a
ফাইল ছবি
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য দেন। হয়তো তার কোনো এজেন্ডা আছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য তিনি এমন বক্তব্য দেন।’
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) সোনারগাঁও হোটেলে ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসন শীর্ষক কর্মশালা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদারের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, উনি তো সব সময় এরকম বলেন। একেকটা সময় একেকটা শব্দ চয়ন করেন। এই কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রচারমূলক। নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়া কথা।
সিইসি আরও বলেন, ‘ভোটযুদ্ধ আছে, ভোট নেই! তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোথা থেকে আসে? টেলিভিশনে দেখেছেন, সারিবদ্ধভাবে নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কি ভোটার নন? সুতরাং ওনার কথার কোনো সংগতি নেই।’
এর আগে গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ যেন ইউপি নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। ইউপি নির্বাচনে এখন উৎসবের বাদ্যের বদলে বিষাদের করুণ সুর বাজছে। নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধ করতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করবে সরকার। আর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন থাকবে দেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২৪ জুন কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’- এর সুপারিশ করা হয়।
ফাইল ছবি: মেয়র তাপস
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বলেছিলেন—আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ১০০ বছরেও নামাইতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। আপনারা মনে হয় আয়নায় চেহারা দেখেন না, নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে মাঠে আইসেন।’
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগাঠনিক টিম আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মেয়র তাপস বলেন, ‘২১ আগস্ট, ২০০৪ সালে শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে। তারা আইভী রহমানসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের সেই দুঃশাসনে এখনও অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, খাম্বা দিয়েছে। ৫ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আপনাদের জন্মই সংবিধানের বাইরে, গণতন্ত্রের বাইরে। আপনারা কোনোদিন গণতন্ত্র মানবেন না, এটাই স্বাভাবিক।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা-১০ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সূত্র:বিডি প্রতিদিন