a বাংলাসহ ১০ ভাষায় এবছরে হজের খুতবা সম্প্রচার করা হবে
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বাংলাসহ ১০ ভাষায় এবছরে হজের খুতবা সম্প্রচার করা হবে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৯:৩২
বাংলাসহ ১০ ভাষায় এবছরে হজের খুতবা সম্প্রচার করা হবে

ফাইল ছবি

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে খুতবা পাঠ পৌঁছে দিতে সৌদি আরব সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবার আরাফার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে হাজিদের উদ্দেশ্যে হজের যে খুতবা পাঠ করা হবে সেখানে বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।

সেখানে দু’টি প্লাটফর্মে সেটি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদির পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস।

যে সকল ভাষায় সম্প্রচারিত হবে সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, মালাইউ, চায়নিজ, উর্দু, ফার্সি, রাশিয়ান ও হাউসা। শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস, ইসলামের সুমহান বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম কর্তৃক গৃহীত হারামাইন শরীফাইন ও আরাফা'র খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ প্রকল্পের অংশ হিসেবে, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ (আর রিয়াসা আল আম্মা) জানিয়েছে, উক্ত খুতবা বিশ্বের এই দশটি ভাষায় সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করা হবে।  

চলতি বছরে আরাফার দিনের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শেখ ড. বন্দর বিন আবদুল আজিজ বালিলা। রাজকীয় এক ডিক্রির মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এই নির্দেশ জারি করেন। 

গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামের দায়িত্ব ছাড়াও শেখ বন্দর কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সেরও সদস্য। আরাফার দিনে খুতবার দায়িত্ব দেয়ার পর সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ বন্দর বালিলা।

করোনাকালে দ্বিতীয় বারের মতো সীমিত সংখ্যক হাজিদের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে সৌদির বিভিন্ন স্থান থেকে হাজিরা মক্কার মসজিদুল হারামে এসে তাওয়াফ শুরু করেছেন। এবারের জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। সূত্র: দ্যানিউজগ্লোরি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৫ জুন থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২, ০৮:০৭
৫ জুন থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু

ফাইল ছবি

চলতি বছরে হজযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে প্রথম হজ ফ্লাইট ৩১ মে এর পরিবর্তে ৫ জুন থেকে শুরু হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।

মন্ত্রণালয়ের পত্রে জানানো হয়, “রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ এর আওতায় ২০২২ সনের হজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবগামী শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে প্রথম হজফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতিও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অদ্য রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ বাস্তবায়নকারী সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসে জানান রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ এর জন্য ৪০ জন জনবলসহ সৌদি টিম ঢাকায় আগামী ২ জুনের আগে এসে পৌঁছাতে পারবে না এবং প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস/যন্ত্রপাতি এখানো ঢাকায় এসে পৌঁছেনি। এসকল ডিভাইস/যন্ত্রপাতি উল্লেখিত সৌদি টিমের সঙ্গে ঢাকায় আসবে। এই যন্ত্রপাতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইনস্টল করতে হবে। এতে কিছু সময় লাগবে। ফলে আগামী ৫ জুনের আগে তাদের পক্ষে ঢাকা থেকে হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।”

ফলে ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু করা হলে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লাইট এবং ঢাকায় প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার স্বার্থে ৩১ মে এর পরিবর্তে আগামী ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করতে হবে। সূত্র: বাসস।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, অথচ সৎ সাংবাদিকগণ আজ উপেক্ষিত


রাসেল মিয়া, রিপোর্টার, হবিগঞ্জ:
মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১, ১০:৫০
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, অথচ সৎ সাংবাদিকগণ আজ উপেক্ষিত

ফাইল ছবি। শেখ আব্দুল কাদির কাজল

আমি একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ এবং জন্মগতভাবে বাংলাদেশী। ১৯৮৬ সাল থেকে মহান ও মহৎ ব্যক্তিদের সাথেই আমার পথ চলা। তৎকালীন সাপ্তাহিক দৃষ্টিকোণ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক নোমান চৌধুরীর সান্নিধ্যে আমার প্রথম পরিচয়। জনাব চৌধুরী আমাকে অতি স্নেহ করে মহান পেশায় সাংবাদিকতা শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি, তা আমি জানিনা। তবে বর্তমানে যে সম্পাদক সাহেবের অধীনে থেকে মাঝে মধ্যে দু'একটি লেখা পাঠাই। সম্পাদক মহোদয়ের স্নেহ ভালোবাসায় প্রমাণ করে- আমি একজন ভাল সাংবাদিক হতে না পারলেও সংবাদপত্রের একজন নিবেদিত সেবক হিসেবে কাজ করছি। 

