a
ফাইল ছবি
অনেক চেষ্টার পরও সচল রাখা যায়নি সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র। ভারিবর্ষণের ফলে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি। ফলে ন্যাশনাল গ্রিড লাইন থেকে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে ওইদিন সকালে ছুটে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দিয়ে সেচ দিয়ে পানি কমানোর উদ্যোগ নেন। এরপর এই কাজে যুক্ত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেনা সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে বালু, মাটি ও পাথরের বস্তা ফেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দেন। এছাড়া পাম্প ও সাকার মেশিন দিয়ে সেচে পানি কমিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিরাপদ রাখেন। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে স্বস্তি ফিরে সিলেটের মানুষের মাঝে।
কিন্তু শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টানা ভারিবর্ষণের কারণে শনিবার সকাল থেকে পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়।
বিউবো সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত কমলে সেচ দিয়ে পানি কমিয়ে আবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করার চেষ্টা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
উজানের পাহাড়ি ঢাল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন।
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে উপজেলার নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। এছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে বন্যার আশংকা আছে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে সর্তক করার পাশাপাশি সব প্রকার দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
গরুর মাংস, দেশি পেয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপনন অধিদপ্তর এ প্রজ্ঞপন জারি করে।
এতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা এর ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা।
এ ছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারিডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।
পাঙাশ (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।
গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, বয়লার মুরগি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালি মুরগি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২।
ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।
দেশি পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশি রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।
বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমোটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেঁজুর জাহিদি পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা। সূত্র: ইত্তেফাক