a প্রধানমন্ত্রী আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার আহ্বান
ঢাকা রবিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩২, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

প্রধানমন্ত্রী আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার আহ্বান


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২০ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:০১
প্রধানমন্ত্রী আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার আহ্বান

ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আজ শুক্রবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। খবর তথ্য বিবরণীর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র আশুরা অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। বিভিন্ন কারণে এ দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক সংকটময় সময়ে আশুরা পালন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।’

তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করার কথা বলেন যেন এই সংক্রমণ থেকে আমরা সবাই দ্রুত মুক্তি পাই। বাসস।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ঈদ নেই লঞ্চ শ্রমিকদের


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০২১, ০২:১৩
ঈদ নেই লঞ্চ শ্রমিকদের

ফাইল ছবি

করোনার বিস্তৃতি মোকাবেলায় বন্ধ আছে লঞ্চ চলাচল কিন্তু লঞ্চ শ্রমিকদের থাকতে হচ্ছে লঞ্চেই। পাহাড়া দিতে হবে কোটি কোটি টাকা দামের এই জলযান। কিন্তু ঈদের পূর্বে বেতন ও বোনাস পাওয়া নিয়ে তাদের ভিতর শঙ্কাবিরাজ করছে। লঞ্চমালিকরা শুধু খাওয়া খরচ দিয়ে দায় সাড়ছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ তাদেরও দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।  তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। টানা লকডাউনে বন্ধ থাকা কিছু লঞ্চ সদরঘাট এলাকায় দেখা গেলেও সেখানে দেখা যায় শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। লঞ্চ চললে তাদের জন্য মিলবে বেতন বোনাস। তবে আদৌ এবার  কি ঈদ উদযাপন করতে পারবেন এ সংশয় নিয়ে দিন পান করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকদের বিষয়ে নৌযান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য প্রনোদনার কথা বললেও এখনো পাইনি। অধিকাংশ শ্রমিকরাই বেতন বোনাস থেকে বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

এখনই সময়, নতুবা কখনোই নয়: ড. শেখ আকরাম আলী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪০
এখনই সময়, নতুবা কখনোই নয়: ড. শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি মুহূর্ত এখন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি জাতি এই সত্যটি বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে যা আমাদের কাছে অজানা। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশিরা শুধু ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়, তার প্রভু ভারতের বিরুদ্ধেও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি।  

১৯৭৫ সালের নভেম্বরে এমন একটি বিপ্লবের অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছিল, যেখানে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুদের সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। তবে এইবারের বিজয় নিঃসন্দেহে ভারত-হাসিনা যৌথ শক্তির বিরুদ্ধে একটি ইতিহাস গড়া অর্জন।  

১৯৭৫ সালের নভেম্বরে বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৭৫ সালের বিপ্লবের পরবর্তী পরিস্থিতি এতটা কঠিন ছিল না, যতটা কঠিন বর্তমান বিপ্লবের পরবর্তী সময়। তখন ভারত এতটা শক্তিশালী ছিল না এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এখন ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক দৃঢ়।  

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো নেতৃত্ব। ১৯৭৫ সালে আমরা জিয়াউর রহমানের মতো একজন মহানায়ক পেয়েছিলাম, যিনি সেই বিপ্লবের ফসল। বর্তমানে ড. ইউনুসের মতো বিশ্ববিখ্যাত নেতা থাকলেও তিনি জিয়াউর রহমানের মতো নায়কোচিত গুণাবলী বহন করেন না। তাছাড়া তিনি বিপ্লবের ফসল নন; বরং একজন পছন্দের নেতা।  

বর্তমান বিপ্লবের পরবর্তী সময় জাতির জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমন এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, যা এক প্রকার যুদ্ধাবস্থার মতো। এই পরিস্থিতির মাঝে থেকে বিজয় অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।  

প্রতিভার সন্ধান এখন জরুরি:
বর্তমানে দেশে প্রচুর সৎ, অভিজ্ঞ, প্রতিভাবান বিভিন্ন পেশাজীবির পাশাপাশি উদ্যমী অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন, যারা দেশসেবার জন্য সদা প্রস্তুত। তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজে নিয়োগ করা গেলে প্রশাসনে অনেকটা গতিশীলতা আনা সম্ভব।  

একজন অভিভাবক নেতার প্রয়োজন:
এই সংকটময় সময়ে জাতির অভিভাবক হিসেবে একজন অভিজ্ঞ যুদ্ধনায়ক প্রয়োজন, এবং ড. কর্নেল অলি আহমদ হতে পারেন সেই নেতৃত্বের সঠিক ব্যক্ত। তিনি একমাত্র জীবিত মুক্তিযোদ্ধা নায়ক, যিনি জাতির রক্ষাকর্তা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।  

বিপ্লবী সরকার গঠন:
বিপ্লবের পরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য এবং পরাজিত বাহিনীর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিপ্লবী সরকার গঠন একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। বর্তমান সরকার নিজেদের বিপ্লবী সরকার হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। এটি তাদের কাজে আরও গতিশীলতা আনবে এবং জনগণও বিপ্লবের সাফল্যের জন্য আরও উৎসাহিত হবে।  

সংস্কার ও ঐক্যের গুরুত্ব:  
শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার এখন অপরিহার্য, যা সময়ের সঙ্গে করা যেতে পারে। সংবিধান সংস্কারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদসহ প্রেসিডেন্সিয়াল শাসনব্যবস্থায় যেতে পারি। জনগণের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন নতুন আইন প্রণয়নে বিচার বিভাগের মতামত থাকা উচিত। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।  

জাতীয় ঐক্য এখন সবচেয়ে জরুরি। যদি জাতি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শক্তির অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামী শক্তির ঐক্যও সময়ের দাবি।  

জনগণের সম্প্রীতি রক্ষা:
দেশে যে কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। জাতি যেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকে। শান্তি বজায় রাখতে দেশের প্রতিটি এলাকায় নাগরিক কমিটি গঠন করা যেতে পারে।  

মিডিয়ার ভূমিকা:  
বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে মিডিয়াকে সঠিক পথে চলতে উৎসাহিত করা জরুরি। বিপ্লবের আগে যারা জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের ছাড়া বাকিদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করতে হবে। মিডিয়াকে জনগণ ও দেশমুখী হতে হবে এবং জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে।  

কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:  
বহিরাগত হুমকি মোকাবিলায় কূটনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। চীনের মতো আন্তর্জাতিক শক্তি এবং পাকিস্তানের মতো আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এখন সময়ের দাবি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত।  

এখনই সময় একটি নিরাপদ এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার। যদি আমরা এখন এটি করতে ব্যর্থ হই, ভবিষ্যতে আর কখনোই তা সম্ভব হবে না। দয়া করে জেগে উঠুন, ঐক্যবদ্ধ হোন এবং সরকারের হাত শক্তিশালী করুন। জনগণের ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়