a
পাপন
করোনাভাইরাসের দেড় কোটি ডোজ টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান (পাপন) বলেছেন, টাকা নিয়ে টিকা আটকানোর কোনো অধিকার সেরামের নেই।
শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেড় কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। টিকা এসেছে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ। এখনো ৮০ লাখ ডোজ টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট দেয়নি। সরকারের উচিত এই টিকার জন্য জোরালোভাবে কথা বলা।
‘সরকার অগ্রিম যে টাকা দিয়েছে, সে অনুযায়ী টিকা দেবে না, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের স্পষ্ট ভাষায় বলা উচিত, অগ্রিম টাকা অনুযায়ী টিকা আমাদের দিতে হবে। দেড় কোটি ভ্যাকসিনের টাকা দিয়েছি। সেটা আটকানোর কোনো অধিকার সেরামের নেই।’
পাপন বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু, তা বিবেচনার এখনই সময়। তিনি আরও বলেন, মিষ্টি কথায় সব চলবে না। ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী জুন–জুলাইয়ের আগে তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবে না।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রমত্তা পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু বাঙালির অহঙ্কার, গর্ব ও সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। তার সঙ্গে মঞ্চে আসীন হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও আসীন হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে।
‘এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ। সাবাস বাংলাদেশ, আমরা মাথা নোয়াবো না। আমরা মাথা নোয়াইনি।’ –বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্দম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি আলোর ঝলকানি। ৪১টি স্প্যান যেন স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, বাঙালিকে কেউ 'দাবায়ে রাখতে পারবে না, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণস্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- এটা নিশ্চিত।
বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিতে নির্মিত এ দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে স্টিল ও কংক্রিট স্ট্রাকচারে। বহুমুখী এই সেতুর উপরের ডেক দিয়ে যানবাহন এবং নিচের ডেক দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে, অন্যদিকে অর্থনীতি হবে বেগবান। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে জড়িত জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে স্মরণ করেন।
এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের পূর্বাবঞ্চলের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ডনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন। রবিবার (২৯ মে) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান তিনি।
'আমি ইউক্রেনীয়' লেখা টি-শার্ট পরে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মনোনিবেশ এখনো রয়েছে সেভেরোদোনেতস্ক, লিসিচাঙ্ক, বাখমুত এবং পোপাসনা শহরে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, 'আমি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেবো রাশিয়াকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।' সূত্র: বিডি প্রতিদিন