a
ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আজ শুক্রবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। খবর তথ্য বিবরণীর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র আশুরা অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। বিভিন্ন কারণে এ দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক সংকটময় সময়ে আশুরা পালন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।’
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করার কথা বলেন যেন এই সংক্রমণ থেকে আমরা সবাই দ্রুত মুক্তি পাই। বাসস।
ফাইল ছবি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম এবং জন ড্যানিলোভিজদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তারা 'নিরপেক্ষ নন' বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার ভিডিওসহ এক টুইটে শাহরিয়ার আলম এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, সবাইকে অবশ্যই জানা উচিত যে, এই সাবেক কূটনীতিকরা নিরপেক্ষ নন। তারা কখনই নিরপেক্ষ ছিলেন না, এমনকি যখন তারা ঢাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রশ্ন হলো তারা কি বিনা পয়সায় এটা (বাংলাদেশে এসে কাজ) করছেন? যদি না হয়, তাহলে কারা তাদের পারিশ্রমিক দিচ্ছে? আমরা সবাই এই 'কেন'র উত্তর জানি।
একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক তার এই টুইটটি রিটুইট করে লিখেছেন, 'পশ্চিমা সমাজে কোনো কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না! মজুরি ঘণ্টাভিত্তিক পরিষেবার ভিত্তিতে!'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই টুইটের জবাবে জন ড্যানিলোভিজ বলেছেন, এটি দুঃখজনক যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী চরিত্র হননের সঙ্গে জড়িত। আমি বুঝতে পারি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি যে তিনি এই ধরণের একটি মৌলিক বিষয় বেছে নিয়েছেন, যার জন্য তাকে কতটা চাপের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের প্রতি আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আছে। আমি এখানে এবং সর্বত্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।'
শাহরিয়ার আলমের টুইট করা ভিডিও স্টোরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির সঙ্গে সাবেক দুই কূটনীতিকদের সম্পর্কের গভীরতা দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিত ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন ড্যানিলোভিজ ২০০৭ সাল এবং ২০০৮ সালে সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে ২ বার ঢাকায় রাষ্ট্রদূত ও ম্যাগাজিনটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
চার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছিল ভারতের এক তরুণী। এরপর খোঁজাখুজির পর ধরাও পড়ে। শাস্তি হিসেবে লটারির মাধ্যমে চার প্রেমিকের মধ্যে একজনকে বিয়ে করতে হয় সেই তরুণীকে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকরনগরের একটি গ্রামে অদ্ভূত এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
খবরে বলা হয়, অম্বেডকরনগরের টান্ডা থানা এলাকার এক তরুণী চলতি মাসের শুরুতে চার যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। ওই যুবকরা সবাই পার্শ্ববর্তী আজিমনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। এই চার যুবকের সঙ্গেই প্রেম করতেন তরুণী। প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যুবকের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন ওই তরুণী। তবে বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারেননি। পরে চার যুবকসহ গ্রামে ফিরতে বাধ্য হন তরুণী।
বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিলে গ্রামবাসীর বাধায় তা আর হয়ে ওঠেনি। গ্রাম্য পঞ্চায়েতের বিচার ও সমাধানের আশ্বস্ত করা হয় তাদের। পরে পঞ্চায়েত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় যে, সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া চার যুবকের মধ্যে কোনো একজনকে বর হিসেবে বেছে নিতে হবে তরুণীকে। তার সঙ্গেই বিয়ে হবে তরুণীর। এমন সিদ্ধান্তে তরুণীর পরিবার সম্মতি দিলেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকেন তরুণী।
কারণ চার প্রেমিককেই পছন্দ তার। কাকে বিয়ে করবেন তরুণী? এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে ফের পঞ্চায়েত সভা এগিয়ে আসে। লটারির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করে দেন পঞ্চায়েতের কর্তারা।
সভার কর্তাদের কথা মতো একটি পাত্রে চার যুবকের নাম লেখা কাগজ রাখা হয়। এরপর গ্রামের একটি শিশুকে সেখান থেকে কাগজ তুলতে বলা হয়। সেই কাগজে যে যুবকের নাম ওঠে তাকেই বিয়ে করেন তরুণী।