a নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-জনতা ভয়াবহ সংঘর্ষ
ঢাকা শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২২ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-জনতা ভয়াবহ সংঘর্ষ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২, ০১:০৩
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-জনতা ভয়াবহ সংঘর্ষ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করার পর বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‍্যাব পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জনগন।

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদমজী বিহারী কলোনির সড়ক ও মূল সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানায়ন। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এ সময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আদমজী শাহী মসজিদে ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির কথার প্রতিবাদে ইমামের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ইমামের বক্তব্য চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক তাকে থামিয়ে বলেন, ‘ভারতের ঘটনা ভারতে থাকুক, এখানে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না করি। ’

এ সময় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মসজিদের ভেতরে মারধর করে মুসল্লীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান তাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার আসামি ধরতেই নাকি রবিবার দিবাগত রাতে অভিযানে চালায় পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি, বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভাসানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:২৭
ভাসানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  ভাসানচর অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে একটি কুচক্রী মহল। উক্ত বিষয়টি নিয়ে হাতিয়াবাসীর পক্ষে হাতিয়া দ্বীপ সমিতি, ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহেদুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

আজ ৯ই এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন হাতিয়া দ্বীপ সমিতি এবং হাতিয়ার সকল সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠন গুলো।

হাতিয়া, নোয়াখালী জেলার অর্ন্তগত মেঘনার পলিবাহিত দ্বীপ। হিমালয় থেকে আসা লক্ষ টন পলি হাতিয়ার চারপাশে অনেকগুলো দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মত প্রাচীন দ্বীপ যা ফেনী নদীর মোহনায় অবস্হিত। বিভিন্ন স্যাটেলাইট ভিউ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হাতিয়ার আয়তন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মূলত হাতিয়ার সীমানা সেই প্রাচীনকাল থেকে ছিল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে শাহাবাজপুর, উত্তরে কালাইয়া নদী এবং পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল যেটা ফেনী নদী থেকে এসে মেঘনার মোহনায় স্বর্ণদ্বীপের পূর্ব সীমানায় মিলিত হয়েছে।

১৯৬০-এর দশক হতে হাতিয়ার নদী ভাঙন সমস্যা তীব্রতর হয়ে ওঠে। ভাঙনে বিগত প্রায় ৬৮ বছরে হাতিয়ার বিশাল এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ‘সাহেবানীর চর' নামে হাতিয়ার পূর্ব পার্শ্বে একটি চর ভেঙে সম্পূর্ণরূপেই বিলীন হয়ে গেছে মেঘনায়। আজকের ভাসানচর মূলত ভেঙ্গে যাওয়া সাহেবানীর চর, রাধাখালি, চিত্রাখালি, বাথানখালি, মাইজচরা, চরভারতসেন, চৌরঙ্গী, মফিজয়া, সুখচর, নলচিরা, গোডাউন বাজার এর জেগে উঠা চর।

ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে ২০১৬-২০১৭ সালের দিয়ারা জরীপে নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটি সঠিকভাবে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৬-২০১৭ সালে নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কেওডার চর) দিয়ারা জরীপ সম্পন্ন করা হয়। উক্ত দিয়ারা জরীপের রেকর্ড ১৮/০৪/২০১৮ তারিখে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গেজেটে ভাসানচর অংশের ৬টি মৌজা নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০১৮ সালে জনৈক সন্দ্বীপবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইন ভিত্তিক সমাধানের জন্য রুল জারি করে। পরবর্তীতে সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে গত ০৯/০২/২০২১ সালে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট নোটিশ জারি হয়েছে। ভাসানচর অংশের সর্বশেষ জরীপ অনুযায়ী বর্ণিত ৬টি মৌজা নিয়ে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন ভাসানচর থানা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গঠিত হয়, যা ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর দূরভিসন্দিমূলকভাবে গত ২৩/০৩/২০২৫ তারিখে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস চট্টগ্রাম, নোয়াখালী (হাতিয়া) ও চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) অংশের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রেরণ করে এবং একই তারিখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নিমিত্তে গঠিত কমিটির ১ম সভার কার্য বিববরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ জারি করেন, যা সুস্পষ্ট প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি।

সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর ২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখের ১৩০(২) নং স্মারকের প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদৃষ্ট। ১৯২৯ সালের সঠিক সি.এস ম্যাপ, ১৯৫৪ সালের নোয়াখালী জেলা থেকে সন্দ্বীপ থানা পৃথকীকরণ আদেশ ও এর সুস্পষ্ট ভৌগলিক বিভাজন, ২০১৬-২০১৭ সালের ভাসানচরের দীয়ারা জরীপ ও ম্যাপ এবং হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপজেলার সর্বশেষ ম্যাপ পর্যালোচনা না করে শুধু অনুমান নির্ভর বিকৃত সি.এস ম্যাপ ও গুগল ম্যাপ এর উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দাখিল করায় আমরা হাতিয়াবাসী হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অনুকূলে দিয়ারা জরীপ সম্পাদন করে চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশ ও হাতিয়া উপজেলাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাসানচর থানা গঠন শান্তিপূর্ণ ও বিরোধ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল অত্র অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছে যা অনভিপ্রেত।

