a
ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলার পূর্বে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। আজ ১৭ মে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়া হবে।
মহামারী করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলেও ভার্চুয়ালিভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েক ধাপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর পর ২৩ মে খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনাএ প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তাও সম্ভব হচ্ছে না। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য নতুন করে ২৯ মে ধার্য্য করা হয়েছে, তবে এ নিয়েও শিক্ষার্থী অবিভাবকদের মনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বিশাল শঙ্কাবিরাজ করছে।
সংগৃহীত ছবি
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। বাজেটে নতুন করে কর আরোপ না করায় চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত পেস্ট, ফলের জুস, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না। কর অব্যাহতি-রেয়াতি সুবিধা এবং আমদানি করা সমজাতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করায় বিদেশি খেলনার দাম বাড়লেও কমবে দেশি খেলনার দাম। আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেল কম দামে পাওয়া যাবে।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির এই সংকটকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্ব ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে দেশে কম্পিউটারসহ কিছু পণ্যের উৎপাদন উৎসাহিত করতে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তবে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে কৃষিযন্ত্র, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য। এতে ওই সব পণ্যের দাম কমতে পারে।
সিগারেট, বিড়িসহ তামাকজাতীয় পণ্যের ওপর বাড়তি কর আরোপের ঘোষণা অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও থাকছে।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ঘাটতি ধরে চূড়ান্ত করা হয়েছে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। যার আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে দখল বাণিজ্য। জমি দখলসহ অন্যান্য স্থাপনা দখলে মেতে উঠেছে কিছু মহল। ৫ আগস্টের পর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন পুরাতন কিছু পেশি শক্তি। জমি দখল, সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি - ভুক্তভোগীদের বাঁচাতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন শীর্ষক ২ রা জুন ২০২৫ ইং জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মাহদি নগর এলাকার কালুনগর মৌজায় ৮১ শতাংশ জমি নিয়ে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, অবৈধ দখলচেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হচ্ছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার । প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন এবং দ্রুত প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। রফিকুল ইসলাম জানান, কালু নগর মৌজার এস.এ ১০ ও ১১ নং খতিয়ানে ৭১ নাম্বার দাগে এবং আর.এস ৫৭ নং খতিয়ানে ১৫৩৬ নং দাগে এবং ঢাকা সিটি জরিপের ২৯০৯ নং খতিয়ানে ৪১৭ নং দাগে ৮১ শতংশ সম্পর্তি ১৯৩৮ সালে মানিকজান বিবি খরিদ করিয়া মালিকানা ও ভোগ-দখল করিয়া নিয়ত থাকা অবস্থায় মারা গেলে, তাহার ওয়ারিশগণ মো: নজরুল ইসলামকে আম-মোক্তার নিয়োগ করেন। মো: নজরুল ইসলাম চার পাশে টিনের বেড়া ও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করিয়া মানিকজানের ওয়ারিশদের পক্ষে ভোগদখল বজায় রাখে । ২০২১ সালের ৭ জুন নজরুল ইসলামের কাছ থেকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার তিন বোন সাফ কবলা দলিল (নং: ২৬৫৬) মূলে জমিটি ক্রয় করেন এবং বর্তমানে জমিটি বৈধভাবে তাদের দখলে রয়েছে।
তবে ২০২৫ সালের ২৭ ই ফেব্রুয়ারি আলাউদ্দিন ( হিটলার আলাউদ্দিন), কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনির কোম্পানি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ হোসেন-এর নেতৃত্বে একদল দুর্বত্ত জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এতে কেয়ারটেকার ও বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বাধা দিলে তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। তাহারা উক্ত সম্প্রতি জবর-দখলের জন্য মো: রফিকুল ইসলামের কেয়ারটেকার কে হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছে, ইতিমধ্যে তার কেয়ারটেকার কে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর নিকট মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করিতেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, জাল দলিল তৈরির কারিগর মোঃ আলাউদ্দিন (ওরফে হিটলার আলাউদ্দিন ), ভূমিদুরশু মনির কোম্পানি ও হোসেনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি নিয়মিতভাবে হুমকি, হামলা ও জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন (লিভ টু আপিল নং: ১৬০৮/২০২১ ও ৩৮২২/২০২৪)। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে চলমান এই দখলচেষ্টা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা তাদেরকে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলেছে।
ভুক্তভোগীদের চার দফা দাবি:
১. আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ।
২. জমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ।
৩. ভুক্তভোগীদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
৪. মনির কোম্পানি, হিটলার আলাউদ্দিন ও হোসেন বাহিনীর অবৈধ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ।
ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমরা এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে । অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের প্রাণনাশ হতে পারে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন- আমাদের বাঁচান।”