a
ফাইল ছবি
মরনঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে কারনে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আগামীকাল ১০ আগস্ট। বিধিনিষেধ শেষে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু খুলে দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গত রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সব আসনে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এতে আরও বলে হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এসে বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো।
ফাইল ছবি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লহ আল মামুন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে যারা অপরাধ সংঘটিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজি চৌধুরী আবদুল্লহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে যানবাহন চলাচলে র্যাব কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, টহল ও তল্লাশী জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশু পরিবহনকারী কোনো যানবাহনে চাঁদাবাজি না হয়।
পশু পরিবহনে ব্যাপারিরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো হাটে নামাতে পারেন। এ বিষয়ে কোনো সমস্য হলে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এর জন্য ব্যাপারিদের বলতে চাই, যানবাহনের সামনে গন্তব্যস্থলের নাম ব্যানারের মাধ্যমে উল্লেখ করুন। এতে সবার বুঝতে সুবিধা হবে। মাঝপথে কেউ আটকে হয়রানি করতে চাইলে র্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
রাজধানীর ৩০০ ফুট পূর্বাচল এলাকায় অবস্থিত কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাটের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের রবিবার (১৮ জুলাই) এসব কথা জানান তিনি।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, এবছর ঈদুল আজহায় অনলাইনে প্রচুর গরু বিক্রি হচ্ছে। সেখানে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় সেজন্য ভার্চুয়াল জগতেও র্যাবের নজরদারি ও পেট্রোলিং অব্যাহত রয়েছে। এরপরও কেউ যদি প্রতারিত হন, তবে র্যাবের সহায়তা গ্রহণ করুন। যাতে করে প্রতারকদের আমরা গ্রেফতার করতে পারি।
কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, একটি মুনাফালোভী চক্র চামড়ার ব্যবসায় ধস নামাতে নানা কার্যক্রম চালায়, তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের কঠোর নজরদারি রয়েছে। দেশে কোরবানির চামড়া যাতে টেনারিমুখী হয় সেজন্য র্যাবের নজরদারি ও নিরাপত্তা অব্যাহত রয়েছে৷
র্যাব ডিজি বলেন, ঈদের ছুটিতে যে কোনো ধরনের অপরাধ দমনে র্যাব তৎপর থাকবে৷ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে র্যাব তৎপর থাকবে।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে যেকোনো ঘটনায় হটলাইনে র্যাবের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। ঘটনা ও এলাকা ভেদে সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হবে। (হটলাইন নম্বর - ০২৫৫৬৬৯৯৯৯; ০১৭৭৭৭২০০২৯)। এছাড়াও র্যাবের ফেসবুক পেইজ, মিডিয়া সেল রয়েছে। কেউ অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব ব্যবস্থা নেবে।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গত বছর ও এবছর ভিন্ন পরিবেশে বৈশ্বিক মহামারির (করোনা ভাইরাস) মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছি। কোরবানির পশুর হাটে বিগত সময় র্যাবের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা থাকতো, এবারও একই ব্যবস্থা থাকছে। তবে এর মাত্রা একটু ভিন্ন ধরনের হবে।
র্যাব ডিজি বলে, সাধারণত মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, পশুর চামড়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়, চামড়া যাতে পাচার না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এছাড়াও সাধারণ মানুষের গ্রামের বাড়িতে যাতায়াতের বিষয়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একটু ভিন্ন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার থেকে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে মাঠে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পশু (গরু-ছাগল) আছে। ক্রেতারাও আসছেন।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উৎসবগুলোতে দেখা যায়, কোরবানির পশুর হাটে জালনোটের ছড়াছড়ি হয়। এক শ্রেণির প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে জালনোটের শনাক্তকরণ মেশিন রয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এই বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কারও কোনো সন্দেহ হলে আমাদের সহযোগীতা গ্রহণ করুন। নিজে সচেতন হোন এবং প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানে থাকুন।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ইতিমধ্যে র্যাব অভিযানে বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর নাটোরে প্রচুর পরিমাণ জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় সবাই সচেতনতার সঙ্গে টাকা লেনদেন করুন। প্রতারিত হওয় থেকে নিজে সচেতন হোন। জনসমাগমে চুরি, ছিনতাই করতে অপরাধীরা চেষ্টা চালায়। এই কারণে হাটকেন্দ্রিক বিভিন্ন স্থানে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি চোর-ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অপরাধীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।
ফাইল ছবি । ড. হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সবগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হবে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতকে আমরা জানাবো সাতদিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। অনেকগুলো বন্ধ করবো, আদালতকে জানাবো, আসলে কি প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।
কিছু গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে-জানতে তিনি বলেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। এ কারণেই সময় লাগছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত, সেগুলো ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না, তেমন নিয়মতো নেই। যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, যার যেমন ইচ্ছে একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোন ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কখনোই সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই একটি সহায়ক আদেশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আদালতের লিখিত কপি পাওয়ার পর যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করবো। তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে। আমরা আদালতের কাছে সে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো।
ইতিমধ্যে কিছু বন্ধও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা আদালতের নজরে এটিও আনবো, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটিও কতটুকুক সমীচীন, সেটিও ভাবার বিষয়। সেজন্য আমরা আদালতের নজরে আনবো। সূত্র: বিডি প্রতিদিন