a
ফাইল ছবি
করোনার কারণে ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে ১৫ জানুয়ারির টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে এবং ২৫ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তাররোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয় বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকার নর্দায় রাইদা পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আঙ্গুল কেটে ঝুলে পড়েছে এক চালকের। গতকাল রবিবার (২৬ জুন) রাত ১০ টার দিকে বাস দুটি একটি আরেকটিকে ওভারটেক করতে গেলে বামপাশে থাকা বাস চালকের আঙ্গুল কেটে যায়।
যাত্রীরা চালকের হাতে কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং চালকের আসনে হেলপার বসে গাড়ি য়াত্রীশুন্য করে গন্তব্যে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বাসযাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও পরে যে যার মতো চলে যায়। কারণ তারা এসব নিত্যদিনের ঘটনা নিজেদের প্রায় মানিয়েই নিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ভেতর দিয়ে চলাচলকারী রাইদা বাস দিয়াবাড়ি টু পোস্তগোলা রোডে চলাচল করে। এই বাস সার্ভিস চালুর পর এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে অনেক আনন্দ ছিল। কারণ এদের স্টাফগুলো অন্যান্য গাড়ির তুলনায় ভাল ও দক্ষ ছিল। কিন্তু দুই এক বছর পার হতো না হতে এদের পরিবহন সেবা অনেক বাজে হয়ে গেছে। একই রোডে চলাচলকারী তুরাগ বাসের চেয়েও এতের সার্ভিস খারাপ হয়ে গেছে।
রাইদা বাস সার্ভিস চালুর পর স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা এবং মহিলাশিক্ষক রিকসা না গিয়ে এই বাসে চলাচল করতেন। তারা খরচের পাশাপাশি এই বাসে চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করতেন। কিন্তু এখন তারা আগের মতো ভরসা পাননা। কারণ অন্যান্য সমস্যাগুলো তো আছেই, তারপর এরা পেসেঞ্জার তোলার সময় অনেক সময় নিয়ে তুললেও বাসস্টপে নামার সময় নামতে না দিয়েই দ্রুত প্রস্থান করতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে কোন একটা বাস স্টপে অনেক সময় ধরে বসে থাকলেও পেছন থেকে একই লাইনের গাড়ি ওভারটেক করতে গেলে নিজেদের মাঝে প্রায় যুদ্ধ লেগে যায়। সামনে-সাইডে কোন লোক বা রিকসা থাকলেও সেগুলো তোয়াক্কা না করে অনেক সময় ধাক্কা দিয়েই পার হতে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দূর্ঘটনায় যাত্রীদের সহযোগিতায় এদের পুলিশে সোপর্দ করলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে এরা পার পেয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। বেপরোয়া এসব চালকদের জন্য যাত্রীদের প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং এমন ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও নেহায়েত কম নয়!
ছবি সংগৃহীত
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আনা দক্ষিণ আফ্রিকার যুদ্ধাপরাধ মামলার আপাতত মূল এজেন্ডা ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি অথবা সামরিক অভিযান বন্ধ করা। শুক্রবার বিশ্ব আদালত হিসেবে পরিচিত নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আদালতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত মূল এজেন্ডাকে পাশ কাটিয়ে গাজায় গণহত্যার মতো অপরাধ ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরাইলকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রদান করে এই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আর মামলাটির রায় পড়ে শোনান আইসিজে’র বিচারকমণ্ডলীর প্রেসিডেন্ট জোয়ান ই দোনোগু।
এই অবস্থায় গাজায় রক্তপাত বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিশ্ব বিচার ব্যবস্থাকে আর বিশ্বাস করছেন না অধিকাংশ ফিলিস্তিনি। সূত্র: আলজাজিরা।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৯ লাখের বেশি মানুষ। বিশেষ করে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনে ওই উপত্যকায় আরও নিহত হয়েছেন ১৭৪ ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন তিন শতাধিক নিরীহ মানুষ।
এদিকে এসব নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাঝেই বিশ্বের দু’মুখী মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের পর গাজায় ত্রাণ সহায়তা স্থগিত করল আরও ৮টি দেশ। সর্বশেষ তথ্যমতে, অনুদান স্থগিতকৃত দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।
তাদের অভিযোগ ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার সঙ্গে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা সরবরাহকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউ) একাধিক কর্মী জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরাইল। শুক্রবার এমন অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশগুলো। খবর এএফপি, বিবিসি।
মজার ব্যাপার হলো শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থায়ন বন্ধ করার সাথে সাথেই অন্য দেশগুলোও কাল বিলম্ব না করে একই পথে হাটছে। দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হোসেন বলেছেন, ইসরাইলের এ অভিযোগে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দেশগুলোকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত না করে যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে অর্থায়ন তহবিল বন্ধ না করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা?
দীর্ঘদিনের নির্যাতন, অবৈধ বসতি স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষোভের কারণে গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছিল। হামলাকারীরা সেদিন প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়। আর ইসরায়েলের নিশংস হত্যাকান্ডে ফিলিস্তিনের নিরীহ এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর আহত হয়েছেন ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এসব হত্যাকান্ডরোধে ফিলিস্তিনকে জোরালোভাবে সমর্থন করে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ৯টি বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছিল। যার মাঝে অন্যতম ছিল, এই মূহুর্তে গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করা, যেটিকে ‘গণহত্যা’ বলছে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো।
লেখক: মোহা. খোরশেদ আলম, নির্বাহী পরিচালক, হিউম্যান রাইটস এন্ড এনভায়রমেন্ট ডেভোলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস)