a
ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকেই ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
রোববার ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। প্রথমে ১৪ হাজার থাকলেও পরে প্রধানমন্ত্রী এ সংখ্যা ৩০ হাজারে উন্নীত করেছেন বলে জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আরও জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে করার কাজও চলমান রয়েছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার করার কথা জানিয়েছিলেন।
ফাইল ছবি
আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত থেকে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে দেশে ফেরেন তিনি। এ দিন বিকেলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকায় নামলে বিমানবন্দরে লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান।
১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওই দিনটি ছিল রোববার। সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষ সেদিন তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত লাখো মানুষের ঢল নামে।
ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখো জনতার সংবর্ধনার জবাবে সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’
এর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফেরার আগেই ওই বছরের (১৯৮১) ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
স্বদেশ প্রবর্তন দিবসের কর্মসূচিঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার চার দশক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি আয়োজিত এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও বিকেল ৩টায় মহানগর নাট্য মঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান। এছাড়াও সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।
দিনটি উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ টেলিভিশনও বিটিভি ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে ডকুড্রামা- ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’। প্রচারিত হবে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে। এ চলচ্চিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের মুখ থেকে তার বিদেশ জীবন, দেশে ফিরে আসার কথা শোনা যায়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও বর্ণনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিসেবে নয়, বরং এ ডকুড্রামার মূল উপজীব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
ছবি সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে হিটলারের দেশ জার্মানীতে আজ ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত বাহিনী। আজ রাশিয়ার নামে বিশাল দেশটি সোভিয়েত আমলের বিশ্বাল সামাজ্যেরই একাংশ। বর্তমানে এই রাশিয়া তার অস্তিত্ব টেকানোর নামে ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ঘেষা ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন ছলাকলা কৌশল অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ইউক্রেন কোনভাবেই রাশিয়ার কথা না শুনলে এবং পশ্চিমামুখী দেশগুলোর সাথে একাট্রা বাধলে গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসে। রাশিয়া তার সীমান্ত ঘেষা ৪টি প্রদেশ দখল করে তা নিজেদের সাথে একীভূত করে ডিক্রি জারি করে।
রাশিয়া মনে করেছিল আক্রমণের মাধ্যমে অল্প সময়ে তারা ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারবে। কিন্তু ন্যাটো নামে যে বিশাল সংগঠন সে সংগঠনের অন্যতম শক্তি জার্মানী সব সময় ইউক্রেনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে আসছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝাল মেটানোর জন্য রাশিয়াকে পর্যদুস্ত করতে ক্ষেত্র বিশেষে আমেরিকার, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি সহযোগিতা করছে ইউক্রেনকে। তাদের একটাই চাওয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে জিতিয়ে নেওয়া।
পৃথিবীর অনেক মানুষ অনেক ইতিহাস ভুলে গেলেও জার্মানী তাদের স্থায়ীভাবে দাগাঙ্কিত কালিমা আজও মলিন হয়নি বলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে এবং ইউক্রেণকে যে কোন মূল্যে জিতিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।
সোভিয়েত বাহিনীর নিকট জার্মানীর পরাজয়ের ইতিহাসের সেই দিনটি আজ ২ মে। উল্লেখযোগ্য কী ঘটনা ঘটেছিল আজকের এই দিনে তা জানার চেষ্টা করবো। সময়টা ১৯৪৫ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ একেবারে শেষের দিকে। জার্মানি-ইতালি-জাপানের সম্মিলিত শক্তিও চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই ১৯৪৫ সালে এ দিনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ঢুকে পড়ে সোভিয়েত রেড আর্মি। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বাহিনীর মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের। আজও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সোভিয়েত বাহিনী যদি তৎকালীন সময়ে বার্লিনে না ঢুকতো, তাহলে জার্মানী তথা হিটলারের পতন সেভাবে নাও ঘটতে পারতো।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার একক পরাশক্তির আত্বপ্রকাশ বিশ্ববাসী দেখে আসছে, হয়তোবা তারও পরিবর্তন সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করবো ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরবর্তীতে। আমরা আশা করবো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয় যেন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ হিরোশিমা এবং নাগাসাকির মতো কোন বড় ধরণের পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে।
মোহা. খোরশেদ আলম
মহাসচিব
হিউম্যানরাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি(হিডস)