a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে "ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক সংলাপে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মনজু, ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, রিহ্যাবের পরিচালক ড. মো: হারুন অর রশিদ, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নুর মোহাম্মদ আজমী, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. আহমেদ কামারুজ্জামান মজুমদার, ফেনী সমিতি ঢাকার সহ সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, স্টার লাইন গ্রুপের পরিচালক মাইন উদ্দিন, ইসলামী ব্যাংকের সিএফও আবদুর রহিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন ফয়সাল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মারুফ ফাহিম ও পরিষদের লিয়াজো সমন্বয়ক মু. আবিদুর রহমান আবেদ। নাগরিক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের মুখপাত্র ওমর ফারুক।
অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ এখন সময়ের দাবি। এটি এখন কোন জেলাভিত্তিক ইস্যু নয়, এটা জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য করা জরুরী।
মজিবুর রহমান মনজু বলেন, ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ না হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণই বড় কারণ। তাই পলিসি লেভেলে যোগাযোগ এবং জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই দুটি প্রতিষ্ঠান আমরা বাস্তবায়ন করবো।
গাজী মানিক বলেন, ফেনীর মানুষের অনেক দিনের এই আকাংখা বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময়। তাই সকলকে সাথে নিয়ে আমরা এই দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবো। প্রয়োজনে এর জন্য আবার ফেনীর মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথে নামবো।
ড. আহমেদ কামারুজ্জামান বলেন, ফেনীর বন্যার সময় আমরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক মিস করেছি। সকল বড় ইস্যুতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যে ভুমিকা পালন করতে পারে, তা অন্য কিছু দিয়ে কাভার করা যায়না।
ড. হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা এখন সবকিছুকে বাদ দিয়ে এই ইস্যুকে সামনে নিয়ে কাজ করতে হবে। এখনই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ করার উপযুক্ত সময়।
মাইন উদ্দিন বলেন, মেডিকেল কলেজ আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।
সাইদুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্দেশ্য শুধু শিক্ষা নয়। পাশাপাশি উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ, ভু-রাজনৈতিক কারন ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের স্বীকৃতির জন্যও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অপরিহার্য।
এছাড়াও সংলাপে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ডুসাফ সভাপতি সাজিন চৌধুরী, ছাত্রদলের ফেনী জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজুমদার রশিদ, ফয়জুল্লাহ নোমানী, রফিকুল ইসলাম কিরন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাংবাদিক আবদুল্লাহ প্রমুখ।
ফাইল ছবি । শফিকুর রেজা বিশ্বাস
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বন্দর) মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি পেশাগত জীবনে সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান এনডিসিকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলী করায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গত বছরের ২ জুন তিনি ময়মনসিংহে যোগদান করেছিলেন মোঃ কামরুল হাসান।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস ইতিপূর্বে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব, বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসক, ফরিদপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বাজিতপুর ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁর উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব শাহীন আরা বেগম স্বাক্ষরিত ৩০ মে’২০২১ এক প্রজ্ঞাপণে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ হারিছ উদ্দিন বিশ্বাস তার পিতা। তার সহধর্মিনী আরিফা আক্তার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তারা ২ পূত্র ও ১ কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে কৃতিত্বের সাথে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেন মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। পরে ১৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৪ সালে প্রশাসন ক্যাডারে বরিশাল জেলায় তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেইসাথে নয়া কমিশনারকে আন্তরিকভাবে সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন বিবৃতিদাতাগণ।
অভিনন্দন বিবৃতিতাদাগণ হলেন- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল হক শামীম সিআইপি, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক অনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হরিশংকর দাশ, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ. এ গোলান্দাজ তারা, গণকণল্যাণ পরিষদ (জিকেপি) নির্বাহী পরিচালক, শম্ভুগঞ্জ জিকেপি অনার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লায়ন ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এম. এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর পূর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একাত্তরের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে। আমরা এমনই একটি সময় এই বিজয় র্যালি করছি। তাই এই র্যালি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাবো। আমরা কথা বলার অধিকার পাবো, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাবো। কিন্তু এই সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার চেপে বসে আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সকল অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।’
এর আগে রোববার দুপুর ২ টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিলাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মী দিয়ে ভরে যায়।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা 'স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান', 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম', ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে পুরো নয়া পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছেন।
বিজয় র্যালিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক