a
সংগৃহীত ছবি
সৌদি আরবে ঈদুল আজহা ২০ জুলাই পালিত হবে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ঈদুল আজহা পালনের এই তারিখ ঘোষণা করেছে। খবর গালফ নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসেবে আগামী রবিবার শুরু হবে জিলহজ মাস। আর দেশটিতে ঈদুল আজহা পালিত হবে আগামী ২০ জুলাই অর্থাৎ জিলহজ মাসের দশম দিন। আগের দিন ১৯ জুলাই হবে আরাফাতের দিন।
উল্লেখ্য, মুসলমানরা প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ পালন করে থাকেন। এর অংশ হিসেবে এই মাসের দশম দিন ঈদুল আজহা পালিত হয়ে থাকে।
ফাইল ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারের পর এবার সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এ দুই শহরে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বছর এপ্রিল মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন আবহাওয়া বিপর্যয়। বিরল বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক মরুর দেশ।
সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি (এনসিএম) এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে মক্কা ও মদিনায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই বৃষ্টিপাত দক্ষিণ-পশ্চিম সৌদি আরবের বাহা, আসির ও জিজান এবং উত্তর-পশ্চিমের তাবুকসহ অন্যান্য সৌদি অঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তর রিয়াদ ও পূর্ব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তালিকাভুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের এই সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
এনসিএমের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি সম্প্রতি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের মুনিফা শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত এপ্রিলের শেষ অবধি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার ওঠানামার কারণে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং এনসিএমের নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কর্তৃপক্ষ সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে। প্রদেশের শহরগুলোতে মাঝারি থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রবল বাতাস, দুর্বল দৃশ্যমানতা, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া।
মস্কো বলছে, অবরোধের মত পদক্ষেপগুলো দেশটিতে বিভেদ ও সংঘাত আরো বাড়িয়ে দেবে। রাশিয়া জান্তা সরকারের অন্যতম মিত্র দেশ এবং মিয়ানমারের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করে থাকে রাশিয়া।
এদিকে, জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই সামরিক সরকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইইউ।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
জান্তা সরকার গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় বলে জানায়। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়ে আসছে এবং জান্তা সরকার শত শত মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে।