a
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জামালপুর, শেরপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ইউএসজিএস সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের লক্ষ্মীপুর। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।
আজ বুধবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সংগৃহীত ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এধরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন।
আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সবাইকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের ডাক্তার আবু নাছের জানান, ছররা গুলিতে আহত ৮ জনকে জরুরি বিভাগ থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
আহতরা হলেন- পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), সামছুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫), মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২), এমদাদুল হকের ছেলে সওশাদ (৩৫)। আহতরা সবাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুল জানান, ৯নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, আদর্শপাড়া ও শান্তিপাড়া থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা একত্রিত হয়ে পৌরসভায় যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছিল। এসময় প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর সমর্থকরা বেপরোয়াভাবে গুলি চালালে কাদের মির্জার লোকজন আহত হয়।
অপরদিকে সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো লোক বাসা থেকে বের হয়নি। কাদের মির্জার লোকজন মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় আবদুল কাদের মির্জা রাত ৯টায় পৌরসভার নিজ কার্যালয় থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এএসপি শামীম, ইউএনও জিয়া, ওসি রনি ও অ্যাসিল্যান্ড সুভাতকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস থাকায় এসব অঞ্চলের নদীবন্দগুলোকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ (৯ মে) সন্ধ্যায় এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানায় আবহাওয়া অফিস।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে অস্থায়ীভাবে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বয়ে যেতে পারে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হাওয়া। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরে কোনো সতর্কতা দেখানো হয়নি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী মঙ্গলবার (১১ মে) নাগাদ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।