a
মৌলভীবাজার: অনিয়ন্ত্রিত এবং ভেজাল খাদ্যাভাসে মানবদেহে দেখা দিয়েছে সুস্থতার অভাব। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন হৃদযন্ত্রের নানা অসুখে।
এসব অসুখের বেশিভাগই খাবারকে কেন্দ্র করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই এই হৃদযন্ত্রের অসুখ কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। আর তা হলো, দৈনিক খাদ্যাভাসে ঝুঁকিপূর্ণ সোয়াবিন তেলের পরিবর্তে উপকারী সূর্যমুখী তেল রান্নায় ব্যবহার করা।
আশা কথা, মৌলভীবাজার জেলায় উপকারী সূর্যমুখী তেলে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ। যা মানবদেহের উপকার কিছুটা হলেও সূচনা করার জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাইল হাওর সংলগ্ন একটি ৫ কেয়ারের (বিঘা) বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় ৪ হাজার সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। কিছু কিছু সূর্যমুখী অবশ্য খাড়া অবস্থা থেকে মাটিতে পড়ে গেছে। তবে, এতে ক্ষতির তেমন কোনো কারণ নেই বলে জানান কৃষক। এ খামারের কৃষক জুবের মিয়া বলেন, এই সূর্যমুখী ফসলটি আমাদের প্রদর্শনী খামার। আমরা পাঁচজন কৃষক সম্মিলিতভাবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষে চাষ করেছি। আমাদের ৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে সাইফুল স্যার ৫ কেজি সূর্যমুখী বীজ এবং ১৫০০ টাকা করে দিয়েছেন। আমরা মাটি তৈরি করে সরাসরি বীজ মাটিতে লাগিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী চাষ বাবদ আমি কৃষক জুবেরকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি। কিছুদিন আগে শিলা বৃষ্টির কারণে কিছু গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেল হিসেবে সূর্যমুখী অত্যন্ত উন্নত এবং স্বাস্থ্যের উপকারী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর মাত্র ৫৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। এবার সেটা বেড়ে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ৫৬৫ হেক্টর জমির জন্য যে পরিমাণ বীজ দরকার সে পরিমাণ বীজ কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এটি হাইসান-৩৩ ভ্যারাইটির।
স্বাস্থ্যক্ষতির দিকটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে রেনডমলি (ক্রমাগতভাবে) সোয়াবিন তেল বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত খাচ্ছি, তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যমুখী তেল অত্যন্ত পুষ্টিসম্পন্ন এবং এতে কোলেস্টেরালের মাত্রা কম। এ তেলের ভিড়ে ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান আছে। এসব গুণের জন্য এই তেল অনেকে দাম দিয়ে কিনে খাচ্ছেন। সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সূর্যমুখী তেল বা সরিষা তেল অবশ্যই খেতে হবে। এজন্য আমাদেরকে প্রতিবছর ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে তেলের যে প্রয়োজন তার শতকরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল সরিষা, সূর্যমুখী, তিসি, বাদাম প্রভৃতি থেকে আসে। বাকি শতকরা ৯০ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আনতে হয় বলে জানান তিনি। সূর্যমুখী বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সূর্যমুখী বীজ থেকে শতকরা ৪০ শতাংশ তেল হয়। অর্থাৎ ১০ কেজি সূর্যমুখী যদি ভাঙান তবে, ৪ লিটার তেল পাবেন। এখন প্রতিকেজি সূর্যমুখীর দাম ৮০ টাকা। যখন এটা হারভেস্ট (আহরণ) হবে তখন একটু দাম কমবে। গত বছর আমরা ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করেছি।
১০ কেজি সূর্যমুখী বীজের দাম হবে ৬০০ টাকা। এই ১০ কেজি ভাঙালে ৪ লিটার সূর্যমুখী তেল পাবেন। ভাঙানো পর সূর্যমুখীর খইল দিয়ে দিলে ভাঙানোর খরচ ফ্রি। তাহলে প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা করে পড়লো। বীজের দাম বেশি হলে হয়তো ১৬০ টাকা পড়বে।
আমেরিকান বা বিদেশি অন্যান্য কোম্পানির সূর্যমুখী তেল হলে আপনাকে বাজার থেকে প্রতি লিটার ২০০ টাকা করে কিনতে হবে বলে যোগ করেন উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী।
শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে 'শিশুবক্তা' খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে।
এদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, আজকের বিক্ষোভ থেকে আটক হওয়া রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট বলে তাকে সবাই শিশুবক্তা হিসেবে চেনেন। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
ফাইল ছবি
জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মোঃ আইয়ূব আলী, তিন বারের নির্বাচিত মেম্বার, চতুর্থবারে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় তিনি ৩০০ ভোটের ব্যবধানে অকৃতকার্য হন।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিবেদনে জানা যায়, মরহুম মোঃ মহরম আলীর পুত্র মোঃ আইয়ূব আলী বদরগঞ্জ বাজার কমিটিরও সভাপতি। তিনি বদরগাজী জামে মসজিদ ও একটি কিন্ডার গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন।
মোঃ আইয়ূব আলী দেউন্দি বস্তি এলাকায় নিজ ভূমিতে হেলথ্ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গরীবদের ফ্রি স্বাস্থ্য প্রদান নিশ্চিত করেছেন। তিনি যে কোন দুর্যোগ সময়ে মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার কারণে সবার নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়।
তিনি নও মুসলিম হাসান মাহমুদের একমাত্র অভিভাবক। আরো কিছু নও মুসলিম এর দেখ ভাল তিনি নিজেই করে থাকেন বলে এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি সূত্র থেকে জানা যায়। উল্লেখ্য, নও মুসলিম হাসান মাহমুদের ফার্মেসীটিও করে দেন দানবীর এই আইয়ূব আলী।
ব্যক্তি জীবনে আইয়ূব আলী মেম্বারের ৪ ছেলে, ৫ মেয়ে ও ১ স্ত্রী। বড় মেয়ে বিবাহিত, অন্যান্যরা বিভিন্ন স্কুলে-কলেজে অধ্যয়নরত।