a
ফাইল ছবি
ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণে রেড জোন হিসেবে চিহিৃত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৬টি জেলা। গ্রিন জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা। গত ১ সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো বলেছে, রাজধানীতে সংক্রমণ হার ১২.৯০ শতাংশ, আর রাঙ্গামাটিতে ১০ শতাংশ।
এছাড়া ইয়োলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুর জেলা। আর পঞ্চগড় এবং বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে।
এছাড়া পূর্ববর্তী ৭ দিনের চেয়ে গেলো ৭ দিনে বেড়েছে ১৬৯.১২ শতাংশ বেশি তবে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেকসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
ঢাকা-কাঠমান্ডু চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা ও কাঠমান্ডু পর্যটন, স্যানিটেশন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও রেলওয়ে সংযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
বঙ্গভবনে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর সোমবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো-বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব যাদব প্রসাদ কৈরালা যৌথভাবে স্বাক্ষরিত পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাউল ইসলাম এবং নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব দীনেশ ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি (এসপিএস) সহযোগিতা জোরদার করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব বদরুল আরেফিন ও নেপারের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব যাদব প্রসাদ কৈরালা স্বাক্ষরিত ২০২২-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এবং নেপাল সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব দীনেশ ভট্টাচার্য তাদের নিজ নিজ দেশের পক্ষে রোহানপুর-সিগবাদ রেলওয়ে রুট সংস্কার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং নেপালের প্রেসিডেন্টের কন্যা ঊষা কিরণ ভান্ডারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গায়াওয়ালি প্রমুখ।
সংগৃহীত ছবি
ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বলছে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের সব নাগরিক এবং তাদের সহযোগী বেশিরভাগ আফগানকে সরিয়ে নিতে পারবে।প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই দুটি দেশ এই ঘোষণা দিল।
ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ত বোন বলছেন, আফগানিস্তানে সে দেশের উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হওয়ার 'সম্ভাবনা প্রবল'। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের বেশিরভাগকেই ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেইন, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের পাঁচশোরও বেশি নাগরিকদের কাবুল থেকে বের করে আনার জন্য তারা চারটি বৃহদায়তন সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই এই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা প্রয়োজন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের ওপর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি রয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হলে আফগানিস্তানের নতুন শাসক অর্থাৎ তালেবানের কাছ থেকে ক্রমাগত সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কাবুল থেকে বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়ে খবর দিচ্ছেন, কাবুল বিমানবন্দরে মানুষজনকে দেশ ত্যাগে সহায়তা করছেন এমন লোকজন বলছেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে যাত্রীদের বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে কারা এটা করছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
তিনি জানান, বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর গেট পর্যন্ত পৌঁছুতে গত সপ্তাহে মানুষজনকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলছেন, কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রতি ঘণ্টাতেই যাত্রী-বোঝাই উদ্ধারকারী বিমানের ফ্লাইট আকাশে ডানা মেলছে।
তবে এখনকার আশঙ্কা হচ্ছে, যাদের রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের কাউকে কাউকে বাদ দিয়েই ফ্লাইটগুলোকে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশত্যাগে সাহায্য করারা লক্ষ্যে তারা ঝুঁকির মুখে থাকা আফগানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। তবে মাঠের পরিস্থিতি একেবারেই গোলযোগপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। সূত্র: বিবিসি বাংলা/বিডি প্রতিদিন