a
ফাইল ছবি
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আম উপহার পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, গত বছরের মতো এবারও পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে তাজা পাকিস্তানি আম পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙা আম উপহার পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফাইল ছবি । বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আজ রবিবার ভোরে শরীরে তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিকালে মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা বৈঠক করে প্যাথলজি টেস্ট দিয়েছে। এর রেজাল্ট আজই আসবে।
পরীক্ষার পরই বুঝা যাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল। আজ মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্যারামিটারসগুলো উঠানামা করছে। চিকিৎসকরা সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। জ্বর আসার পর একাধিক প্যাথলজি টেস্ট করানো হয়েছে। এর রেজাল্ট আসলে বোঝা যাবে এটা স্বাভাবিক জ্বর, নাকি অন্য কিছু। জ্বর স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ছিল, মেডিকেল বোর্ড এর কারণ খুঁজছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর ডায়বেটিসের মাত্রা ১১-১৩ এর মধ্যে আছে। হিমোগ্লোবিন বাড়ছে না।
মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন সদস্য জানান, পোস্ট কোভিডের চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসাগুলো এখনো সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সেগুলো সামনে আসছে। এজন্যই আমরা বলছি, হাইয়ার সেন্টারে ট্রিটমেন্ট নেওয়া দরকার। যেখানে মাল্টিপল ডিজিসের ট্রিটমেন্ট পসিবল। এখন মূলত সমস্যা কিনডি ও রক্তের হিমোগ্লোবিনে।
কিনডির সমস্যায় খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। কিডনির ক্রিয়েটিনিন কয়েকদিন ধরেই বডার লাইনক্রস করছে। এর মাত্রা প্রায় ২ মিলিগ্রাম। এটা কেন কমছে না, এজন্যই মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। হার্টেও সমস্যা আছে।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এমপি বলেছেন, অত্যন্ত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং সামনের দিকে আরো অনেক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটা আমার আশঙ্কা। যদি না হয় আমি খুশি হব। আমি আশঙ্কা করছি, দেশের মানুষ একটা আগ্নেয়গিরি জ্বালা বুকের মধ্যে নিয়ে বসে আছে। বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে। গোজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। বাস্তবে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে।
জি এম কাদের শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে এমন অনেক আইন করা হয়েছে, মুখ খুলে কথা বললে দেশদ্রোহী হয়ে যাবেন। এখন আর মনের কথা বলা যায় না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে এটা দেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং দেশদ্রোহী মামলা হয়। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি—মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, দেশে এখন সবচেয়ে বেশি বৈষম্য হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণের মালিকানাধীন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আজকে বর্তমান সরকারের দল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে নিজেদের মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু আমি পক্ষে-বিপক্ষে বলব না। বললে তো কালকে আবার ফাঁসিতে নিয়ে যেতে পারে। দেশের একটি শ্রেণির মানুষ সরকারি দল করে তারা বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তারা লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে দেশের বাইরে পাচার করছে। বেশির ভাগ মানুষকে চাকরি-বাকরি ও আইনি সহায়তাসহ সবক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ফেলা হচ্ছে। তারা দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।
সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটিতে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র সহসভাপতি পদে হুমায়ুন কবির মুন্সীর নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দুপুরের পর থেকে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় টাউন হল মাঠ। সূত্র:ইত্তেফাক