a
ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমণের কারণে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছে না সরকার। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে অনলাইন ক্লাস হতে পারে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি এমন হয় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, ক্লাস চালু রাখা সম্ভব নয়, তখন অনলাইন ক্লাসে যেতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হয়। তবে স্কুলগুলোতে আগের মতো নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়নি। এখনো সীমিত পরিসরে ক্লাস চলছে। এর মধ্যে গত মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছ। মাসখানেকের ব্যবধানে দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ-ছয় গুণের বেশি হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৬ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই প্রবণতা অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
তবে এর মধ্যেই জনজীবনকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা থাকবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই করোনা–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে বিস্তারিত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও ১ সপ্তাহ বাড়তে পারে। এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামী সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, করোনার সংক্রমণ এখনো অনেক বেশি। তাই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী সোমবারের বৈঠকে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ এপ্রিলের সভার পর ওই দিন বা ২০ এপ্রিল কী হবে, তা জানানো হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। গেল বছর কয়েক দফায় বৃদ্ধি করে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল।
এক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ অনেক কমেও গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে হঠাৎ করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দু’দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত ১৪ থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু করা হয়।