a
ফাইল ছবি
হঠাৎ করেই ঠান্ডা বাতাস বইছে। এই বাতাসে শীত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তরের বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঢাকায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি, আর শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিতে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এছাড়া বাতাসের কারণে ঠান্ডাটা আরেকটু বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।
চলতি সপ্তাহের শেষে উত্তরাঞ্চল থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ও আজ সেখানে একই তাপমাত্রা ছিল।
আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উল্লেখ্য, এখনও উত্তরাঞ্চল কিংবা দেশের অন্য কোথাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি।
ফাইল ছবি
জাপান থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ লাখ ৮১ হাজার লাখ টিকার চতুর্থ চালান দেশে পৌঁছেছে।
আজ শনিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের এ অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা পৌঁছে।
এর আগে গত ২ আগস্ট জাপান থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টিকার তৃতীয় চালান আসে। ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ টিকার দ্বিতীয় চালান আসে।
আর গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টিকার প্রথম চালান ঢাকায় আসে। ইতিপূর্বে, জাপান বাংলাদেশকে ৩০ লাখ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ঠেকানো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ গতকাল সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের শুরুতে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে মেরুকরণের পরিবেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে তাদের কাজের জন্য প্রতিশোধ বা নিষেধাজ্ঞায় ফেলা উচিত হবে না। ’
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, সদ্যোবিদায়ি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত গত মাসে বাংলাদেশ সফরকালে সব ধরনের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অনলাইনে নিয়ন্ত্রণমূলক আইন বদলাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিশেল বাশেলেত গত মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব শেষ করেন। নতুন হাইকমিশনার নিয়োগপ্রক্রিয়া এখনো শেষ না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের উপহাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ গতকাল অধিবেশনের শুরুতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মানবাধিকার পরিষদকে অবহিত করেন। সেখানে অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসে।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার গত মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক হাইকমিশনার (মিশেল বাশেলেত) সব ধরনের উদ্বেগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের (বাংলাদেশ) সঙ্গে আলোচনা করেছেন। অনলাইনে মত প্রকাশ ঘিরে নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলো পর্যালোচনা করতে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের সহযোগিতা নেওয়ার প্রস্তাব দেন।’
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, সাবেক হাইকমিশনার আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত গত মাসে বাংলাদেশে চার দিনের সফর করেন। সফর শেষে গত ১৭ আগস্ট ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগগুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ওই অভিযোগগুলোর স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং নিরাপত্তা খাতের সংস্কার হওয়া দরকার।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ ‘ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফরম (ওটিটি)’ সংক্রান্ত বিধি-বিধান আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়াবিষয়ক ১০টি সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ সরকারকে দিয়েছে। বর্তমান খসড়া আইনে পরিণত হলে মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কাও দেখছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ায় জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার অত্যন্ত প্রশংসা করেছে। উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে জাতিসংঘ তার মন্তব্য জানিয়েছে।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা ওই আইনটির সংশোধিত সংস্করণ এবং এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ সূত্র: কালের কন্ঠ