a
ফাইল ছবি
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক।’ ধ্বনিতে মুখর আরাফার ময়দান। লাখ লাখ মানুষ মহান স্রষ্টার কাছে জীবনে গুনা মাফ করার আশায় মক্কা মদিনায় মিলিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষা ও সৃশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সৌদিতে শুক্রবার সকাল থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। হজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা আজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। সারা দিন ইবাদতে মশগুল থাকবেন।
বুধবার সারাদিন তারা মিনায় থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছেন। মিনায় তাঁবুতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। আজ ফজরের নামাজ আদায় শেষে তারা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে গেছেন।
আরাফাতে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পাঠ করা হবে। এ বছর খুৎবা দেবেন দেশটির সাবেক বিচারমন্ত্রী শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। যা বাংলাসহ ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
মুজদালিফায় রাত্রী যাপনের পর ১০ জিলহজ সকালে আবার মিনায় ফিরবেন হাজিরা। পরে জামারায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
এদিন হাজিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন। পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে বা ন্যাড়া করে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।
কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, ততদিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর দেশে ফিরবেন। যাঁরা হজের আগে মদিনা যাননি, তাঁরা মদিনায় যাবেন।
হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। হাজিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মিনায় কিছু দূর পরপর হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: ধর্ম উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বাংলাদেশীরা জাহাজে করে কম খরচে হজে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল রাতে মাদারীপুরের শিবচরের জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় সীরাতুন্নবী মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর হাজিরা জাহাজে করে হজ করতে যেতেন। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজে করে হাজিদের হজে পাঠানোর বিষয়টি আলোচনা করেছি। সৌদি সরকারও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা জাহাজ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি।
এ বছরই আমরা জাহাজে পাঠানোর চেষ্টা করছি। আমরা একটা ডোর ওপেন করে দিয়ে যেতে চাই। এ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে কম খরচে হজ করতে পারেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, হাজিদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে সৌদি সরকার আন্তরিক রয়েছে। আমরা আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করবো। স্বল্প খরচে কাবা শরিফ এবং মদিনা শরিফ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং আরেকটু দূরে! হাজিরা হেঁটেও যেন কাবা শরীফে আসতে পারেন।
তাছাড়া বাংলাদেশ বিমানে খরচ বেশি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি, যাতে খরচটাও কমিয়ে আনা যায়। আমরা আশাবাদী, হজ প্যাকেজগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে করতে পারবো।
কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার সনদকে কিভাবে কার্যকর করা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে কওমী মাদরাসা থেকে প্রাপ্ত সনদ কাজে লাগানো যায় সে বিষয়েও বর্তমান সরকার কাজ করবে। সূত্র:মানবজমিন
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে "অপরাধপ্রবণ ব্যক্তির হাতের লিখার বৈশিষ্ট্য" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে মানুষ তার অজান্তেই নিজের চেতন ও অবচেতন মনের আচরণ বা অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক বা গ্রাফোলজিস্ট হাতের লেখার গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে মানুষ এর আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলতে পারে।
"হ্যান্ড রাইটিং ট্রেইটস অফ ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সিস" - এই শিরোনামে ১২ই জুন (সোমবার) রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর সহযোগিতায় একটি তথ্যবহুল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মনিরা নাজমি জাহান।
উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিমিনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি ফারিয়া আনজুম খান ধ্রুবা, সহ -সভাপতি তানভির হাসান তালুকদার শাওনসহ অন্যান্য সদস্য।
আজকের প্রোগ্রামের ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মিরাজ হোসাইন। তিনি একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবেও কর্মরত আছেন।
হাতের লেখার ধরণ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত করা যায় তা ছিল আজকের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য। মোঃ মিরাজ হোসাইন বলেন, "প্রায় ৫০ এর বেশি হাতের লেখার বৈশিষ্ট্যের চিহ্নিত করা হয়েছে অপরাধীদের হাতের লেখা গবেষণা করে। এরমধ্যে কারো কারো হাতের লেখায় যখন ৭-৮ টি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাফোলজিস্টরা শনাক্ত করেন"।
মনিরা নাজমি জাহান বলেছেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে গ্রাফোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ ও মানসিক অবস্থা শনাক্ত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে"।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা করা এবং দেশে গ্রাফোলজিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া আরো জোরদার করার আহবান জানায়। অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে একাংশ পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবং আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে প্রধান অতিথি ও আজকের ট্রেইনার কে ক্রেস্ট দ্বারা সম্মান জানানোর মাধ্যমে।