a
ফাইল ফটো: শিশুবক্তা-রফিকুল ইসলাম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে রাজধানীতে যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সেখানে তিনি একটি মাহফিলে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দুপুর ১২টার পর তাকে রফিকুলকে আটক করা হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী আশরাফুল হক বলেন, আটক শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে পল্টন থানা থেকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আধঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং এসময় শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামসহ আরও ১১ জনকে আটক করে পুলিশ।
ফাইল ছবি: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বাংলাদেশের বিষয়ে মাতবরি না করে ভারতকে নিজেদের ঘর সামাল দিতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ভারতের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে নিজেদের ঘর সামাল দিন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর দয়াগঞ্জে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘নিজের ঘর সামলান, পরের ঘরের মাতবরি করা থামিয়ে দিন। ১৮ কোটি মানুষ যেখানে আছে, সেখানে কারো মাতবরি টিকে না, শেখ হাসিনার টিকে থাকার জন্য।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না। আমাদের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ২০১৪ সালের মতো, ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়- চ্যালেঞ্জ এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আজকে কোন দেশ কি বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমাদের অধিকার আমাদেরই প্রতিষ্ঠা করতে হবে, আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে।’
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সূত্র: যুগান্তর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়ায় জমা পড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬টি আবেদনপত্র। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ১৭৩ সিটের বিপরীতে প্রতি আসনে লড়বেন প্রায় ৩১ জন ভর্তিচ্ছু।
আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি সেন্টারের পরিচালক ড. বাবুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত মোট তিনটি ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদন পড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬টি। এর মধ্যে এ-ইউনিটে ৪৩ হাজার ৫৫৮, বি-ইউনিটে ৩৯ হাজার ৮৯৫ এবং সি-ইউনিটে ৪৪ হাজার ১৯৪টি আবেদন পড়েছে। যা নির্ধারিত মোট আবেদন সংখ্যা থেকে ৭ হাজার ৩৫৪টি কম। কেননা এবার রাবিতে তিন ইউনিটে ৪৫ হাজার করে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ভর্তিচ্ছুর আবেদনের সুযোগ ছিল।
তথ্য ও প্রযুক্তি সেন্টারের পরিচালক আরও জানান, চূড়ান্ত আবেদন করা ভর্তিচ্ছুদের নতুন করে আর কোনো আবেদনের সুযোগ থাকছে না। সকল ভর্তিচ্ছুকে অবশ্যই ২ এপ্রিলের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে।
এই ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৪ জুন। তিন শিফটে চলা এই পরীক্ষা শেষ হবে ১৬ জুন। বহুনির্বাচনি পদ্ধতিতে হওয়া এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে মোট ৮০টি। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫ করে মোট ১০০ নম্বর নির্ধারিত হবে। প্রতি পাঁচটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ১ নম্বর। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে না কোনো জিপিএ নম্বর।