a
ফাইল ছবি: রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন
দেশে করোনা বেড়ে যাওয়ায় আবারও লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনের সময় জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লকউনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখা। এ জন্য জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
ছবি: সংগৃহীত
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিলোমিটারপ্রতি বাসভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুনর্নির্ধারণী কমিটি। সোমবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ভাড়া কমানোর সুপারিশ অনুমোদন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ভাড়া কমানোর সুপারিশ আমরা এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
বর্তমানে দেশের দূরপাল্লার রুটের জন্য সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা। এ ভাড়া কমিয়ে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৪৫ পয়সা। এটা কমিয়ে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে মিনিবাসের নির্ধারিত ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৩৫ পয়সা। এ হার কমিয়ে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণী কমিটি।
সাধারন জনগণ এই ধরণের একতরফা সিদ্ধান্তকে তামাশা বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বছর বছরে কয়েক দফা তেলের দাম বাড়ার আগে তারা কিলো প্রতি ১/২ টাকা বাড়িয়ে দেয় এবং সরকার যখন তেলের দাম বাড়িয়ে দেয় তারা আবারও তাদের ইচ্ছে মতো বাস ভাড়া বাড়িয়ে তাদের ইচ্ছে মতো ভাড়া নির্ধারণ করে। ফলে প্রতিটি সেক্টরে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। বর্তমানে প্রতিটি জিনিস মানুষের ক্রয় সীমানার বাইরে। এমতাবস্থায় ৩ পয়সা বাসের ভাড়া কমিয়ে তারা শায়েস্তা খানের শাসনামল স্বরণ করিয়ে দিয়ে পাবলিকের সঙ্গে তামাশা করছে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি । শামীম ওসমান
লকডাউন শিথিল হওয়ায় ‘ভয় হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, কোরবানির হাট বসেছে। মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কেউ নিয়মকানুন মানছেন না। আমার ভয় হচ্ছে। আপনার অসুখ হলে আপনার বাচ্চাকে কে দেখবে। নিজেকে রক্ষা করুন এবং আপনার আশেপাশের লোকজনকে সচেতন করুন। বুধবার (১৪ জুলাই) সদর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, সারা বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ অভাবে আছেন। বিশেষত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, শুধু আপনারা নন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। আল্লাহ এই আজাব দিয়েছেন। আমরা সবাই যদি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি, মাফ চাই আল্লাহ মাফ করবেন।
যারা খেটে খওয়া মানুষ আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা ছোট একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ। দেড় বছর হয়ে গেছে। তিনি এখনও চেষ্টা করছেন মানুষ যেন ভালো থাকেন।
মহামারি করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আল্লাহ দুনিয়ায় আজাব দিয়েছেন। এখন আমাদের কিছু করার নেই। একটাই পথ, আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। আমরা হয়তো ঠিকমতো মাফ চাইছি না, নিয়ম-কানুনও মানতে পারছি না।’
এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা শিউলী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।