a
ফাইল ছবি
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উদ্ধারকাজ পরিচালনায় সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সিলেট জেলার মধ্যে সদর উপজেলা, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও দিরাইয়ে কাজ কাজ করে যাচ্ছে সেনা বাহিনী।
এছাড়াও, সুনামগঞ্জের খাদ্য গোডাউন রক্ষা এবং সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সেনা সদস্যরা পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিতে কাজ করছেন। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন এবং উদ্ধারকৃতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান ও সীমিত পরিসরে খাদ্য এবং সুপেয় পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি জেলার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার ডা. মনোয়ার হাসানাত খান বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি জেলার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গত ৫ জুলাই থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। এছাড়া তার অ্যাজমার সমস্যাও ছিল।’
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০১ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি সদস্য।
ফাইল ছবি
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেছেন, দেশটা জাহান্নাম বানিয়ে ফেলছেন!
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আদিলুর ও নাসিরের আপিল ও জামিন আবেদন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মো. রেজাউল করিম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি আছে।
জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করায় উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক। তিনি বলেন, তাহলে তাদের ২ বছরের সাজা দিলেন কেন? যাবজ্জীবন দণ্ড দিতে পারলেন না? দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন।
পরে শুনানি বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন। এছাড়া দুজনের আপিল হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করে সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জরিমানা স্থগিত করে দেন। ফলে আপাতত তাদের কারামুক্তিতে আইনগতভাবে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদিলুর নাসিরকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবীদের মাধ্যমে আদিলুর ও নাসির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আপিল আবেদন জমা দেন। আবেদনে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল এবং অভিযোগ থেকে খালাস চাওয়া হয়। সূত্র: ইত্তেফাক