a
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি পায়নি দাবি করে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশ করতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ নিষেধ করেছে। তাই আমরা আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শান্তি সমাবেশ করবো।
এর আগে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বৃহস্পতিবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন। কিন্তু সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ায় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল বলে জানায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো: আবদুল কাদের মির্জা
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস মহিতুলকে দিয়ে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সব খাত থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এই চাঁদার টাকার একটি অংশ প্রশাসনের লোকজনকে, একটি অংশ লন্ডনে তারেক জিয়ার জন্য পাঠান এবং অবশিষ্ট টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী রেখে দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্ত্রী আজ নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। ঢাকা থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জাহাঙ্গীর নামে এক ছেলে। সে মন্ত্রণালয়ের বিআরটিএ লুটপাট করে খাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। জাহাঙ্গীর এবং জুয়েল মন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে এসব করছে। এদের সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা চেয়ারম্যার মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা শামীমও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস যাবত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দুইপক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর আগে ৯ মার্চ সিএনজিচালক ও শ্রমিক লীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন আরও অর্ধশতাধিক। এসব বিষয়ে আরেক সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। উৎস: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আমরা সারাদেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সারাদেশের জনগণের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব সারা সৃষ্টি করেছে। ভয়াবহ, কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, নির্যাতনকারী সরকারের দুঃশাসনের ফলে সমগ্র দেশের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তারই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে মানুষ বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। এতে সম্পূর্ণভাবে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী চরিত্র আরও একবার উদ্ভাসিত হয়েছে। আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রির মধ্যেই সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিকভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে বলপ্রয়োগ ছাড়া তাদের টিকে থাকার আর কোনো শক্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচি সেটা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব থানা উপজেলায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে হবে। এরমধ্যে আগামী ৩০ আগস্ট সারাদেশে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সারাদেশে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করবো। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পালন করবো।
অন্যদিকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সারাদেশে পালিত হবে। এ উপলক্ষে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন