a
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হঠাৎ করেই এসে হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে আসেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। চতুর্থ দিনের আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে অনির্ধারিতভাবে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আসার পর সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার আসার পর একটি নাটিক ও পরে ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর পছন্দের গান। গানগুলো পরিবেশন করেন এ প্রজন্মের তরুণ শিল্পীরা। সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় গানের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কণ্ঠ মেলান।
জাপানি দুই তরুণ শিল্পীর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে। ‘বাজনা বিট’ নামের একটি দলের দুজন শিল্পী জাপানি ও বাংলা ভাষায় গান পরিবেশন করা হয়। ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা...গানটি বাংলায় পরিবেশন করার সময় প্রধানমন্ত্রী মাস্ক খুলে তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। দীর্ঘ সময় উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
ফাইল ছবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা— আপনারা দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার সকালে ‘বিজিবি দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন— শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য।
তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস— জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তাকে একটি সুসজ্জিত দল অভিবাদন জানায়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রথম পর্যায়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় প্রথম ধাপে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ঢুকতে আর নতুন আবেদন করার কোন সুযোগ নেই। তবে যাচাই বাছাই, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও আপিলের সুযোগ আছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শীর্ষে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ তালিকায় আরও আছেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
তালিকায় ঢাকা বিভাগে ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিতর্ক হয়েছে। ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন আসে। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করতে হয়।