a বিএনপি'র এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিএনপি'র এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার: ওবায়দুল কাদের


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:১৫
বিএনপি'র এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি'র এখন রাজনৈতিক আইসোলেশন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা হেফাজতের উপর ভর করছে। 

আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন অসহায়, কর্মহীন, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে সতর্ক করছে তখন বিএনপি তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক মিত্রদের নিয়ে দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে ও দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে দিচ্ছে। করোনা মহামারীর এ সময়ে বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার হটানোর নামে ধান ভানতে শীবের গীত গাইছে বলে মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের জনক বিএনপি, আর এ সন্ত্রাসের আগুনে একসময় তাদের নিজেদের ঘরও পুড়বে। এমন অপরাজনীতি বুমেরাং হতে বাধ্য। 

তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ে বিএনপি নির্মম ও নির্লজ্জ রাজনীতি করছে। তারা একবার বলে লকডাউন দিতে আবার বলে লকডাউন দিলে মানুষ খাবে কী? বিএনপির এমন দ্বিমুখী নীতি এবং করোনা নিয়ে অপরাজনীতির দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর এজন্যই ক্ষেত্রবিশেষে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি সরকারকে সরাতে ছাত্র ও শ্রমিকদের ঐক্যের কথা বলছেন। কিন্তু তারা ছাত্র-শ্রমিকদের কোন সাড়া পাচ্ছে না এবং জনগণেরও কোন আস্থা পাচ্ছে না। 

করোনা মোকাবিলায় সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকারান্তরে বিএনপির বক্তব্যে প্রমাণ করে তাদের লেজে-গোবরে দশা। জনগণ মনে করে বিএনপির মনোজগতে ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বাসা বেঁধেছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত, যার লক্ষণ নেতিবাচক রাজনীতি, মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কারচুপি করতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২২, ০৮:১৬
কারচুপি করতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি বলেছেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের কোন আস্থা নেই। দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে, কারচুপি করতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। কর্তৃত্ববাদী কোন সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলা-ই যায়। একই নির্বাচন কমিশন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারলেও দলীয় সরকারের অধীনে তা সম্ভব হয়নি।

কারণ, কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রার্থীদের সাথে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনে হলে কখনোই লেভেল প্লেইং ফিল্ড হয় না। মুক্তিযুদ্ধে চেতনা অনুযায়ী সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দুর্ণীতিতে দেশ ভেসে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ী, আমলা আর রাজনীতিবীদদের একটি চক্র ব্যবসার নামে দেশে লুন্ঠন করছে। রাজনীতির অবস্থা এমন হয়েছে যে, নির্বাচনে যারা পরাজিত হবে, তারা যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দেশের মানুষ এমন রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায় না।  

আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে কৃষক শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন। এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেউ দেশ ও মানুষের কথা বললেই তাকে দমিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে।

এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এমন বালাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। দেশে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নেই। গণভবনের একজন কর্মচারীর যে সম্মান আছে, তা এখন মন্ত্রী ও এমপিদেরও নেই। সরকারি কর্মচারীরা এখন লাগামহীন। মানুষের সম্মান ও মর্যাদার ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি প্রমুখ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি: কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:১১
পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি:কাদের

ফাইল ছবি

আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। তারা এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ কি চেয়ে থাকবে?

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর)  গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে’ বলে মির্জা ফখরুল যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। এ থেকে প্রমাণ হয় তারাই তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা ষড়যন্ত্রের হোতা।

তারাই র‌্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ কি চেয়ে থাকবে? রাষ্ট্রের জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ কি বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করবে না? হত্যা, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রতিফল ভোগ করছে বিএনপি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখনও অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তারা তাদের অতীতের ভুলের মাশুল দিচ্ছে। এখনও যদি গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসে তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিবে।

আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব আবারও সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। বারবার মামা বাড়ির আবদার নিয়ে হাজির হন ফখরুল সাহেব। সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আওয়ামী লীগ জনরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনগণ আওয়ামী লীগকে পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। মেয়াদ শেষে যথাসময়ে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি ফখরুল সাহেব করেছেন সেটাতো মীমাংসিত একটি বিষয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

‘এখনকার পার্লামেন্ট গৃহপালিত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় সংসদকে নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং জাতীয় সংসদের জন্য অবমাননাকর। বিএনপি মহাসচিবকে বলতে চাই, আপনি যে সংসদকে গৃহপালিত বলছেন সেই সংসদে তো বিএনপির জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তবে কি তারা গৃহপালিত?’

তিনি বলেন, এ ধরনের অবান্তর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাবো, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য পরিহার করুন এবং গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি মেনে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করুন। সূত্র: ঢাকানিউজ২৪

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি