a
ফাইল ছবি
ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণে রেড জোন হিসেবে চিহিৃত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৬টি জেলা। গ্রিন জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা। গত ১ সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো বলেছে, রাজধানীতে সংক্রমণ হার ১২.৯০ শতাংশ, আর রাঙ্গামাটিতে ১০ শতাংশ।
এছাড়া ইয়োলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুর জেলা। আর পঞ্চগড় এবং বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে।
এছাড়া পূর্ববর্তী ৭ দিনের চেয়ে গেলো ৭ দিনে বেড়েছে ১৬৯.১২ শতাংশ বেশি তবে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেকসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
ফাইল ছবি
আজ ২৭ নভেম্বর ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সকল বীর শহিদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে পুরোভাগে থাকা শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদত বরণ করেন উল্লেখ করে তিনি শহিদ ডা. মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। ১৯৯০ সালে শহিদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।
রাষ্ট্রপতি শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চার করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ডা. মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে তিনি শহীদ হন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টুয়ান্টি সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। লক্ষ্যটাও আহামরি কিছু ছিল না। ১২০ বলে ১২৯ রান করতে পারলেই মিরপুর শের-ই-বাংলায় রচিত হতো ইতিহাস। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে সেই আশায় গুড়োবালি। আজ ব্যাটিং ভরাডুবিতে ৫২ রানে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম হারের স্বাদ পেল টিম টাইগার্সরা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকে রাখার জন্য আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে আমরা প্রত্যাশিত মানের ব্যাটিংয়ে করতে পারিনি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারলেও পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছি।’
টাইগার কাপ্তান আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের। যদি আমরা দুই-একটা পার্টনারশিপ গড়তে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো।’ পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় খেলায় হেরে গেলেও সিরিজ জয়ে আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলেন, ‘সিরিজে এখনো দুটি ম্যাচ আছে। আশা করছি, আগামী ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করবো।’
এদিকে, কিউইদের দেওয়া ১২৯ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) অগোছালো বাংলাদেশকেই দেখা গেল। ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে এসে হারের মুখ দেখে টিম টাইগার্স। অন্যদিকে, আরাধ্য জয়ের দেখা পেল সফরকারী নিউজিল্যান্ড দল। তবে ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই চার মেরে শুভ সূচনা করেছিলেন নাঈম শেখ।
বাংলাদেশও আশা জাগানিয়া শুরু পেয়েছিল। কিন্তু দলীয় ২৩ রানের মাথায় বাংলাদেশের চিরচেনা ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। কোল ম্যাকোঞ্চির বলে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন, তবে গতি বুঝতে পারেননি। ধরা পড়লেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১১ বলে ১৫ রান। লিটনের পর ফিরেন টপ অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসানও। এজাজ প্যাটেলের বল জোরের উপর খেলতে গিয়ে মিস করেছেন। শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে। মিড-অনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন হ্যানরি নিকোলস।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা মেহেদী শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৪ বলে মাত্র ১ রান করে। শুরু থেকেই শট খেলার চেষ্টা করার লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছিলেন সাকিব, তবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেললেও আজ শুরু থেকেই ছন্দহীন ছিলেন নাঈম। অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধেই। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত নিরাশ করলেন। আগের ম্যাচের নায়ক মাহমুদউল্লাহও এদিন দলের হাল ধরতে পারলেন না।
ব্যক্তিগত শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে। এজাজ প্যাটেলের বলে কাটা পড়েছেন তিনি। এছাড়া গোটা সিরিজজুড়েই যেন নিজেকে খুঁজে ফিরছেন আফিফ হোসেন। আগের ম্যাচের মতো রোববারও (৫ সেপ্টেম্বর) হতাশ করলেন তিনি। প্রথম বলেই বিদায় নিলেন আফিফ। এজাজ প্যাটেলের বলটা উইকেটে পড়ে কীভাবে স্টাম্পে আঘাত হেনেছে টেরও পাননি এই বাঁহাতি। দলীয় মাত্র ৪৩ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি খাদের কিনারায় পড়ে টিম টাইগার্স। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।