আমার সম্পাদক একজন মহান ব্যক্তিত্ব, উচ্চ শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ। এসমস্ত মানুষের সান্নিধ্যে আসলে মনটাই ভরে যায়। ফোনে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কথা বললে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি সুন্দরভাবে সমাধানের ক্ষেত্র বের করে দেন। আমি যেখানে নিরাশ হয়ে যাই, সেখানে তিনি আশার আলো জ্বালিয়ে আশাবাদী করে তুলেন। তাই বাস্তব এই সত্যটুকু তুলে ধরে মনটাকে হালকা করার চেষ্টা করলাম মাত্র। সমাজে আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুরাচার, পাপাচারে নিমজ্জিত। মাঝে মধ্যে এসব দেখে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন এসব গুণী ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করার আশা সঞ্চার হয়।

সাংবাদিক সমাজের দায়িত্ব কি? কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলা এবং সত্য সঠিক তথ্য সংগ্রহপূর্ব্বক তা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা। একটা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা পকেটে রেখে সমাজে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের কার্ড তুলে ধরলেই তাকে সাংবাদিক বলা যায়না।  

১৯৮৬ থেকে দেখে আসছি মহান সাংবাদিকদের কলমের খোঁচায় বহু ঘোষখোর ঘোষের টাকা ফেরত দিতে, বহু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে, সন্ত্রাসীরাও যতটুকু ভয় পেত কলম সৈনিক সাংবাদিককে দেখলে, সত্যিকার অর্থে ততটুকু ভয় পুলিশকেও পেতনা।  

আস্তে আস্তে এই পেশায় কেটে গেলো ৩৪ বছর। এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক ভাল সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। তারা সর্বদায় দেশ ও জাতির কল্ল্যাণে নানান চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সততা ও কর্মের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক পরিচয় দিতে নিজেকে সাচ্ছন্দবোধ করি।

তবে, বর্তমানে মফস্বল এলাকায় বিভিন্ন কথিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করি। নাম সর্বস্ব পত্রিকার কার্ড বানিয়ে, কার্ড দেখিয়ে সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু জনৈক সাংবাদিকের আসল কাজটা কি তা নিজেই জানেন না।

এটাতো বললাম সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের একাল-সেকালের কথা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পেক্ষাপট তো আরও খারাপ অবস্থা। ছাত্রাবস্থায় কি দেখলাম, আর এখন কি দেখছি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। কম বয়সের ছেলে-মেয়েরা হয়তোবা মনে করবে এদেশের রাজনৈতিক ধারা পূর্ব থেকেই এরকমই। আসলে কি তাই?

পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রয় লুটেরা ও সন্ত্রাসীদের জয়-জয়কার। অসভ্য, অসত্য ব্যক্তিবর্গ আজ সমাজটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। এসমাজে ন্যায়-পরায়ণ, সভ্য-সুন্দর ব্যক্তিদের  কদর নেই বললেই চলে। তাই সমাজের এই বাতাবরনে অনেকে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন।

আজ আমি চিন্তা করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের নিয়ে। এতো রক্ত দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করে তার পরিণাম যদি এই হয়, এর চেয়ে দুর্ভাগা আর কি হতে পারে! বঙ্গবন্ধু দেশটাকে স্বাধীন করে এদেশের মানুষগুলোকেও স্বাধীনতা দিয়ে আসা করেছিলেন তারা উচ্চ মর্যদায় আসীন হয়ে সারা বিশ্বে একটা মডেল হিসেবে দেশের মান উজ্জ্বল করবেন। আমরা কি সে আশা পূরণ করতে পেরেছি? এরপরও আশাবাদী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যে যার অবস্থান থেকে যদি কাজ করি, তাহলে সমাজে অবশ্যই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ ও বিশৃংখলাকারীরা উৎখাত হবেই হবে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ধর্ম