a মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৯ মে, ২০২১, ১১:৩৬
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে

 
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।

এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু করা হবে।

ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।

এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।

মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৯:১২
প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২’ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুক্রবার এক বাণীতে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।

তিনি শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনি বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনো আনন্দ দেয়, আর কখনোবা কৃতকর্মের শিক্ষা নব উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরে বঙ্গবন্ধুর নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তজার্তিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত সেখানে করোনাকালেও আমরা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি, এখন আমাদের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি।

পদ্মা সেতু নতুন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছি। রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’- এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন করেছি। দেশকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছি। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না। আমরা শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেব।

নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে তিনি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন, ক্রান্তিকাল উত্তরণে ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২৮টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সকল সংকট দূরীভূত এবং সকলের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। সূত্র : বাসস

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জাতীয় বিতর্ক উৎসবে রানার্সআপ জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২৫, ০২:৪১
জাতীয় বিতর্ক উৎসবে রানার্সআপ জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 সরকারি তিতুমীর কলেজ কর্তৃক আয়োজিত "শহীদ তিতুমীর স্মৃতি স্মারক জিটিসি ডিসি ১ম জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫" এ রানার্সআপ হয়েছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি।   আজ ৩০ আগস্ট ( শনিবার) জাতীয় বিতর্ক উৎসব ফাইনালে অংশগ্রহণ করে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি এবং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন। 

সেমিফাইনালে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে  জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি দল।  জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির হয়ে বিতর্ক করেন মাঈন আল মুবাশ্বির (আইন বিভাগ, ১৪ ব্যাচ), মুনিব মুসান্না ( গনিত বিভাগ, ১৬ ব্যাচ), আহনাফ তাহমিদ সাফি (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ১৭ ব্যাচ) এবং মাঈন আল মুবাশ্বির ডিবেটর অব দ্যা ফাইনাল হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।  জেএনইউডিএস এর সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন,"দলের জন্য শুভকামনা এবং  জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি সবমসময়ই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে খুব গর্বের সাথে রিপ্রেজেন্ট করে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতার্কিকদের জন্য চলমান কার্যনির্বাহী কমিটি সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কাজগুলো করে যাচ্ছে। এই সাফল্যগুলো সেই ধারাবাহিক পরিশ্রমের ফলাফল এবং জুনিয়রদের জন্য অঅনুপ্রেরণা।  দলকে অভিনন্দন। দলের অন্যতম সদস্য ও ডিবেটিং সোসাইটির সাব-এক্সিকিউটিভ আহনাফ তাহমিদ শাফি বলেন, চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অবশ্যই আরও ভালো লাগতো তবে সাফল্যে আমি আনন্দিত। জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির দলে ডিবেট করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করাটা অত্যন্ত গর্বের ও সৌভাগ্যের বিষয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়