a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান অস্থায়ী সরকার গঠন করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশকে দেখে নয়, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ‘নিজস্ব’ সিদ্ধান্তে নেবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (ইউরোপে) কেউ কেউ বলেছে, বিবিসি বলেছে, আপনারা ইন্ডিয়া যেটা করবে, সেটা করবেন কি না? কিংবা পাকিস্তান যেটা করে, সেটা করবেন কি না? 'আমরা বলেছি যে, কে কী করল আমরা দেখব না।’
যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের নেতারাও বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করেছেন, আমরা ওনাদের ব্যান্ডওয়াগনে জয়েন করব কি না? আমাদের কী পজিশন?
তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে, আফগান ইস্যুটা আমরা এখনো পর্যবেক্ষণে আছি। তারা বলছেন যে, নতুন সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেব কি না? আমরা বলেছি, তাদের অবস্থা দেখি। তাদের এটিচিউড, তাদের পলিসিস, তাদের প্রজেক্টস- এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানে সেদেশের জনগণের বৃহত্তর অংশের সমর্থনে সরকার গঠিত হলে, তাদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতির অবিনতির ফলে অনলাইনে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জানানো হয়। এতে বলা হয়, কোনও অবস্থাতেই জনসমাগম করা যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উদযাপনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসমাগম এড়িয়ে অনলাইন বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরও করোনা পরিস্থিতির জন্য ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি। সেসময় বিভিন্ন সংগঠন ভার্চুয়ালি বর্ষবরণের আয়োজন করেছিলেন।
ফাইল ছবি
দেশে চলমান টানা লকডাউনে বন্ধ আছে দূর পাল্লার বাসসহ লঞ্চ পরিবহন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের মাঝেও টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর, সাভার ও গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আর পুলিশ কর্মকর্তা জানালেন, রাস্তায় এতো মানুষ তাই এখন পুলিশের আর কিছু করার নেই।
পবিত্র ঈদ যত কাছে আসছে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ ততোই বাড়ছে। আজ বুধবার (১২ মে) একেবারে সকাল হতেই লক্ষ্য করা যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে হাজারো মানুষ বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়েছে। বিভিন্ন পন্থায় মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। কেউ মালবাহী ট্রাকে, কেউ বা ভাড়া করা প্রাইভেট কারে। তবে গাজীপুরের চন্দ্রায় দেখা যায় উল্টো চিত্র। সরকারের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শ্রমিকরা দূরপাল্লার বাস নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে।
বাস চালকদের মতামত ছিল সামনে ঈদ তাদের আর কোন আয়ের উৎস নেই, তাই তারা বাধ্য হয়ে বাস নিয়ে সড়কে নেমেছেন। আর যাত্রীরা জানালেন, বাস তো রাতের বেলায় হরহামেশা চলছেই তাহলে অযথা বাস বন্ধের এই নাটক করে কেন আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে? মাঝখান থেকে আমাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা ছিল, যে যেখানে আছে সে সেখানেই ঈদ করবেন কিন্তু জনগন সে নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাড়ি ফিরছে স্বজনদের সাথে ঈদ করতে।