a
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়: জন কেরি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়, এই দায়িত্ব জাতিসংঘকেও নিতে হবে। সবারই এই ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জন কেরি বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে খুব সদয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেন বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শ্রমিকসমাজ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন। জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেন হাসিমুখে। কিন্তু মালিক পক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী,মর্যাদা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। ঘন্টার পর ঘন্টা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করলেও শ্রমিকের জীবদ্দশায় স্বচ্ছলতা আসেনা। বরং অপুষ্টির শিকার হয়ে তিলে তিলে ক্ষয়ে যান। শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করে কোন রাষ্ট্র,জাতি টিকে থাকতে পারে না। মানব সভ্যতা হুমকির মুখে পড়বে। মেহনতি জনতাই রাষ্ট্রের মূল মালিক। তাদের ঘামে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া প্রাসাদ। জাতির স্বার্থে শ্রমিকের কল্যাণ,মানবিক কর্মপরিবেশ, ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ অতীব জরুরি।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে অনুষ্ঠিত এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক কারো দাস নয়। উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার। অভারটাইমের নামে শোষণ ও দাস প্রথা বন্ধ, প্রত্যেক জেলায় শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা,আইএলও কনভেনশন অনুসরণ, ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর ও সময়োপযোগী শ্রম আইন প্রণয়ন,শ্রমিকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা,স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেলিম রেজা বাচ্চুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তফা আনোয়ার রিপন,দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য শেষে বাংলামোটর মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাংলামটর মোড়ে এসে এসে শেষ হয়। সমাবেশের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন দিনে ৬৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জনের বেশি।
মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে আউলিয়াঘাটে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও স্থানীয়রা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার আরও ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০-৬০ জনের ধারণক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা লোকজন এবং নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে— স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে গেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুদিনের উদ্ধার করা মরদেহের তালিকা থেকে জানা গেছে, অজ্ঞাত এক মরদেহ বাদে ৫০ মরদেহের মধ্যে ১৫ পুরুষ, ২৮ নারী, শিশু ১৮টি ও অজ্ঞাত তিন জন। বোদা উপজেলার ২৯ জন, দেবীগঞ্জের ১৮ জন এবং আটোয়ারী উপজেলা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সদরের একজন করে মারা গেছেন। সূত্র: যুগান্তর