a
ফাইল ছবি
রাজধানীর সোয়ারীঘাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস দল। আজ ভোরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, সোয়ারিঘাটে জুতার কারখানায় আগুন নেভানোর পরপরই আমরা সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করি। পরে তৃতীয় তলার কারখানাটির দ্বিতীয় তলা থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভবনটির নিচে-ওপরে জুতা তৈরির কারখানা হলেও দ্বিতীয় তলায় শ্রমিকরা থাকতেন বলে আমরা জানতে পাই। আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটে কামালবাগ এলাকার একটি জুতার কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের আটটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফাইল ছবি
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক শ্রমিকদের বড় একটি অংশই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কে প্রায় ২৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পাশাপাশি গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শুক্রবার সকালে সাভারে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেডসহ শাখা সড়কগুলোতে এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে। তাই বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কেউ আবার বাসের অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কেউবা চলতি গাড়িতেও নানা ঝক্কি-ঝামেলা ঠেলে ওঠে যাচ্ছেন। তবে, যাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল গণপরিবহন। তাই অনেকেই ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
অপরদিকে, সাভারের চারদিকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। তিনটি সড়কের ২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে যানবহনের জটলা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের দুই লেনে পল্লীবিদ্যৎ এলাকা থেকে জিরানী পর্যন্ত আট কিলোমিটার যানজট। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বাইপাইল থেকে জামগড়া ও ধাউর থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যানজট।
অন্যদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাড়কে গাড়ির চাপ না থাকলেও গাবতলী থেকে ৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যেই ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামীকাল বুধবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে হবে তিনি জানান। তবে দূরপাল্লা যান বন্ধ থাকবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা জানান। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে এটা শুরু হবে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সেবা চালু থাকবে। এক্ষেত্রে গাড়ির আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী উঠাতে হবে বলে জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, শহরের বাইরের কোনো পরিবহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং নিজ শহরের পরিবহন অন্য শহরে যেতে পারবে না।