এরই প্রেক্ষিতে হাতিয়াবাসীর পক্ষে হাতিয়া দ্বীপ সমিতি, ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহেদুল আলম সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময়ে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির অন্যান্য কর্মকর্তারা, কার্যকরী সদস্যরা এবং হাতিয়ার সাংবাদিক আমাদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জিম্বাবুয়েকে টানা ৫বার হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১, ১১:৪৮
জিম্বাবুয়েকে টানা ৫বার হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি গড়লেন টাইগাররা। বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ ২০০৯ সালে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তিন ম্যাচের প্রতিটি জিতে নেয় টাইগাররা। এর আগে ২০০৬ সালে কেনিয়ার মাঠে তাদেরকে বাংলাওয়াশ করেছিল লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। আর এবার তৃতীয় দল হিসেবে বাইরে গিয়ে সবকটি ম্যাজ জিতল সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা দলটি।

স্বাগতিকদের ছুড়ে দেয়া ২৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করে ৫ উইকেটে ৩০২ রান করে সফরকারিরা। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে টাইগাররা। আগামী ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৩ জুলাই এবং একদিন করে বিরতি দিয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে ২৫ জুলাই। সবগুলো ম্যাচই হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে।

সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত পঞ্চমবার টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাকায় তিন মাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালে ৩-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৯ সালেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয় টাইগাররা।

হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাবা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানির ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছেন।  দুই ওপেনারের জুটি বড় হতে থাকলতে সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন তামিম। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই ব্রেক থ্রু দিলেন সাকিব। তার বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৮ রান করা তাদিওয়ানাশে মারুমানি।

চাকাভাকে সঙ্গ দিয়ে দলীয় স্কোর বড় করছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক্ক টেইলর। জুটি ভাঙতে দীর্ঘদিন পর মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে নিয়ে আসলেন তামিম। এসেই অধিয়ায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন রিয়াদ। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে তামিমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছিয়েন টাইগার এই অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ২৮ রান করেই ফিরলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ২০১৯ সালের পর ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এ সংস্করণে কোন উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ!
 
দীর্ঘদিন পর বোলিংয়ে এসে জোড়া শিকার করলেন মাহমুদউল্লাহ। টেইলরের পর মায়ার্সকেও ফেরালেন তিনি। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন মায়ার্স। এর আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলেছেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার রেজিস চাকাভা। চাকাভার ফিফটির আগেই ১০০ রান পেরিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।

মাহমুদউল্লাহর পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন মোস্তাফিজ। মাধেভেরেকে সাকিবের তালুবন্দী করে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন কাটার মাস্টার। ৪ বলে ৩ রান করে ফিরেছেন মাধেভেরে।

সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রেগিস চাকাভা। কিন্তু তাসকিনের গতিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরলেন। তাসকিন পেলেন ম্যাচের প্রথম উইকেট। ৯১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ রান করে বিদায় নেন চাকাভা চাকাবা ফেরেন সাজঘরে। 

চাকাভার বিদায়ের পর স্বাগতিকদের হাল ধরেছেন সিকান্দার রাজা। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৯ বলে ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়লে বড় ইনিংসের দিকেই এগোতে থাকে জিম্বাবুয়ে। রাজার পর বার্লও অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ৫৪ বলে ৫৭ রানে ফেরেন রাজা। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন মোস্তাফিজুরের বলে মোসাদ্দেকের ক্যাচ হয়ে। 

এরপর এক ওভারেই তিন উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। দলীয় ২৯৪ রানে বার্লকে থামান টাইগার এই অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে বার্ল করেছেন ৪৩ বলে ৫৯ রান। পরের বলে ডোনাল্ড তিরিপানোকে করেন বোল্ড। তেন্দাই চাতারা হ্যাটট্রিক হতে দেননি। দুই বল পরই বোল্ড হন ১ রানে।

শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। 

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

২৯৯ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। দুজনের জুটিতে ৮৮ রান উঠতেই তামিমের সঙ্গ ছাড়লেন লিটন। মাধেভেরের স্পিনে মারুমানির ক্যাচে বন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই টাইগার ওপেনার। আউট হবার আগে ৩৭ বলে ৩২ রান তুলেছেন লিটন।

তামিমের সঙ্গে ৫৯ রানেই জুটি থামলো সাকিবের। পেসার লুক জংওয়ের অফস্টাম্পের বাইরের লেন্থ বল কাট করতে গিয়েছিলেন সাকিব। টাইমিং মেলাতে পারেননি। ক্যাচ ধরে ফেললেন চাকাভা। তবে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তের পর এটি মানতে পারেননি সাকিব। যদিও এতে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৪২ বলে সাকিবের রান ৩০।

টেন্ডাই চাতারাকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তামিম ইকবাল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। মাত্র ৮৭ বলেই মাইলফলকে গেলেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১০ সালে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।

ড্রিঙ্কস বিরতির পরই ফিরে গেছেন তামিম।  ডোনাল্ড তিরিপানোর খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেটের পেছনে চাকাভার হাতে। ৯৭ বলে ১১২ রান করে ফিরতে হলো তাকে। এর ঠিক পরের বলেই ক্যাচ আউট মাহমুদউল্লাহ। তিরিপানোর বলে ইনসাইড এজড হয়ে চাকাভার হাতেই পড়লো সেই বল।

গেল দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন মিঠুন। তবে ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। মাধেভেরেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। সীমানার ওপর সেটি নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা। ৫৭ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন মিঠুন। ভেঙেছে নুরুলের সঙ্গে তার ৬৪ রানের জুটি। শেষ ৬ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০ রান। ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে পূর্ণ করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান। ৩৯ বলে ৪৫ রান অপরাজিত থাকেন তিনি। এদিকে আফিফ অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ২৬ রানে। সূত্র: সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