a
শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে 'শিশুবক্তা' খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে।
এদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, আজকের বিক্ষোভ থেকে আটক হওয়া রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট বলে তাকে সবাই শিশুবক্তা হিসেবে চেনেন। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা জেলায় যে পরিমাণ টাকা আছে, সারা দেশ মিলিয়েও তা নেই। আবার ঋণ ও আমানতের পরিমাণের দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বরিশাল। রংপুরের মানুষেরা ব্যাংকে যতটুকু আমানত রেখেছে, তার চেয়ে তাদের ঋণ বেশি। এ হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের অঞ্চলভিত্তিক একটি চিত্র তুলে ধরে। দেখা যায়, দারিদ্র্যপ্রবণ বিভাগ রংপুরে মানুষের মাথাপিছু আমানত সবচেয়ে কম। মাথাপিছু আমানত বেশি ঢাকায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল প্রায় ১০ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আমানতের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বাজারে ব্যাংকের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৮ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
কোন বিভাগে কত
বিভাগ হিসেবে আমানত ও ঋণ ঢাকায় বেশি। ঢাকা বিভাগের ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট আমানত এসেছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট আমানতের প্রায় ৬১ শতাংশ।
এর পরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানে আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আমানতের প্রায় ২২ শতাংশ। আমানতের দিক দিয়ে এর পরের অবস্থানে রয়েছে খুলনা। ওই বিভাগে আমানতের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া সিলেটে ৪২ হাজার কোটি, রাজশাহীতে ৪০ হাজার কোটি, রংপুরে ২০ হাজার কোটি, বরিশালে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি ও ময়মনসিংহে ১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গাঙ্গুলি
ঋণ বিতরণের দিক দিয়েও ঢাকা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে। এই বিভাগে দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থার মোট ঋণের ৬৭ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। পরিমাণের দিক থেকে তা ৫ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
চট্টগ্রামে ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ১৯ শতাংশ। ঋণ বিতরণে এর পরে রয়েছে খুলনা, পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া রাজশাহীতে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি, রংপুরে ২০ হাজার কোটি, ময়মনসিংহে ১২ হাজার কোটি, সিলেটে ১০ হাজার কোটি ও বরিশালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
মাথাপিছু আমানতে পিছিয়ে রংপুর
বিভাগের আকার ও জনসংখ্যার কারণে পরিমাণগত দিক বিবেচনায় সঠিক চিত্র না-ও পাওয়া যেতে পারে। মাথাপিছু হিসাবই আসল চিত্র দেয়। সেদিক দিয়েও এগিয়ে ঢাকা। এই বিভাগে মানুষের মাথাপিছু আমানতের পরিমাণ দেড় লাখ টাকার মতো।
চট্টগ্রামে এর পরিমাণ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সিলেটে মাথাপিছু আমানত ৩৭ হাজার, খুলনায় ২৪ হাজার, বরিশালে ২১ হাজার, রাজশাহীতে ১৯ হাজার, ময়মনসিংহে ১১ হাজার ও রংপুরে ১১ হাজার টাকার কিছু কম।
মাথাপিছু ঋণও ঢাকায় বেশি। এই বিভাগে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার মতো। চট্টগ্রামে মাথাপিছু ঋণ ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া খুলনায় ১৯ হাজার, রাজশাহীতে ১৫ হাজার, রংপুরে ১১ হাজার, ময়মনসিংহে ১০ হাজার, বরিশালে ৯ হাজার ৭০০ ও সিলেটে ৯ হাজার টাকার মাথাপিছু ঋণ রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ঢাকাকেন্দ্রিক
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলায় কলকারখানা ও ব্যবসা করলেও ঋণ নিয়েছেন রাজধানীর ব্যাংকের শাখাগুলো থেকেই। বেশির ভাগ চাকরিজীবী ঢাকায় অবস্থান করায় আমানতও এখানেই বেশি জমা পড়ছে।
এ জন্যই ঢাকায় বড় বড় করপোরেট শাখা খুলেছে ব্যাংকগুলো। আর এলাকার চেয়ে ঢাকার শাখাগুলোতে মিলছে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও আমানত ও ঋণ সেভাবে নেই। গত পাঁচ বছরে ঋণও সেভাবে বাড়েনি। চট্টগ্রাম বিভাগের ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা আমানতের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার আমানতই ১ লাখ ৫১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।
আর বিভাগের ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ কোটি টাকা ঋণই চট্টগ্রাম জেলায়। ২০১৩ সালে শুধু চট্টগ্রাম জেলায় আমানত ও ঋণ ছিল যথাক্রমে ৭৭ হাজার ৯৫৩ কোটি ও ৭৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রামে কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের বড় অংশই ঢাকার প্রধান শাখা বা করপোরেট শাখার সঙ্গে লেনদেন করে। তাই ঋণও ওই শাখায়।
আর চট্টগ্রামের সব শাখার ঋণ দেওয়ার সীমাও বেশি নয়। চট্টগ্রামে যা ঋণ রয়েছে, তার বড় অংশই আবার খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ শাখায়।
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬৬.৬৬ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে লক্ষণীয় মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে আসন্ন বাজেটে এই ভাতার বৃদ্ধির কারণে বরাদ্দ তেমন একটা বাড়ছে না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নতুন তালিকায় পূর্বের প্রায় ২৩.২৭ শতাংশ নাম বাতিল হওয়ায় নতুন করে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এই খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২’শ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বছর প্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ফেব্রুয়ারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। আসন্ন অর্থবছর থেকেই নতুন ভাতা প্রদান শুরু করা হবে।
ওই সময় পর্যন্ত সরকারের নথিভুক্ত ২ লাখ ৫ হাজার ২০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো মাসিক ৩০ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এদিকে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারগুলো মাসিক ৩৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া বীর উত্তমদের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ২০ হাজার টাকা, বীর প্রতিকদের ১৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন।
মাসিক ভাতার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বিনা খরচে চিকিৎসা সেবাসহ সব মুক্তিযোদ্ধারা বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন।