a সংসদে ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা
ঢাকা শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩২, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সংসদে ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১, ০৪:০৬
সংসদে ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এসব ক্লাবের সদস্য হন, এত টাকা তারা কোথায় পান, এসব ক্লাবে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হয় তার কতটা বৈধ- এসব প্রশ্নও উঠে এসেছে সাংসদদের কথায়।

অধিবেশনে দিনের কর্মসূচির শুরুতেই জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এরপর আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্যদের অনির্ধারিত আলোচনায় কিছুক্ষণের জন্য সংসদ সরব হয় ওঠে।
 
তারপর আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপির হারুন অর রশীদ, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এবং বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ আলোচনায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু আলোচনার শুরুতে বলেন, কয়েকদিন ধরে একজন চিত্রনায়িকার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।  যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরা বোট ক্লাব, কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়ে এর সদস্য হতে হয়।  এত টাকা দিয়ে কারা এর সদস্য হয়? আমরা তো ভাবতেই পারি না।  সারাজীবন এত ইনকামও করি না।

তিনি আরো বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়। জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়।  লাইসেন্স নিয়ে যদি খায়, তবে তো এত মদ বিক্রি হওয়ার কথা নয়।  সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়? এত টাকা কোথা থেকে আসে?
 
এসময় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ‘ডিজে পার্টি’ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ চান চুন্নু। তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়।  সেখানে ড্যান্স হয়।  নেশা করা হয়। মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন- কেন এসব হচ্ছে? কেন বন্ধ করা হবে না? ওইসব ক্লাবের সদস্য কারা হয়? পরীমনির যে ঘটনা, সেটা বোট ক্লাবে। ওই জায়গার একজন মালিক আছে। তিনি যেতেও পারে না। এসব দেখতে হবে।

এদিকে চুন্নুর বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম ফ্লোর নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে মদ ও জুয়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে বলেন, এতো বোট ক্লাব, জিয়াউর রহমান স্টিমার ক্লাব করেছিল।  বঙ্গবন্ধু মদ-জুয়ার লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান আবার দিয়েছিল। যারা অপরাধের শুরু করেছে, তাদের আগে বিচার করা উচিত। ওখান থেকে ধরতে হবে।

এসময় বিএনপির হারুন অর রশীদ স্পিকারের কাছ থেকে ফ্লোর নিয়ে বলেন, আমাদের বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য একটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সিনিয়র একজন সদস্য (শেখ সেলিম) কোথায় চলে গেলেন? এই সব ক্লাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে সরকারি লোক জড়িত। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পুলিশ এসব জায়গা থেকে টাকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী কোনো দলের নন, উনি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। এসব খুঁজে দেখা হোক।

প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার এক ফেসবুক পোস্টে ‘হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে সেই রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন। এরপর সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হাতে হারিকেন নিয়ে বিএনপির মিছিল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ০৬ আগষ্ট, ২০২২, ০৯:৫২
হাতে হারিকেন নিয়ে বিএনপির মিছিল

ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে হারিকেন মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এ প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, নিশিরাতের ভোট ডাকাতির সরকার দেশের মানুষকে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে অন্ধকারে রেখেছে। এখন জনগণের পকেট কাটতে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমান বাড়িয়েছে।

অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তিনি।

মিছিলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রয়ারি, ২০২৫, ০৯:০২
সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতির চাকা আরো বেশি সচল হয়। তাই কেউ যেন রাজস্ব ফাঁকি দিতে না পারে এজন্য সরকার সব সময় সচেষ্ট থাকে। এত সচেতনতা থাকার পরেও কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বার বার রাজস্ব ফাঁটির অভিযোগ উঠছে।

রাজস্ব ফকির এই বিষয়টি নিয়ে আজ বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩১ নং ইয়ার্ড কাঁচামালের তিনজন সিএনএফ সিন্ডিকেটের মাছ ও ফলের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের (২য় তলায়) তোফাজ্জল হক মানিক মিয়া হলে সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ করেন "মেসার্স মা ট্রেডার্স, মের্সাস সাঈদ এক্সিম, এইচ এম কর্পোরেশন, নাজ এন্টারপ্রাইজ"।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নির্দিষ্ট কিছু সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) প্রতিষ্ঠান অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার শিকার করছে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

আমাদের প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আসাদ ও খোকন সিএন্ডএফ-এর মাধ্যমে ভারত থেকে মাছ আমদানি করে আসছে। তবে, তারা প্রতি কেজিতে ২৮ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত ডিউটি আদায় করলেও কাস্টমস ওজন স্লিপের মাধ্যমে প্রতিটি গাড়িতে ৬-৮ টন পর্যন্ত ডিউটি ফাঁকি দিয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি করছে।

২০২৩ সালে এই প্রতারণার প্রবণতা চরমে পৌঁছায়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা ইন্ডিয়া থেকে ১৮টি গাড়ি ছাড় করানোর পর প্রতারণার শিকার হই। আমাদের কোনো গাড়ির চালান যথাযথভাবে পাস করা হয়নি, বরং গাড়ি বন্দরে আটকে রেখে পাস করানোর জন্য ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা করে ঘুষ দাবি করা হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ৭০,০০০-৮০,০০০ টাকা বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি আমরা রয়েল সিএন্ডএফ-এর মাধ্যমে একটি মাছের চালান আমদানি করি, যেখানে ব্যাংকের ডকুমেন্টের ভিত্তিতে ডিউটি বাবদ ৭,৬০,০০০ টাকা জমা দিই। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরও নানান অজুহাতে কাগজপত্র সম্পন্ন করতে বিলম্ব করা হয় এবং গাড়িগুলো ৭-৮ দিন বন্দরে আটকে রাখা হয়, যার ফলে আমাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

এছাড়া, রয়েল সিএন্ডএফ আমাদের ব্যবসায়িক পার্টনারদের সরাসরি যোগাযোগ করে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও প্রতারণামূলক।

আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ব্যবসায়ীরা তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য পায় এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা যায়।

আমরা সকল ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স মা ট্রেডার্স, মের্সাস সাঈদ এক্সিম, এইচ এম কর্পোরেশন, নাজ এন্টারপ্রাইজ" এর স্বত্বাধিকারী সাইদ খান এবং মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমাদের ফ্রোজেন ফিস আমদানী/রপ্তানীতে “সিএন্ডএফ” সিন্ডিকেটের কারণে বিশেষ সমস্যা হওয়ায় আমাদের মাছ আমদানী ও রপ্তানী করতে কিছু সিন্ডিকেট আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, তার জন্য আমাদের ব্যবসা করতে অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়ে আপনাদের সহযোগীতা একান্তভাবে কামনা করছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়