a পরিমনির জামিন শুনানি আজ
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পরিমনির জামিন শুনানি আজ


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৮ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৫৪
পরিমনির জামিন শুনানি আজ।

ফাইল ছবি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরিমনির বিরুদ্ধে করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাবন্দি আছেন। তার জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন পরীমনি জামিন পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান।

পরীমনির আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীমনির মাদক মামলার জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় পরীমনি জামিন পাওয়ার হকদার। আশা করছি, পরীমনি জামিন পাবেন।’ সোমবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করীম চৌধুরীর আদালতে আইনজীবী মজিবুর রহমান পরীমনির জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানির জন্য আদালত বুধবার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। এসময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমনির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।

পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও পাঁচ-সাতটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজের হাত ধরেই  পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন তিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

মাধবপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩, ১১:৪৩
মাধবপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মোটরসাইকেল ধাক্কায় সালাম নামে আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের জলিল মিয়ার সন্তান।

গতকাল শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মাধবপুর-মনতলা সড়কের মৌজপুর নাম স্থানে শিশু সালাম রাস্তার পাশে খেলা করার সময় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল সালাম (৪) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে গুরুতর আহত হয়।

স্বজনেরা সাথে সাথে সালামকে উদ্ধার করে দ্রুত মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (১১ মার্চ) ভোর ৪ ঘটিকার সময় তার মৃত্যু হয়। ঘাতক মোটরসাইকে ও এর চালককে শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইতিহাসের মোড় ঘোরানো মুহূর্তসমূহ: প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী


ড শেখ আকরাম আলী, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০১
ইতিহাসের মোড় ঘোরানো মুহূর্তসমূহ প্রফেসর ড শেখ আকরাম আলী

ছবি: সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের মোড়ঘোরানো মুহূর্তসমূহ একটি জাতির রূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকা বা দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার উপর। দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ইতিহাসের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে মুসলমানদের বিজয়ী হিসেবে আগমন এবং পরবর্তীকালে শাসক হিসেবে এই ভূখণ্ডে বসবাস শুরু, যা চলতে থাকে ১৭৫৭ সালে পলাশীর তথাকথিত যুদ্ধে ব্রিটিশদের দ্বারা বাংলা দখল পর্যন্ত। এই ১৭৫৭ সালকে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলমানরা তাদের ক্ষমতা হারায় এবং সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগীতে পরিণত হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় তারা চরম নিপীড়নের শিকার হয়, যদিও হিন্দুরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। এই ১৮৫৭ সালও ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশ সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হলে মুসলমানদের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়নি। কিন্তু বিশ শতকের শুরুতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে, যখন ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এই ১৯০৬ সালকেও ভারতের মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে দেখা হয়। ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।

১৯১৩ সালে মুসলিম লীগ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নেতা হিসেবে পেয়ে সৌভাগ্য অর্জন করে, যদিও ১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু গ্র্যাজুয়েট মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জিন্নাহর হাত শক্তিশালী করেন। অল্প সময়েই জিন্নাহ ভারতের মুসলমানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। এক সময় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন, কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের মনোভাব তাকে বুঝতে বাধ্য করে যে, হিন্দু মহাসভার অধীনে ভারতের মুসলমানদের অধিকার নিরাপদ নয়। ১৯২৩ সালের শুরুতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর বিখ্যাত দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন এবং বলেন, ধর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দৈনন্দিন জীবনে মুসলমানরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। এই তত্ত্ব ভারতের মুসলিম জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ভারতীয় সরকার গঠিত হয়, যা জিন্নাহকে স্পষ্ট করে দেয় যে, মুসলমানদের জন্য পৃথক মাতৃভূমির কথা ভাবা ছাড়া উপায় নেই। ফলে ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যেখানে মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়। এটিও ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

পাকিস্তানের জন্মকে ভারতীয় মুসলমানদের প্রায় দুই শত বছরের সংগ্রামের ফলাফল হিসেবে দেখা হয় এবং ১৯৪৭ সালকে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু পাকিস্তান শুরুর থেকেই অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। ভারত প্রথম থেকেই পাকিস্তানের বিরোধী হয়ে ওঠে এবং তা ভাঙার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল।

ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের ওপর সেনা অভিযান চালিয়ে ভারতের জন্য এক ‘সুবর্ণ সুযোগ’ তৈরি করে এবং ভারত এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগায়, যার জন্য তারা বহুদিন অপেক্ষায় ছিল। বাংলাদেশের জন্ম ঘটে ভারতের সামরিক সহায়তা ও কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে ভারতের সাথে একটি সাত দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা বাংলাদেশের জন্মকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু তাকে চিরস্থায়ী দাসত্বের দিকে ঠেলে দেয়। এভাবেই ১৯৭১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি মোড়ঘোরানো বছর হয়ে ওঠে।

জনগণ দ্রুতই বুঝে যায় যে তারা নিজেদের নেতাদের এবং ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। যে নেতা গণতন্ত্রের জন্য লড়েছিলেন, তিনিই নিজের হাতে তা ধ্বংস করেন এবং এর জন্য চরম মূল্যও দেন। ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির গতি স্তব্ধ হয় ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের পতনের মাধ্যমে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

নভেম্বর ১৯৭৫-এ সিপাহী-জনতার নেতৃত্বে একটি বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের উত্থান ঘটে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জিয়াউর রহমানের আনা পরিবর্তনে সন্তুষ্ট হন। কিন্তু তার মর্মান্তিক মৃত্যু আবারো ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপের সুযোগ এনে দেয়।

১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদের পতন রোধ করা যায়নি এবং খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আরোহন ঘটে। এসময় ভারত সাময়িকভাবে ব্যাহত হলেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রথম সরকারে আবারও সাফল্য পায়। 

মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমেরিকার সহযোগিতায় ভারতকে আবারো বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনৈতিক খেলা খেলার সুযোগ দেয়। আমরা বাঙালি মুসলমানরা পুনরায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন এবং ভারতের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হই। ভারত বাংলাদেশকে নিজের উপনিবেশ মনে করতে শুরু করে।

কয়েক শত প্রাণের ত্যাগ ও কয়েক হাজার মানুষের অজানা দুঃখ-কষ্ট জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন এনে দেয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের এই পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছেন, এবং তা পুরোপুরি নির্ভর করছে আমাদের আন্তরিকতার উপর। আমরা যদি এই ট্রেন মিস করি, তবে তা চিরতরে হারিয়ে যাবে। জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং সরকারকে এটি উপলব্ধি করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবকে জাতির সর্বশেষ রাজনৈতিক মোড়ঘোরানো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। জাতিকে দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সরকারের উদ্যোগকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - সারাদেশ