a
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।
সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।
সংগৃহীত ছবি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজতকে কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাত ৮টায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রবিবার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফাইল ছবি
স্প্যানিশ লা লিগার ২০২১-২২ মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে বার্সেলোনা। অ্যাথলেটিক বিলবাও’র বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে ১-১ গোলে। যদিও ম্যাচে বলের দখল বেশি ছিল কাতালানদের। কিন্তু আক্রমণ ও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করেছিল বিলবাও। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
চলতি বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই দলের এটি পঞ্চম দেখা। কোপা দেল রের ফাইনালসহ আগের তিন ম্যাচে জিতেছে বার্সেলোনা। সুপার কাপের ম্যাচে জিতেছিল বিলবাও। এবার হলো ড্র।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও জালের নাগাল পায়নি বিলবাও। তবে বিরতির পর ঠিকই জালের নাগাল পায় তারা। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় ইকের মুনিয়ানের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান মার্টিনেস। ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। এ সময় রবের্তোর পাস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে ঢুকে জোড়ালো শট নেন মেমফিস ডিপেই। বিলবাওয়ের গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বল জালে আশ্রয় নেয়। কাতালানদের হয়ে লা লিগায় এটা ছিল ডাচ তারকা মেমফিসের আনুষ্ঠানিক প্রথম গোল।
অবশ্য ম্যাচের শেষ দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ডেনিশ তারকা ব্রাথওয়েট।মেমফিসের পা থেকে বল পেয়ে গোল পোস্টের সামনে থেকেও গোল করতে পারতে ব্যর্থ হয়েছেন,তার নেওয়া শট গোল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। উল্টো যোগ করা সময়ে বিলবাও এর উইলিয়ামসকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সার এরিক গার্সিয়া। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