a
ছবি সংগৃহীত: বঙ্গভবন এলাকা
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে গতরাতে আন্দোলনের পর থেকে আশে পাশের এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন ও তার আশপাশের এলাকায় কাঁটাতার ও ব্যারিকেড দিয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ বাহিনী বঙ্গভবনের সামনের এলাকাসহ আশেপাশে মোতায়েন রয়েছে এপিসি ও জলকামান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম। সাক্ষাৎকারের একটি অংশের ভিডিও তিনি টুইটারে শেয়ার করেছেন। বিবিসি জানতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র্যাবের ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাদের সব প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। যেভাবে তারা এ বাহিনীবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তারা সেভাবেই কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন। ইয়ালদা হাকিম তখন জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র তাহলে কেন এটা করেছে বলে শেখ হাসিনা মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক তা চায় না, আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়ত গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি।
গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা উঠানোর প্রক্রিয়া বেশ ‘জটিল’।
শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকারে বলেন, একটা সময় সন্ত্রাসবাদ সব দেশের জন্যই সমস্যা হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে সরকার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এরপর মাত্র একটি ঘটনা (হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা) ঘটেছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার গত বারের মতো একটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে চাচ্ছে। দেশে সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের দিনগুলো আরো খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি গতকাল সোমবার তার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘দুইটি দলের মাঝামাঝি অবস্থানে আমরা নিজস্বতা নিয়ে রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষের সামনে তৃতীয় এবং বিকল্প অপশন সৃষ্টি করেছি।’ তিনি বলেন, ’৯০ সালের পর থেকে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ। মানুষ পরিবর্তন চায়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান সরকার অত্যন্ত কর্তৃত্ববাদী। সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়, অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। শান্তির মিছিল হচ্ছে, কিসের শান্তি? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের মাঝে শান্তি নেই। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু ব্যয় বেড়েই যাচ্ছে। মানুষের মানসম্মান, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নেই; উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা মানুষের কাছে প্রহসন মনে হয়। দুইটি দল দেশের মানুষের জন্য কবরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। মানুষ কবরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় না। কারো প্রতিবাদ করার শক্তি বা সাহস নেই। এমন শান্তির জন্য আমরা রাজনীতি করি না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু ক্ষমতায় থাকা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। আমাদের ফলাফল যা হোক, আমরা আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দেশের মালিক জনগণ, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখতেই আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, তিনি মাটি ও মানুষের লোক। আশা করছি, তিনি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারবেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে সব দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমান চোখে দেখবেন। বিপদে-আপদে সবার পাশে দাঁড়াবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ সূত্র: ইত্তেফাক