a
সংগৃহীত ছবি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাকালে ব্যবসায় মন্দার অজুহাতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি অত্যন্ত দু:খজনক, অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য।
সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোও চেষ্টা করছে। আশা করি, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুণর্বহাল করবেন কর্তৃপক্ষ। এই আমার প্রত্যাশা।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সংস্থার প্রতিনিধিদের মাঝে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে নেই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই যে একমাত্র পুরোটা সময়জুড়ে জনগণের পাশে আছে, সেটা গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের কর্মীরা কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার না করতে বিএনপি মহাসচিবের দাবির জবাবে 'মহামারির মধ্যে যারা দুষ্কর্ম করে, তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না?' বলে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই করোনা মহামারির মধ্যে একটি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আর অত্যন্ত দু:খজনক হলেও সত্য, তাদের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ায়, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা করে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি বিনষ্ট করে, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে আক্রমণ করে, তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না?
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানে পত্রিকা, টিভি, বেতার, অনলাইন গণমাধ্যমসহ প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অতিথিদের হাত থেকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ করেন।
সংগৃহীত ছবি
জাতীয় সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এসব ক্লাবের সদস্য হন, এত টাকা তারা কোথায় পান, এসব ক্লাবে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয় তার কতটা বৈধ- এসব প্রশ্নও উঠে এসেছে সাংসদদের কথায়।
অধিবেশনে দিনের কর্মসূচির শুরুতেই জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এরপর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্যদের অনির্ধারিত আলোচনায় কিছুক্ষণের জন্য সংসদ সরব হয় ওঠে।
তারপর আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপির হারুন অর রশীদ, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এবং বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু আলোচনার শুরুতে বলেন, কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরা বোট ক্লাব, কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়ে এর সদস্য হতে হয়। এত টাকা দিয়ে কারা এর সদস্য হয়? আমরা তো ভাবতেই পারি না। সারাজীবন এত ইনকামও করি না।
তিনি আরো বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়। লাইসেন্স নিয়ে যদি খায়, তবে তো এত মদ বিক্রি হওয়ার কথা নয়। সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়? এত টাকা কোথা থেকে আসে?
এসময় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ‘ডিজে পার্টি’ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ চান চুন্নু। তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়। সেখানে ড্যান্স হয়। নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন- কেন এসব হচ্ছে? কেন বন্ধ করা হবে না? ওইসব ক্লাবের সদস্য কারা হয়? পরীমনির যে ঘটনা, সেটা বোট ক্লাবে। ওই জায়গার একজন মালিক আছে। তিনি যেতেও পারে না। এসব দেখতে হবে।
এদিকে চুন্নুর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম ফ্লোর নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে মদ ও জুয়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে বলেন, এতো বোট ক্লাব, জিয়াউর রহমান স্টিমার ক্লাব করেছিল। বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়ার লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আবার দিয়েছিল। যারা অপরাধের শুরু করেছে, তাদের আগে বিচার করা উচিত। ওখান থেকে ধরতে হবে।
এসময় বিএনপির হারুন অর রশীদ স্পিকারের কাছ থেকে ফ্লোর নিয়ে বলেন, আমাদের বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য একটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সিনিয়র একজন সদস্য (শেখ সেলিম) কোথায় চলে গেলেন? এই সব ক্লাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে সরকারি লোক জড়িত। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পুলিশ এসব জায়গা থেকে টাকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী কোনো দলের নন, উনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। এসব খুঁজে দেখা হোক।
প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার এক ফেসবুক পোস্টে ‘হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে সেই রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।
ফাইল ছবি: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আল-আহলি হাসপাতালে দখলদার ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলায় আহত মানুষদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল হাসপাতালটিতে। এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হাসপাতালটি আশ্রয় নিয়েছিল ঘরবাড়ি হারানো হাজারো মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নিরিহ এই ফিলিস্তিনিরা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তিনি ‘হতভম্ব’।
(সাবেক টুইটার) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস লিখেছেন, ‘ডব্লিউএইচও এ হামলার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে।
অবিলম্বে বেসামরিক নাগরিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। স্থানীয়দের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা–ও প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেছেন, “মাত্রার দিক থেকে এই হামলা নজিরবিহীন। আমরা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যসেবার ওপর ধারাবাহিক হামলা দেখছি।”
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজা সিটির আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালে বিমান হামলা হয়। সূত্র: ইত্তফাক