a
ফাইল ছবি: নবনির্মিত ডাক ভবন
নবনির্মত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন ’ এর আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ডাক বাক্সের মডেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁওয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা আরম্ভ হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ এখন সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী। এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফাইল ছবি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তারা 'নিরপেক্ষ নন' বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার ভিডিওসহ এক টুইটে শাহরিয়ার আলম এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, সবাইকে অবশ্যই জানা উচিত যে, এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন হলো তারা কি বিনা পয়সায় এটা (বাংলাদেশে এসে কাজ) করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের পারিশ্রমিক দিচ্ছে? আমরা সবাই এই 'কেন'র উত্তর জানি।
একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক তার এই টুইটটি রিটুইট করে লিখেছেন, 'পশ্চিমা সমাজে কোনো কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না! মজুরি ঘণ্টাভিত্তিক পরিষেবার ভিত্তিতে!'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের জবাবে জন ড্যানিলোভিজ বলেছেন, এটি দুঃখজনক যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী চরিত্র হননের সঙ্গে জড়িত। আমি বুঝতে পারি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি যে তিনি এই ধরণের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আছে। আমি এখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।'
শাহরিয়ার আলমের টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সঙ্গে সাবেক দুই কূটনীতিকদের সম্পর্কের গভীরতা দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিত ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন ড্যানিলোভিজ ২০০৭ সাল এবং ২০০৮ সালে সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে ২ বার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও ম্যাগাজিনটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলমান ৫ ম্যাচ টিটুয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখতে আজকেও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ তবে আজ ও বরাবরের মত ব্যর্থ ওপের সৌম্য সরকার, আজ ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করতে পেরেছে মাত্র আট রান। এরপর কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন নাইম শেখ দলীয় ৪৮ রানে সাকিব ফিরে গেলে এর পর আর কেউ দলের হার ধরতে পারেনি সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ২৮ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন নাইম শেখ শেষ দিকে শেখ মাহাদির ১৬ বলে ২৩ রান না হলে শত রান ও করতে পারতো না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে মাত্র ১০৪ রান যোগ হয় বাংলাদেশের খাতায়।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারায় সফরকারীরা তারপর সতর্ক ব্যাটিং করতে থাকে অজিরা ওয়ানডাউনে নামা ক্রিসচিয়ান সাকিবের এক ওভারে ৫টি ছক্কা মেরে সেখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তারা। যদিও আজ মুস্তাফিজুর রহমানের চোখ ধাধানো বোলিং হার ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতে ৩ উইকেট হাতে রেখেই সফরের প্রথম জয় তুলে নেয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড করেছেন সাকিব ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান মূলত সেখন থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশঃ ১০৪/৯ (নাইম ২৮, মাহাদি ২৩, সুইপ্সন ৩/১২, টাই ৩/১৮)
অস্ট্রেলিয়াঃ ১০৫/৭( ক্রিসচিয়ান ৩৯, এশটন আগার ২৭ মুস্তাফিজ ২/৯, মাহাদি ২/১৭)