a
ফাইল ছবি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরিমনির বিরুদ্ধে করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাবন্দি আছেন। তার জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পরীমনি জামিন পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান।
পরীমনির আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীমনির মাদক মামলার জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় পরীমনি জামিন পাওয়ার হকদার। আশা করছি, পরীমনি জামিন পাবেন।’ সোমবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করীম চৌধুরীর আদালতে আইনজীবী মজিবুর রহমান পরীমনির জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানির জন্য আদালত বুধবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। এসময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমনির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও পাঁচ-সাতটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজের হাত ধরেই পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন তিনি।
টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন
টঙ্গীর মিলগেট এলাকার কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটে বৃহস্পতিবার সকালে এক ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ টি তুলার গুদাম পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় উল্লেখিত এলাকার জনৈক মাসুদের তুলা ভাঙ্গানোর মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ওই গোডাউনসহ আশপাশের গোডাউনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরার ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এ সময় ওই এলাকায় পানি সংকট দেখা দিলে আশপাশের বিল্ডিং থেকে পানির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ততক্ষনে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, রক্ষিত মালামাল ও আসবাব পত্র পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্থ তুলা ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাত আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি।
এব্যাপারে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. ইকবাল হাসান জানান, তুলা ভাঙ্গানোর মেশিনে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
ফাইল ছবি
করোনার প্রকোপে বর্তমানে ভারতের করুণ অবস্থা তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে, ভারতের মত আমাদের অবস্থা হলে আমাদের যেন অক্সিজেন সমস্যায় ভোগতে না হয় সে জন্য আগেই এগিয়ে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প কোম্পানি আবুল খায়ের গ্রুপ।
ভারতের ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছে তাদের নিজ দেশের কোম্পানি টাটা গ্রুপের রতন টাটা। তাই বলা যেতে পারে ভারতের যদি রতন টাটা থাকে আমাদের আছে আবুল খায়ের গ্রুপ। ভারত থেকে এক সপ্তাহ যাবৎ বন্ধ রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ। এমন মূহুর্তে অক্সিজেন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে আবুল খায়ের শিল্প গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব প্ল্যান্ট থেকে দেশের চাহিদা মতো প্রতিদিন ২০০ টন অক্সিজেন দিতে পারবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের একেএস প্লান্টে অক্সিজেন সরবরাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্টের সিইও মুহামম্দ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। আর দেশের চাহিদা ২০০ টন, সেক্ষেত্রে চাহিদা মিটিয়ে আমরা রিজার্ভ করতে পারবো। যখন বিশেষ জরুরি হবে তখন সেখান থেকে সরবরাহ করা হবে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান আরো আশ্বাস প্রদান করেন যে, যদি প্রয়োজন হয় আমাদের সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শুধু অক্সিজেন উৎপাদন করা হবে।
আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমাদের প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টন লিকুইড উৎপাদন আছে তা বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, আমরা মজুদ ও সরবরাহ বজায় রাখবো। দেশের যে ক্রান্তিকাল এই অবস্থায় দেশকে, দেশের মানুষকে কিভাবে উদ্ধার করা যায় সেই চেষ্টা করছি। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অক্সিজেনের পুরোটা মেডিকেলের দিকে সাপ্লাই দিব।’
২০২০ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের পাশাপাশি ৫ হাজার সিলিন্ডার বীনা মূল্যে বিতরণ করে। এছাড়া ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয় গ্রুপটি।