a
ফাইল ছবি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির জনসমাবেশ শুরু হয়। আজ দুপুর ২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ সমাবেশ শুরু হয়। মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন নয়াপল্টনে। তাদের জমায়েত মতিঝিলের শাপলা চত্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে এ জনসমাবেশ করেছে বিএনপি।
সরেজমিন দেখা যায়, নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল ঢুকছে সমাবেশ স্থলে। বেলা ১১টার আগেই কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নয়াপল্টন। বিভিন্ন ইউনিট থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। ৫টি ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়।
সমাবেশ কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে ভিআইপি সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
জনসমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতারা ও অঙ্গসংগঠন নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সঞ্চালনায় আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।
ঢাকার প্রত্যকটি প্রবেশমুখে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। সকাল থেকেই চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যাত্রী ও চালককে কোথায় যাচ্ছেন তা জানতে চান। বাসে যাত্রীদের ব্যাগ, ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে ও পেছনে ব্যাকডালা তল্লাশি করে। সূত্র: যুগান্তর
ছবিঃ মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আরাফাত, ঢাকা প্রতিনিধিঃ আজ ৮ নভেম্বর শনিবার বেলা ১২টায়, ১৪ পুরানা পল্টন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তিদলের জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মুক্তি দলের মাননীয় চেয়ারম্যান এটিএম মমতাজুল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভাটির সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাঃ খোরশেদ আলম।
সভায় জাতীয় মুক্তিদলের চেয়ারম্যান নির্বাচন কমিশনকে বলেন, আপনারা সাহসিকতা ও নিরপেক্ষতার সহিত একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন সম্পন্নের আয়োজন করুন। জনগণ যাতে আপনাদের প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারে। তিনি অর্ন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন না করায় জনমনে নানান অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। বর্তমানে জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, জনগণ অনেক কষ্টের মাঝে দিনাতিপাত করছে। দেশে নানা-রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, সরকারের সেদিকে নজর দিচ্ছেনা। দেশে নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সাহসিকতা ও নিরপেক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালনে উদাত্ব আহ্বান জানান।
জাতীয় মুক্তিদলের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাঃ খোরশেদ আলম বলেন, দেশ আজ মহা-দূর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। নির্বাচনের প্রারম্ভে দেশী-বিদেশী নানান মহল নির্বাচনকে বানচাল বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দেশপ্রেমিক জনগণকে সাথে নিয়ে, বিশেষ করে যারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তাদের একত্রিত করে সম্মিলিতভাবে দেশবিরোধী সেসব অপশক্তিকে বিতাড়িত করে সকলে মিলে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাবো।
জাতীয় মুক্তিদলের ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাঙ্গালি বলেন, ৭১ এর সংবিধান বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন আইন এ দেশে বাস্তবায়িত হতে দেয়া হবেনা। তিনি আরও বলেন, দেশের সীমানাগুলো আজ অরক্ষিত এবং বন্দরগুলো নিয়েও নানান চক্রান্ত চলছে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো এবং অর্ন্তবর্তী সরকারও এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই এবং জনগণকেও না জানিয়ে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা করছে।
সংগঠনের যুগ্ন মহাসচিব জহিরুল ইসলাম সিরাজ, সাংগঠনিক সচিব মোহাম্মদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য ছানাউল্লাহ ও বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন সজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন হুমকি দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আজ রাতেই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা সামরিক মহড়া শুরুর পর উত্তর কোরিয়া আমেরিকার সমালোচনা করলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারী উচ্চারন করলেন।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চলমান সামরিক মহড়া অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন।
গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন মার্কিন প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, তারা প্রথম পদক্ষেপে নিন্দারযোগ্য কাজ করেছেন। যদি আগামী ৪ বছর তারা (আমেরিকানরা) শান্তিতে ঘুমাতে চান তাহলে তাদের এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা উচিত।
কিম জং উনের বোন এবং উপদেষ্টা কিম ইয়ো জং আরও বলেছিলেন, যুদ্ধের মহড়া ও সংলাপ পাশাপাশি চলতে পারে না।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার চলমান এই সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া আগ্রাসনের রিহার্সেল বলে উল্লেখ করেছে। সূত্র: পার্সটুডে