াতে মো. মিঠু সিকদার, বামনার বুকাবুনিয়ায় মীর আসাদুজ্জামান, পলাশের গজারিয়ায় মো. বদুরুদ জামান ভূঞা, ডাংগায় মো. সাবের উল হাই, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়ায় মো. আবু বকর মিঞা, বক্তারপুরে আতিকুর রহমান আখন্দ, জাঙ্গালিয়ায় গাজী সারওয়ার হোসেন, বাহাদুরসাদীতে মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জামালপুরে মো. মাহবুবুর রহমান, মোক্তারপুরে আলমগীর হোসেন, ছাতকের ভাতগাঁওয়ে আওলাদ হোসেন, নোয়ারাইয়ে মো. আফজাল আবেদীন, সিংচাপইরে মো. মোজাহিদ আলী, রামগতির চর বাদামে সাখাওয়াত হোসেন জসিম, চর পোড়াগাছায় মো. নুরুল আমিন, চর রমিজে মোজাহিদুল ইসলাম, কমলনগরের চর ফলকনে মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন, হাজিরহাটে মো. নিজাম উদ্দিন, তোরাবগঞ্জে মীর্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেল।
সুবর্ণচরের চরবাটায় মো. আমিনুল ইসলাম, চরক্লার্কে মো. হানিফ, চরওয়াপদায় আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, চরআমানউল্যাহে বেলায়েত হোসেন, পূর্বচরবাটায় আবুল বাসার মঞ্জু, মোহাম্মদপুরে মহি উদ্দিন চৌধুরী, হাতিয়ার চরঈশ্বরে মো. আলাউদ্দিন আজাদ, চরকিংয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ, তমরুদ্দিতে ফররুক আহমেদ, সোনাদিয়ায় মেহেদী হাসান, বুড়িরচরে জিয়া আলী আকবর, জাহাজমারায় এটিএম সিরাজ উদ্দীন, নিঝুমদ্বীপে মো. দিনাজ উদ্দিন, সন্দ্বীপের বাউরিয়ায় মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, গাছুয়ায় মো. আবু হেনা, সন্তোষপুরে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আমানউল্লায় মাহাবুল আলম নওশাদ, হরিশপুরে আবুল কাসেম মোল্যা, রহমতপুরে মোহাম্মদ ফরিদুল মাওলা, আজিমপুরে মো. আব্দুল আজিজ, মুছাপুরে মো. আবুল খায়ের, মাইটভাঙ্গায় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সারিকাইতে ফখরুল ইসলাম, মগধরায় এসএম আনোয়ার হোসেন, হারামিয়ায় মো জসিম উদ্দিন, মহেশখালীর হোয়ানকে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মাতারবাড়ীতে আবু হায়দার, কুতুবজোমে মো. শেখ কামাল, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সিকদার, বড়ঘোপে আবুল কালাম, দক্ষিণধুরংয়ে মোহাম্মদ আজম, কৈয়ারবিলে মো. আজমগীর, লেমশীখালীতে রেজাউল করিম, উত্তরধুরংয়ে মো. ইয়াহিয়া খান, পেকুয়ার টেটংয়ে জাহেদুল ইসলাম, টেকনাফের হ্লীলায় রাশেদ মাহমুদ আলী, সাবরাংয়ে সোনা আলী, সেন্টমার্টিনে মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, টেকনাফে আবু ছৈয়দ ও হোয়াইক্যংয়ে আজিজুল হক।
সূত্র জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দল মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: ঐক্য জীবনের প্রতিটি স্তরে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি এবং এটি একটি ক্লাব থেকে শুরু করে একটি জাতিরাষ্ট্র পর্যন্ত সাফল্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। যে কোনো সাফল্যের জন্য ঐক্য অপরিহার্য। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মধ্যে এক নতুন ঐক্যের জন্ম দিয়েছে। আমরা আবারও ১৯৭১ সালের মতো জাতীয় ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছি এবং এটি জাতির জন্য মহান বিজয় এনেছে, যার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে।
ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন সহজ ছিল না, কিন্তু জনগণ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামী শক্তি অত্যন্ত আন্তরিক ও সংকল্পবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কখনোই ফ্যাসিস্ট সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছাড়া ছেড়ে দেয়নি এবং গত পনেরো বছরে তাদের অনেক নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ছিল এবং তারা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া হয়নি; বরং পুরো ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা বাড়িতে বন্দী থাকতে বাধ্য হয়েছেন। বিনা কারণে কয়েকজন শীর্ষ নেতা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন।
হেফাজতে ইসলামের অনেক নেতা-কর্মীকে ফ্যাসিস্ট সরকার হত্যা করেছে। অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের আলেমগণও এই সময়ে অত্যন্ত কষ্ট ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তবে কোনো কিছুই জনগণের মনোবল ধ্বংস করতে পারেনি এবং পুরো জাতি ধৈর্যের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের অপেক্ষায় ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে এটি সম্প্রতি ঘটেছে এবং তিনি আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছেন যাতে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অত্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং এটি জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে গতি পায়। এরপর রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ দেয় এবং ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়।
আমরা জাতি হিসেবে সম্প্রতি অর্জিত জুলাই-আগস্ট বিজয়কে হারানোর সামর্থ্য রাখি না। বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র সমাজ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার— সকলের উচিত এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা, যা ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত এই বিজয়কে নষ্ট করতে পারে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণা যত দ্রুত সম্ভব দেওয়া উচিত ছিল এবং সবকিছু সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা যেত। এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি, এবং এখনই সময় নষ্ট না করে এটি করা উচিত।
তবে এই ঘোষণা অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে হওয়া উচিত এবং জাতীয় সিদ্ধান্তে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
সমস্ত রাজনৈতিক বিষয় এবং সংস্কারের ব্যাপারগুলো পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। কারণ, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক শত্রুরা আমাদের ঐক্য ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় রয়েছে। ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য আমাদের নিজেদের ভুলের কারণে যেন ভবিষ্যতে নষ্ট না হয়।
লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।